নিউইয়র্ক ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড় : লড়াই করেও হেরে গেল বাংলাদেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯
  • / ৪৩৭ বার পঠিত

মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিং। ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে লড়াই করেও হেরে গেল বাংলাদেশ। অসিদের বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড়সম রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ও সাকিবের ব্যাটে দুর্দান্ত লড়াই করে বাংলাদেশ। কিন্তু সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি টাইগাররা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।
ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।
আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৯৭ বল খেলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন মুশফিক।
অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫
ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।
উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।
টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।
উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।
এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তান্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।
তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।
৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২*,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড় : লড়াই করেও হেরে গেল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০১৯

মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য ব্যাটিং। ছবি: সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে লড়াই করেও হেরে গেল বাংলাদেশ। অসিদের বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড়সম রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ও সাকিবের ব্যাটে দুর্দান্ত লড়াই করে বাংলাদেশ। কিন্তু সামর্থের সর্বোচ্চ দিয়ে খেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি টাইগাররা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইংল্যান্ডের নটিংহামে প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি (১৬৬), উসমান খাজা ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ৩৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রান করেন মুশফিক। ৬৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ৬২ রান করেন তামিম ইকবাল। ৪১ রান করেন সাকিব।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮২ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের। ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন ফেরেন ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন।
ইনিংসের শুরু থেকে অসাধারণ ব্যাটিং করেন তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এ ওপেনার। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া তামিম মিসেল স্টার্কের ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।
আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করেন লিটন। অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
লিটন দাসের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেধে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা ১২৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২৮ বলে ৮০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নাথান কোল্টার নিলের তোপের মুখে পড়ে দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের মধ্য দিয়ে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের একার লড়াইয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৯৭ বল খেলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন মুশফিক।
অস্ট্রেলিয়া ৩৮১/৫
ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।
উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।
টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।
উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। সৌম্যর বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার। তার আগে ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান এ তারকা ব্যাটসম্যান।
এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তান্ডব চালান গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের সাহায্যে ৩২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ খুনে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। তার দুর্দান্ত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ম্যাক্সওয়েলের।
তবে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন উসমান খাজা। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ান এ মুসলিম ক্রিকেটারকে তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সৌম্য সরকার। তার আগে ৭২ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা খুলতে না খুলতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টিভ স্মিথ।
৪৯ ওভারে দলীয় ৩৬৮/৫ রানের সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে খেলা আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা ওভারে ১৩ রান আদায় করে নেন মার্কু স্টইনিস ও অ্যালেক্স ক্যারি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, উসমান ৮৯, ফিঞ্চ ৫৩, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টইনিস ১৭*, অ্যালেক্স ক্যারি ১১*, স্মিথ ১; সৌম্য ৩/৫৮, মোস্তাফিজ ১/৬৯)।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৩/১০ (মুশফিক ১০২*,মাহমুদউল্লাহ ৬৯, তামিম ৬২, সাকিব ৪১)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৮ রানে জয়ী।