নিউইয়র্ক ১১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবার ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, কমছে বিজেপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬
  • / ৭৭৯ বার পঠিত

ঢাকা: ভোটের পরের বুথফেরত সমীক্ষায় (একজিট পোল) প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যের মোট ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেতে চলেছে ২৩৩ থেকে ২৫৩টি আসন। কংগ্রেস ও বামদের জোট পেতে পারে ৩৮ থেকে ৫১টি, বিজেপি ১ থেকে ৫টি এবং অন্যরা ২ থেকে ৫টি। টাইমস নাও নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ১৬৭টি আর কংগ্রেস-বামপন্থী জোট ১২০টি আসন পেতে পারে। এ ছাড়া বিজেপি ৪টি ও অন্যদের ৩টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এনডিটিভির সমীক্ষা অনুযায়ী তূণমূল কংগ্রেস ১৯৬, কংগ্রেস-বাম জোট ৯২, বিজেপি ৩ এবং অন্যরা ৩টি আসন পেতে চলেছে।
এবিপি আনন্দ-নিয়েলসন সমীক্ষাতেও বলা হয়েছে, তূণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৬৩টি আসন এবং বাম-কংগ্রেস জোট ১২৬টি। এ ছাড়া বিজেপি ১টি, অন্যরা ৪টি। তবে এবিপি আনন্দ-নিয়েলসন সমীক্ষায় একই সঙ্গে একটি সতর্কবার্তা ধরা পড়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমীক্ষা অনুযায়ী অন্তত ২৫টি আসনে তূণমূল কংগ্রেস এবং জোটের প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫ শতাংশেরও কম। এর ফলে এই ২৫টি আসন যেকোনো দিকে যেতে পারে। বর্তমান সমীক্ষায় যদিও এই ২৫টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে রেখে হিসাব করা হয়েছে। যদি ২৫টি আসন জোটের দিকে ঘুরে যায়, তা হলে ফল কিন্তু উল্টে যাবে। অর্থাৎ, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকবে মোট ১৩৮টি আসন, যা কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ১৪৮টি আসনের চাইতে ১০টি কম। অন্যদিকে, ২৫টি আসন যোগ হলে জোটের আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৩টিতে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে রাজ্যে পালাবদল ঘটবে।
১৯ মে নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল ঘোষণা করবে।
সব সমীক্ষাতেই ভোটের শতাংশের হিসাবে বলা হয়েছে, বিজেপির ভোট কমছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল এবং তাদের ভোটের পরিমাণ ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৭ শতাংশে। সেবার মোদি-হাওয়ায় বিজেপির দিকে অনেক বেশি ভোট পড়েছিল। এবার এবিপি-আনন্দের সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিজেপির ভোট কমে ৭ শতাংশে দাঁড়াবে। এনডিটিভি দাবি করেছে, বিজেপির ভোট অতটা না হলেও কমছে, ১২ শতাংশে দাঁড়াবে। টাইমস নাউয়ের হিসাবেও ১২ শতাংশ। তবে বিজেপির ভোট কমলে কারা লাভবান হলো, তা সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়নি। তেমনই যে ১২৩টি আসনে মুসলমান ভোটদাতা নির্ণায়ক হতে পারেন, সেখানে ভোটের গতি কোন দিকে, তার কোনো ছবিও এসব সমীক্ষায় ধরা পড়েনি। আলাদা করে হিসাব নেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের ভোটের গতিপ্রকৃতিরও। তাই প্রায় সব সমীক্ষায় সাধারণভাবে তূণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, যার উত্তর মিলবে ১৯ মে নির্বাচন কমিশন যখন ফল ঘোষণা করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আবার ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, কমছে বিজেপি

প্রকাশের সময় : ১১:০৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬

ঢাকা: ভোটের পরের বুথফেরত সমীক্ষায় (একজিট পোল) প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যের মোট ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস একাই পেতে চলেছে ২৩৩ থেকে ২৫৩টি আসন। কংগ্রেস ও বামদের জোট পেতে পারে ৩৮ থেকে ৫১টি, বিজেপি ১ থেকে ৫টি এবং অন্যরা ২ থেকে ৫টি। টাইমস নাও নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস ১৬৭টি আর কংগ্রেস-বামপন্থী জোট ১২০টি আসন পেতে পারে। এ ছাড়া বিজেপি ৪টি ও অন্যদের ৩টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এনডিটিভির সমীক্ষা অনুযায়ী তূণমূল কংগ্রেস ১৯৬, কংগ্রেস-বাম জোট ৯২, বিজেপি ৩ এবং অন্যরা ৩টি আসন পেতে চলেছে।
এবিপি আনন্দ-নিয়েলসন সমীক্ষাতেও বলা হয়েছে, তূণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৬৩টি আসন এবং বাম-কংগ্রেস জোট ১২৬টি। এ ছাড়া বিজেপি ১টি, অন্যরা ৪টি। তবে এবিপি আনন্দ-নিয়েলসন সমীক্ষায় একই সঙ্গে একটি সতর্কবার্তা ধরা পড়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমীক্ষা অনুযায়ী অন্তত ২৫টি আসনে তূণমূল কংগ্রেস এবং জোটের প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৫ শতাংশেরও কম। এর ফলে এই ২৫টি আসন যেকোনো দিকে যেতে পারে। বর্তমান সমীক্ষায় যদিও এই ২৫টি আসন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে রেখে হিসাব করা হয়েছে। যদি ২৫টি আসন জোটের দিকে ঘুরে যায়, তা হলে ফল কিন্তু উল্টে যাবে। অর্থাৎ, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে থাকবে মোট ১৩৮টি আসন, যা কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ১৪৮টি আসনের চাইতে ১০টি কম। অন্যদিকে, ২৫টি আসন যোগ হলে জোটের আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৩টিতে। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে রাজ্যে পালাবদল ঘটবে।
১৯ মে নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল ঘোষণা করবে।
সব সমীক্ষাতেই ভোটের শতাংশের হিসাবে বলা হয়েছে, বিজেপির ভোট কমছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল এবং তাদের ভোটের পরিমাণ ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৭ শতাংশে। সেবার মোদি-হাওয়ায় বিজেপির দিকে অনেক বেশি ভোট পড়েছিল। এবার এবিপি-আনন্দের সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিজেপির ভোট কমে ৭ শতাংশে দাঁড়াবে। এনডিটিভি দাবি করেছে, বিজেপির ভোট অতটা না হলেও কমছে, ১২ শতাংশে দাঁড়াবে। টাইমস নাউয়ের হিসাবেও ১২ শতাংশ। তবে বিজেপির ভোট কমলে কারা লাভবান হলো, তা সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়নি। তেমনই যে ১২৩টি আসনে মুসলমান ভোটদাতা নির্ণায়ক হতে পারেন, সেখানে ভোটের গতি কোন দিকে, তার কোনো ছবিও এসব সমীক্ষায় ধরা পড়েনি। আলাদা করে হিসাব নেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের ভোটের গতিপ্রকৃতিরও। তাই প্রায় সব সমীক্ষায় সাধারণভাবে তূণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখলেও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, যার উত্তর মিলবে ১৯ মে নির্বাচন কমিশন যখন ফল ঘোষণা করবে।