নিউইয়র্ক ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
  • / ৫৪৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে দুর্দান্ত একটা সূচনা এনে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ১৮১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে শেষ দিকে ঋষভ পান্তের ৪৮ ও এমএস ধোনির ৩৫ রানে ভারত ৯ উইকেটে ৩১৪ রান করতে সক্ষম হয়। মুস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত বল করে নেন পাঁচ উইকেট।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এডবাস্টনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফিল্ডিংয়ে নেমে ১৮ রানেই রোহিতকে ফেরানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। সেই সুযোগই মিস করেছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সহজ ক্যাচ মিস করেন তিনি। জীবন পেয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রোহিত। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৮১ রানে সৌম্য সরকার ভাঙেন ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ১০৪ রান করেন রোহিত।
রোহিত শর্মার পর আউট হন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ১৯৫ রানে রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ৭৭ রান করেন তিনি। এরপর ৩৯তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২৩৭ রানে বিরাট কোহলিকে (২৬) রুবেলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি আউট হন। একই ওভারের চতুর্থ বলে শূন্য রানেই ফিরেন হার্দিক পান্ডে।
পরপর দুই উইকেট হারানোর পরও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ঝড় চলছিল। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২৭৭ রানে ৪১ বল থেকে ৪৮ রান করে সাকিবের প্রথম শিকারে পরিণত হন পান্ত। এরপর ৪৮তম ওভারে দলীয় ২৯৮ রানে দিনেশ কার্তিককে ফেরান মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে দলীয় ৩১১ রানে ৩৩ বল থেকে ৩৫ রান করে মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ধোনি। পরে ভুবনেশ্বর কুমার রান আউট হন দলীয় ৩১৪ রানে। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান সামি।
বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। সাত ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সাত নম্বরে। অপরদিকে গত রোববার ভারতকে হারানোর পর ৮ ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১০।
সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে আজ ভারত ও শেষ ম্যাচে পাস্তিানকে হারাতে হবে। তাতেও শেষ হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতে গেলে দুই ম্যাচ জিতেও লিগ পর্ব থেকে ঘরে ফিরতে হবে টাইগারদের। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯

হককথা ডেস্ক: রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতকে দুর্দান্ত একটা সূচনা এনে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ১৮১ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে শেষ দিকে ঋষভ পান্তের ৪৮ ও এমএস ধোনির ৩৫ রানে ভারত ৯ উইকেটে ৩১৪ রান করতে সক্ষম হয়। মুস্তাফিজুর রহমান দুর্দান্ত বল করে নেন পাঁচ উইকেট।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এডবাস্টনে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফিল্ডিংয়ে নেমে ১৮ রানেই রোহিতকে ফেরানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। সেই সুযোগই মিস করেছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সহজ ক্যাচ মিস করেন তিনি। জীবন পেয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রোহিত। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৮১ রানে সৌম্য সরকার ভাঙেন ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ১০৪ রান করেন রোহিত।
রোহিত শর্মার পর আউট হন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ১৯৫ রানে রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ৭৭ রান করেন তিনি। এরপর ৩৯তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২৩৭ রানে বিরাট কোহলিকে (২৬) রুবেলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি আউট হন। একই ওভারের চতুর্থ বলে শূন্য রানেই ফিরেন হার্দিক পান্ডে।
পরপর দুই উইকেট হারানোর পরও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ঝড় চলছিল। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২৭৭ রানে ৪১ বল থেকে ৪৮ রান করে সাকিবের প্রথম শিকারে পরিণত হন পান্ত। এরপর ৪৮তম ওভারে দলীয় ২৯৮ রানে দিনেশ কার্তিককে ফেরান মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে দলীয় ৩১১ রানে ৩৩ বল থেকে ৩৫ রান করে মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ধোনি। পরে ভুবনেশ্বর কুমার রান আউট হন দলীয় ৩১৪ রানে। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান সামি।
বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। সাত ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সাত নম্বরে। অপরদিকে গত রোববার ভারতকে হারানোর পর ৮ ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১০।
সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে আজ ভারত ও শেষ ম্যাচে পাস্তিানকে হারাতে হবে। তাতেও শেষ হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতে গেলে দুই ম্যাচ জিতেও লিগ পর্ব থেকে ঘরে ফিরতে হবে টাইগারদের। (দৈনিক ইত্তেফাক)