নিউইয়র্ক ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ছয় কোটি ভোটার, এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ১৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ভোটার আজ তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপের (রানঅফ) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এদিনই তুর্কিরা নির্দিষ্ট করবেন যে তারা কাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান। এরদোয়ান কি দুই দশকের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন নাকি কেমাল কিলিচদারুগ্লু নতুন শুরু করবেন তা জানা যাবে দিনের শেষে।

গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার আগে ছিলেন এরদোয়ান। তবে সামান্যর জন্য তিনি নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেতে সক্ষম হননি। নির্বাচনে ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কাছাকাছি ছিলেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এই দুই জনের মধ্যেই চূড়ান্ত ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থী যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন, ১৪ মের পর দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটারকে আকৃষ্ট করতে তেমন কিছুই করেননি তারা। এই সময়ে তারা বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন এবং স্বল্পসংখ্যক জনগণের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।

আমরা রবিবার বিজয় অর্জন করব এবং সোমবার ইস্তাম্বুল বিজয় উদযাপন করব। এরদোয়ান রানঅফের দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শুক্রবার ইস্তাম্বুলে নারীদের একটি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত নির্বাচনে তাদের সমর্থন চেয়েছেন। এই সভার আয়োজন করে এরদোয়ানের দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) মহিলা শাখা।

আরোও পড়ুন। প্রধান বিচারপতিকে মরিয়ম নওয়াজ : আপনার শাস্তি পাওয়া উচিত

এর সময় শুরু থেকে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য নারীদের ধন্যবাদ জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা রবিবার বিজয় অর্জন করব এবং সোমবার ইস্তাম্বুল বিজয় উদযাপন করব।’ ভিন্নধর্মী ছয়টি বিরোধী দলের পাশাপাশি আরেকটি প্রভাব সৃষ্টিকারী দল এইচডিপির সমর্থন পেয়েছেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এদিকে নিজের দল একে পার্টি ও তার জোট ছাড়াও প্রথম ধাপের নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগানের সমর্থন পেয়েছেন এরদোয়ান। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কি ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। সেসব ভোট বাক্সবন্দি হয়ে নিয়মমাফকি আঙ্কারায় পৌঁছে গেছে। গত বুধবার কূটনৈতিক মিশনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে তিনটি বিমান করে ভোটগুলো তুরস্কে আনা হয়েছে। বিদেশে কাস্ট করা সব ভোট এটিও কংগ্রেসিয়ামে ওভারসিজ ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন বোর্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে। রবিবার বিকাল ৫টায় অন্যদের সঙ্গে একযোগে ভোট গণনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কিদের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট দিয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ। প্রথম ধাপে এই ভোট পড়েছিল ১৬ লাখ ৯১ হাজারের বেশি। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে বেশি ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত ধাপে যে প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন তিনি আগামী পাঁচ বছর তুরস্ক শাসন করবেন। ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) বেসরকারী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে যে, চূড়ান্ত ধাপে এরদোয়ানের জয়ের সম্ভাবনা অনকেটাই বেড়ে গেছে। তিনি ৫৪ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। অপরদিকে কেমালের আশাও শেষ হয়ে যায়নি বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজ রাত পর্যন্ত। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ছয় কোটি ভোটার, এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ভোটার আজ তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ধাপের (রানঅফ) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এদিনই তুর্কিরা নির্দিষ্ট করবেন যে তারা কাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান। এরদোয়ান কি দুই দশকের ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন নাকি কেমাল কিলিচদারুগ্লু নতুন শুরু করবেন তা জানা যাবে দিনের শেষে।

গত ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ৪৯.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার আগে ছিলেন এরদোয়ান। তবে সামান্যর জন্য তিনি নির্ধারিত সংখ্যক ভোট পেতে সক্ষম হননি। নির্বাচনে ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কাছাকাছি ছিলেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এই দুই জনের মধ্যেই চূড়ান্ত ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থী যেভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছিলেন, ১৪ মের পর দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটারকে আকৃষ্ট করতে তেমন কিছুই করেননি তারা। এই সময়ে তারা বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন এবং স্বল্পসংখ্যক জনগণের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন।

আমরা রবিবার বিজয় অর্জন করব এবং সোমবার ইস্তাম্বুল বিজয় উদযাপন করব। এরদোয়ান রানঅফের দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান শুক্রবার ইস্তাম্বুলে নারীদের একটি সমাবেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত নির্বাচনে তাদের সমর্থন চেয়েছেন। এই সভার আয়োজন করে এরদোয়ানের দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) মহিলা শাখা।

আরোও পড়ুন। প্রধান বিচারপতিকে মরিয়ম নওয়াজ : আপনার শাস্তি পাওয়া উচিত

এর সময় শুরু থেকে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য নারীদের ধন্যবাদ জানান এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা রবিবার বিজয় অর্জন করব এবং সোমবার ইস্তাম্বুল বিজয় উদযাপন করব।’ ভিন্নধর্মী ছয়টি বিরোধী দলের পাশাপাশি আরেকটি প্রভাব সৃষ্টিকারী দল এইচডিপির সমর্থন পেয়েছেন কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এদিকে নিজের দল একে পার্টি ও তার জোট ছাড়াও প্রথম ধাপের নির্বাচনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগানের সমর্থন পেয়েছেন এরদোয়ান। এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কি ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। সেসব ভোট বাক্সবন্দি হয়ে নিয়মমাফকি আঙ্কারায় পৌঁছে গেছে। গত বুধবার কূটনৈতিক মিশনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে তিনটি বিমান করে ভোটগুলো তুরস্কে আনা হয়েছে। বিদেশে কাস্ট করা সব ভোট এটিও কংগ্রেসিয়ামে ওভারসিজ ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন বোর্ডে পৌঁছে দেওয়া হবে। রবিবার বিকাল ৫টায় অন্যদের সঙ্গে একযোগে ভোট গণনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে থাকা তুর্কিদের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডে ভোট দিয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ। প্রথম ধাপে এই ভোট পড়েছিল ১৬ লাখ ৯১ হাজারের বেশি। সেই তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে বেশি ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত ধাপে যে প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন তিনি আগামী পাঁচ বছর তুরস্ক শাসন করবেন। ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। ভোট শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) বেসরকারী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে বলা হয়েছে যে, চূড়ান্ত ধাপে এরদোয়ানের জয়ের সম্ভাবনা অনকেটাই বেড়ে গেছে। তিনি ৫৪ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। অপরদিকে কেমালের আশাও শেষ হয়ে যায়নি বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। তবে সবকিছু মিলিয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজ রাত পর্যন্ত। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
সুমি/হককথা