নিউইয়র্ক ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন : কমলা হ্যারিস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ৫৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে আমেরিকার ইতিহাসে ব্যর্থতম বলে আখ্যা দিলেন আসন্ন নির্বাাচনে ডেমোক্রেটিক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের সল্টলেক সিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্সের সঙ্গে তর্কযুদ্ধের (ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) মঞ্চে এ কথা বলেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে, রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির মহামারি মোকাবিলার পরিকল্পনা হোয়াইট হাউস থেকে ‘চুরি করা’বলে অভিযোগ করেছেন। সংবাদসূত্র: এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই বড় দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে ডেমোক্রেট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান মাইক পেন্স তীব্র বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন। বুধবারের (৭ অক্টোবর) এই বিতর্কের অনেকটাজুড়েই ছিল করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ও বর্ণবাদ ইস্যু। জনমত জরিপগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের সামান্য এগিয়ে থাকার মধ্যেই বুধবার সল্ট লেক সিটির উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লাইভ টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ইউএসএ টুডে-র সাংবাদিক সুসান পেজ।
আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। তার আগেই দেশটিতে নানা ইস্যুতে আলোচনা জোরদার হয়ে উঠেছে। রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট কারা এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হবে, তা নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, একই সঙ্গে এ বছর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-এশিয়ান এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান সিনেটর কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া বাড়তি আগ্রহ যোগ করেছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার প্রথমবার রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট ও একটি ভাইস প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন যে, প্রেসিডেন্টসিয়াল আর ভাইস প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট দেখে জনগণ ভোট দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্ক একটি অন্যতম অনুষঙ্গ এবং এটি নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আমেরিকান রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন নিতে হলেও বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে প্রার্থীদের প্রজ্ঞা, মেধা, সহনশীলতাসহ অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পান ভোটাররা। আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মায়ামি ও ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে: ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে বিতর্কে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ আমাদের দেশের ইতিহাসে ব্যর্থতম প্রশাসনকে দেখেছে।’ এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর ঝুঁকির বিষয়ে আগে থেকে জেনেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন,‘আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, করোনাভাইরাস গুজবমাত্র। তারা (ট্রাম্প প্রশাসন) করোনার ঝুঁকিকে খাটো করে দেখিয়েছে।’
রিপাবলিকান পেন্স তার বক্তব্যে বাইডেন-কমলা শিবিরের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের মহামারি মোকাবিলার কৌশল হুবহু নকল করার অভিযোগ করেন। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৮৭ সালে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের দৌড় থেকে বাইডেনের ছিটকে পড়ার দিকেও ইঙ্গিত করেন। সেবার বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ লেবার নেতা নেইল কিনোকের বক্তৃতা চুরির অভিযোগ উঠেছিল।
বিতর্কের একপর্যায়ে সঞ্চালক নির্বাচনের আগে কোনো টিকা অনুমোদন পেলে এবং সরবরাহ শুরু হলে কমলা তা গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে ডেমোক্রেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা না বললে কেবল ট্রাম্পের কথায় তিনি টিকা নেবেন না।
ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্ব›দ্বীর অবস্থানের জবাবে হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের প্রধান পেন্স বলেন, ‘আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে কোনো টিকা এলেও আপনি (কমলা হ্যারিস) ওই টিকার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে জনগণের আস্থা হ্রাসের চেষ্টা করবেন, যাকে বিবেকবর্জিত কাজ বলেই আমি মনে করি।’ এছাড়া বর্ণবাদ নিয়ে আলোচনায় মার্কিন এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ড তাকে মর্মাহত করেছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন : কমলা হ্যারিস

প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে আমেরিকার ইতিহাসে ব্যর্থতম বলে আখ্যা দিলেন আসন্ন নির্বাাচনে ডেমোক্রেটিক দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা অঙ্গরাজ্যের সল্টলেক সিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক পেন্সের সঙ্গে তর্কযুদ্ধের (ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট) মঞ্চে এ কথা বলেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে, রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স ডেমোক্রেটিক পার্টির মহামারি মোকাবিলার পরিকল্পনা হোয়াইট হাউস থেকে ‘চুরি করা’বলে অভিযোগ করেছেন। সংবাদসূত্র: এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই বড় দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে ডেমোক্রেট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান মাইক পেন্স তীব্র বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন। বুধবারের (৭ অক্টোবর) এই বিতর্কের অনেকটাজুড়েই ছিল করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ ও বর্ণবাদ ইস্যু। জনমত জরিপগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের সামান্য এগিয়ে থাকার মধ্যেই বুধবার সল্ট লেক সিটির উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লাইভ টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ইউএসএ টুডে-র সাংবাদিক সুসান পেজ।
আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। তার আগেই দেশটিতে নানা ইস্যুতে আলোচনা জোরদার হয়ে উঠেছে। রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট কারা এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হবে, তা নিয়ে যেমন আলোচনা চলছে, একই সঙ্গে এ বছর প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-এশিয়ান এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান সিনেটর কমলা হ্যারিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়া বাড়তি আগ্রহ যোগ করেছে। আর এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার প্রথমবার রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হন কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তিনটি প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট ও একটি ভাইস প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন যে, প্রেসিডেন্টসিয়াল আর ভাইস প্রেসিডেন্টসিয়াল ডিবেট দেখে জনগণ ভোট দেবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্ক একটি অন্যতম অনুষঙ্গ এবং এটি নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আমেরিকান রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন নিতে হলেও বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে প্রার্থীদের প্রজ্ঞা, মেধা, সহনশীলতাসহ অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পান ভোটাররা। আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মায়ামি ও ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে: ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে বিতর্কে অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ আমাদের দেশের ইতিহাসে ব্যর্থতম প্রশাসনকে দেখেছে।’ এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর ঝুঁকির বিষয়ে আগে থেকে জেনেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন,‘আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, করোনাভাইরাস গুজবমাত্র। তারা (ট্রাম্প প্রশাসন) করোনার ঝুঁকিকে খাটো করে দেখিয়েছে।’
রিপাবলিকান পেন্স তার বক্তব্যে বাইডেন-কমলা শিবিরের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের মহামারি মোকাবিলার কৌশল হুবহু নকল করার অভিযোগ করেন। এর মাধ্যমে তিনি ১৯৮৭ সালে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের দৌড় থেকে বাইডেনের ছিটকে পড়ার দিকেও ইঙ্গিত করেন। সেবার বাইডেনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ লেবার নেতা নেইল কিনোকের বক্তৃতা চুরির অভিযোগ উঠেছিল।
বিতর্কের একপর্যায়ে সঞ্চালক নির্বাচনের আগে কোনো টিকা অনুমোদন পেলে এবং সরবরাহ শুরু হলে কমলা তা গ্রহণ করবেন কিনা জানতে চাইলে ডেমোক্রেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বলেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা না বললে কেবল ট্রাম্পের কথায় তিনি টিকা নেবেন না।
ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্ব›দ্বীর অবস্থানের জবাবে হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের প্রধান পেন্স বলেন, ‘আসলে ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে কোনো টিকা এলেও আপনি (কমলা হ্যারিস) ওই টিকার বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে জনগণের আস্থা হ্রাসের চেষ্টা করবেন, যাকে বিবেকবর্জিত কাজ বলেই আমি মনে করি।’ এছাড়া বর্ণবাদ নিয়ে আলোচনায় মার্কিন এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ড তাকে মর্মাহত করেছে।’