নিউইয়র্ক ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্লেষণ: ওবামার বিদায়ে পতন ঘটবে সৌদি রাজতন্ত্রের?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬
  • / ৭৬১ বার পঠিত

ঢাকা: বিদেশী নেতারা যারা সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করেছেন তারা নিশ্চয়ই বাদশাহর সামনে রাখা বিশাল ফুলটি খেয়াল করেছেন। খুব কাছ থেকে যারা এই ফুলটি খেয়াল করেছেন তারাই কেবল বুঝতে পারবেন যে ওটা ফুলের আদলে আসলে একটি কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত আছে একটি টেলিপ্রোম্পটার। কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা উঠলে ওই টেলিপ্রোম্পটার থেকে বাদশাহর জন্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। শুধু তাই নয়, শোনা যায় বর্তমান বাদশাহ নাকি আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত। তাই তাকে কিছুক্ষণ আগেই ভুলে যাওয়া কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যও এই কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয়।
যে সব ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে সৌদি আরব, সে বিষয়গুলো বেশ কৌশলের সঙ্গেই আলোচনা করেন বাদশাহ। ওই সভায় দেখা যায়, বাদশাহ কূটনৈতিক দলটির দিকে তাকিয়ে নেই, তিনি তাকিয়ে আছেন একটি বিশাল টেলিভিশন পর্দার দিকে, যেখান থেকে তাকে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছিল। ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউটের পূর্বাঞ্চলীয় নীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিমন হ্যান্ডারসন এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানান। তার ভাষ্যমতে, আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশের কক্ষে একদল মানুষ বাদশাহকে যা বলতে হবে তা অতিদ্রুত লিখে যাচ্ছেন কম্পিউটারে এবং সেই কথা অবিকল পড়ে যাচ্ছেন বাদশাহ ফয়সাল।
The Independent Logo২০ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠকে দুই পক্ষই বেশ বুঝতে পারেন, সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। মিত্রতায় ধরেছে অদৃশ্য এক ফাটল। সৌদি আরবের নেতারা প্রকাশ্যে এবং গোপনে অন্তত এটা বলার চেষ্টা করছেন, তারা হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতা ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এটা সত্যি, সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসে সৌদি আরববিরোধী শক্তির আনাগোনা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করতে পেরেছেন, হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে নাইন-ইলেভেনে হামলায় ব্যবহৃত বিমানগুলো ইরান নয় উল্টো সৌদি আরবের নাগরিকরাই ছিনতাই করেছিল।
৯/১১ সংক্রান্ত ওই ২৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ত থাকার এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যাতে সৌদি কর্তৃপক্ষের মসনদ টলে যেতে পারে। আর এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে এ তদন্ত প্রতিবেদনটিকে লুকিয়ে রাখা হতে পারে। ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই এই প্রতিবেদনে আছে বলে জানা যায়। অন্তত দুজন সৌদি যুবরাজ যে আক্রমণের জন্য ওসামা বিন লাদেনকে শতাধিক মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল তার প্রমাণও আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ওই দুই যুবরাজ এখনও বিশ্বের যেখানে চাই সেখানেই ঘুরে বেড়াতে পারছেন। ভাষান্তর: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিশ্লেষণ: ওবামার বিদায়ে পতন ঘটবে সৌদি রাজতন্ত্রের?

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকা: বিদেশী নেতারা যারা সৌদি বাদশাহর সঙ্গে দেখা করেছেন তারা নিশ্চয়ই বাদশাহর সামনে রাখা বিশাল ফুলটি খেয়াল করেছেন। খুব কাছ থেকে যারা এই ফুলটি খেয়াল করেছেন তারাই কেবল বুঝতে পারবেন যে ওটা ফুলের আদলে আসলে একটি কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত আছে একটি টেলিপ্রোম্পটার। কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা উঠলে ওই টেলিপ্রোম্পটার থেকে বাদশাহর জন্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। শুধু তাই নয়, শোনা যায় বর্তমান বাদশাহ নাকি আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত। তাই তাকে কিছুক্ষণ আগেই ভুলে যাওয়া কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যও এই কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয়।
যে সব ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সামনে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে সৌদি আরব, সে বিষয়গুলো বেশ কৌশলের সঙ্গেই আলোচনা করেন বাদশাহ। ওই সভায় দেখা যায়, বাদশাহ কূটনৈতিক দলটির দিকে তাকিয়ে নেই, তিনি তাকিয়ে আছেন একটি বিশাল টেলিভিশন পর্দার দিকে, যেখান থেকে তাকে তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছিল। ওয়াশিংটন ইন্সটিটিউটের পূর্বাঞ্চলীয় নীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সিমন হ্যান্ডারসন এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানান। তার ভাষ্যমতে, আলোচনা অনুষ্ঠানের পাশের কক্ষে একদল মানুষ বাদশাহকে যা বলতে হবে তা অতিদ্রুত লিখে যাচ্ছেন কম্পিউটারে এবং সেই কথা অবিকল পড়ে যাচ্ছেন বাদশাহ ফয়সাল।
The Independent Logo২০ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠকে দুই পক্ষই বেশ বুঝতে পারেন, সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। মিত্রতায় ধরেছে অদৃশ্য এক ফাটল। সৌদি আরবের নেতারা প্রকাশ্যে এবং গোপনে অন্তত এটা বলার চেষ্টা করছেন, তারা হোয়াইট হাউসের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরায় উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতা ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এটা সত্যি, সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসে সৌদি আরববিরোধী শক্তির আনাগোনা বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এটা নিশ্চিত করতে পেরেছেন, হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে নাইন-ইলেভেনে হামলায় ব্যবহৃত বিমানগুলো ইরান নয় উল্টো সৌদি আরবের নাগরিকরাই ছিনতাই করেছিল।
৯/১১ সংক্রান্ত ওই ২৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটিতে সৌদি কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ত থাকার এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যাতে সৌদি কর্তৃপক্ষের মসনদ টলে যেতে পারে। আর এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে এ তদন্ত প্রতিবেদনটিকে লুকিয়ে রাখা হতে পারে। ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই এই প্রতিবেদনে আছে বলে জানা যায়। অন্তত দুজন সৌদি যুবরাজ যে আক্রমণের জন্য ওসামা বিন লাদেনকে শতাধিক মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল তার প্রমাণও আছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ওই দুই যুবরাজ এখনও বিশ্বের যেখানে চাই সেখানেই ঘুরে বেড়াতে পারছেন। ভাষান্তর: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট