নিউইয়র্ক ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পর্যালোচনা : যেকারণে হিলারির পরাজয়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০১৬
  • / ১৮৩০ বার পঠিত

কলাম্বিয়া (মিজৌরি): ভোটের রাজনীতিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকানদের ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে খ্যাত পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, ওহায়ো এবং ফ্লোরিডা। কোন দল থেকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তা মূলত এ পাঁচটি স্টেটের ভোটই নির্ধারণ করে দেয়। কারণ, মোট ৫৩৮টি ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে এ পাঁচ স্টেটে ভোটের সংখ্যা ৯৩ (পেনসিলভানিয়া ২০, মিশিগান১৬, উইসকনসিন১০, ওহাইয়ো ১৮ এবং ফ্লোরিডা ২৯)। যেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০ ইলেক্টরাল ভোটের দরকার। হিলারি ক্লিন্টন এ পাঁচ স্টেটের সবকটিতেই হেরেছেন। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান এবং ফ্লোরিডাতে ১% ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।
২০১২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রাট প্রার্থী বারাক ওবামা ব্যাটলগ্রাউন্ড সব স্টেটগুলোতেই জিতেছেন। মানে ৫টি স্টেটেরর ৯৩টি ইক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। ফলে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এ পাঁচ স্টেটের একটিতেও জিতে পারেননি। এই স্টেটগুলোর ভোট ভাগিয়ে নিতে না পারার দরুনই তিনি বিশাল ব্যবধানে (ইলেক্টরাল ভোট হিলারি ২৩২ এবং ট্রাম্প ৩০৬) হেরেছেন।
পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনে ১৯৯২ থেকে ২০১২ পযর্ন্ত গত ৭ টি প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনের কোনটিতে হারেনি ডেমোক্রাটরা। কোন ডেমোক্রাট সমর্থকই বিশ্বাস করেনি এ তিনটি ব্লু স্টেটে ডেমোক্রাটরা হারতে পারে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনে মোট ইলেক্ট্ররাল ভোট ৪৬টি। এ তিনটাতে জিতলে হিলারির ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখ্যা হতো ২৩২+ ৪৬= ২৭৮টি। অর্থাৎ হিলারি প্রয়োজনের চেয়ে ৮ ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। ট্রাম্প এ তিনটি স্টেটে হারলে তার ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখ্যা কমে হতো ৩০৬-৪৬= ২৬০। এর অর্থ হচ্ছে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনই তাকে জিতিয়ে দিয়েছে। ফ্লোরিডা এবং ওহায়ো সব সময় ওঠা-নামা করে। কিন্তু বাকি তিনটা ব্লু স্টেট বলেই বিবেচনা করা হয়।
অপরদিকে, ইস্ট ও ওয়েস্ট কোস্টের প্রায় সব স্টেটেই ডেমোক্রাটরা জিতবে এমনটা ধরেই নেয়া হয়। আর এ সব স্টেটকে বলা হয় ব্লু স্টেট। এর মধ্যে শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতে ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখা ৫৫টি এবং নিইউয়র্কের ২৯টি। এ জন্য ডেমোক্রাটদের জেতার জন্য খুব বেশি স্টেটে জয়ী হওয়া প্রয়োজন পরে না। অপরদিকে, মিড-ওয়েস্ট এবং সাউদার্ন স্টেটগুলো যুগ যুগ ধরে রিপাবলিকানদের দখলে। এসব স্টেটকে বলা হয় রেড স্টেট। এর মধ্যে টেক্সাস এ ৩৮টি, জর্জিয়ায় ১৬ টি, ইন্ডিয়ানা, অ্যারিজোনা, ও টেনেসিতে ১১টি করে এবং মিজৌরিতে ১০ ইলেক্ট্ররাল ভোট। যা সব সময় রিপাবলিকানরা পেয়ে থাকে। তবে, রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট রেসে জিততে হলে শুধু রেড স্টেটের দিকে চেয়ে থাকলে হয়না। ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে তাদের জিততে হয়। এবার সেটি তারা করতে পেরেছে। সবগুলো ব্যাটগ্রাউন্ডে তারা জিতেছে। যার ফলও তারা পেয়েছে।
কলাম্বিয়া, মিজৌরি

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

পর্যালোচনা : যেকারণে হিলারির পরাজয়

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০১৬

কলাম্বিয়া (মিজৌরি): ভোটের রাজনীতিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকানদের ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে খ্যাত পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, ওহায়ো এবং ফ্লোরিডা। কোন দল থেকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন তা মূলত এ পাঁচটি স্টেটের ভোটই নির্ধারণ করে দেয়। কারণ, মোট ৫৩৮টি ইলেক্টরাল ভোটের মধ্যে এ পাঁচ স্টেটে ভোটের সংখ্যা ৯৩ (পেনসিলভানিয়া ২০, মিশিগান১৬, উইসকনসিন১০, ওহাইয়ো ১৮ এবং ফ্লোরিডা ২৯)। যেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২৭০ ইলেক্টরাল ভোটের দরকার। হিলারি ক্লিন্টন এ পাঁচ স্টেটের সবকটিতেই হেরেছেন। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান এবং ফ্লোরিডাতে ১% ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।
২০১২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রাট প্রার্থী বারাক ওবামা ব্যাটলগ্রাউন্ড সব স্টেটগুলোতেই জিতেছেন। মানে ৫টি স্টেটেরর ৯৩টি ইক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। ফলে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এ পাঁচ স্টেটের একটিতেও জিতে পারেননি। এই স্টেটগুলোর ভোট ভাগিয়ে নিতে না পারার দরুনই তিনি বিশাল ব্যবধানে (ইলেক্টরাল ভোট হিলারি ২৩২ এবং ট্রাম্প ৩০৬) হেরেছেন।
পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনে ১৯৯২ থেকে ২০১২ পযর্ন্ত গত ৭ টি প্রেসিডেন্টসিয়াল নির্বাচনের কোনটিতে হারেনি ডেমোক্রাটরা। কোন ডেমোক্রাট সমর্থকই বিশ্বাস করেনি এ তিনটি ব্লু স্টেটে ডেমোক্রাটরা হারতে পারে। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনে মোট ইলেক্ট্ররাল ভোট ৪৬টি। এ তিনটাতে জিতলে হিলারির ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখ্যা হতো ২৩২+ ৪৬= ২৭৮টি। অর্থাৎ হিলারি প্রয়োজনের চেয়ে ৮ ভোট বেশি পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন। ট্রাম্প এ তিনটি স্টেটে হারলে তার ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখ্যা কমে হতো ৩০৬-৪৬= ২৬০। এর অর্থ হচ্ছে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, উইসকনসিনই তাকে জিতিয়ে দিয়েছে। ফ্লোরিডা এবং ওহায়ো সব সময় ওঠা-নামা করে। কিন্তু বাকি তিনটা ব্লু স্টেট বলেই বিবেচনা করা হয়।
অপরদিকে, ইস্ট ও ওয়েস্ট কোস্টের প্রায় সব স্টেটেই ডেমোক্রাটরা জিতবে এমনটা ধরেই নেয়া হয়। আর এ সব স্টেটকে বলা হয় ব্লু স্টেট। এর মধ্যে শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতে ইলেক্ট্ররাল ভোটের সংখা ৫৫টি এবং নিইউয়র্কের ২৯টি। এ জন্য ডেমোক্রাটদের জেতার জন্য খুব বেশি স্টেটে জয়ী হওয়া প্রয়োজন পরে না। অপরদিকে, মিড-ওয়েস্ট এবং সাউদার্ন স্টেটগুলো যুগ যুগ ধরে রিপাবলিকানদের দখলে। এসব স্টেটকে বলা হয় রেড স্টেট। এর মধ্যে টেক্সাস এ ৩৮টি, জর্জিয়ায় ১৬ টি, ইন্ডিয়ানা, অ্যারিজোনা, ও টেনেসিতে ১১টি করে এবং মিজৌরিতে ১০ ইলেক্ট্ররাল ভোট। যা সব সময় রিপাবলিকানরা পেয়ে থাকে। তবে, রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট রেসে জিততে হলে শুধু রেড স্টেটের দিকে চেয়ে থাকলে হয়না। ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে তাদের জিততে হয়। এবার সেটি তারা করতে পেরেছে। সবগুলো ব্যাটগ্রাউন্ডে তারা জিতেছে। যার ফলও তারা পেয়েছে।
কলাম্বিয়া, মিজৌরি