নিউইয়র্ক ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাইডেনের ‘সঙ্গী’ কে এই কমলা?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাওয়া আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী ভাবা হচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু জরিপে দেখা যাচ্ছে বাইডেনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে জো বাইডেন এমন একজনকে রানিং মেট বেছে নিয়েছেন, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। শুধু তাই নয়, তিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী। ৫৫ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসই প্রথম কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দু’দলের একটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন পেলেন। আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি বাইডেন জিতেন, আমেরিকাতে তা হলে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হবেন কমলা।
কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর। তিনি প্রেসিডেন্ট পদেও প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। ২০১৯ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের জন্মদিনে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলেরও দায়িত্ব পালন করেছেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু ওই লড়াইয়ে হেরে যান কমলা। দৃঢ়চেতা সেই কমলাকে মনে ধরেছে ডেমোক্র্যাটদের, তাই তো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে তাকে বেছে নেয়া হয়েছে।
আর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবারও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের রানিং মেট থাকছেন।
কমলাকে সঙ্গী করে ট্রাম্পকে হারানোর স্বপ্ন বুনছেন জো বাইডেন। তিনি টুইট করে কমলা সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা এবং দেশের অন্যতম সেরা জনগণের সেবক। কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছি। তিনি আমেরিকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন, আমার আশা। সারাজীবন ধরে তিনি সবার জন্য লড়াই করে আসছেন। এবার হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবাই মিলে ট্রাম্পকে হারাতে চলেছি আগামী দিনে।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম একটি জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত কমলা। তিনি এমন সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে যাচ্ছেন, যখন করোনার জেরে আমেরিকার অর্থনীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাড়ছে বেকার সংখ্যা।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যানুযায়ী, কমলা চেন্নাইয়ে জন্মেছিলেন। তার মা শ্যামলা গোপালন ছিলেন ক্যানসার গবেষক। ২০০৯ সালে তার মৃত্যু হয়। কমলার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকার। তিনি স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। খুব কম বয়সেই কমলার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তারই মধ্যে কমলা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তিনি হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৩ সালে হ্যারিস প্রথমবার নির্বাচনে জেতেন এবং সেন্ট ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন।
বিবিসি জানায়, সান ফ্রান্সিস্কোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকাকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমালোচক ছিলেন কমলা। গত বছর একটা সময় কমলা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের পার্টির লড়াইয়ে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের সময় একাধিক বিতর্কে বাইডেনকে তীব্র সমালোচনাও করেছেন কমলা। কিন্তু সেই বাইডেনের সঙ্গেই তিনি এবার নির্বাচনে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কমলা হ্যারিসের আগে মাত্র দু’জন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হয়েছিলেন- ২০০৮ সালে সিনেটর সারাহ পোলিন এবং ১৯৮৪ সালে ডেমোক্র্যাটদের থেকে জেরালডিন ফেরারো। তাদের কেউ-ই হোয়াইট হাউসে যেতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কখনও দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কোনোটি থেকে অশ্বেতাঙ্গ কোনো নারীকে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে টিকিট দেয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো নারীর বিজয়ও হয়নি।
ওবামা প্রশাসনে দু’দফায় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলানো ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তার রানিং মেট হবেন একজন নারী। অনেক কাটাছেঁড়ার পর শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত তালিকায় যে পাঁচ নারীর নাম ছিল, কমলা হ্যারিস ছিলেন শীর্ষে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত হওয়ার পর কমলা হ্যারিস এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, জো বাইডেন আমেরিকার জনগণকে একীভূত করতে পারবেন। কারণ তিনি আমাদের জন্য লড়াই করেই জীবন কাটিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এমন একটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করবেন, যা নীতির ওপর চলবে।
বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও লিখেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের আমাদের দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তার সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত এবং তাকে আমাদের সর্বাধিনায়ক হওয়ার জন্য যা করতে হবে তা করার জন্য আমি সম্মানিত।
বাইডেন কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করার পর পরই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। কমলার প্রতিদ্ব›দ্বীরাও তাকে অভিনন্দিত করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, রানিং মেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে জীবনের বেশিরভাগ সময় কৌঁসুলি হিসেবে কাটানো উদারনৈতিক ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত কমলাই ছিলেন বাইডেনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পছন্দ। ডেমোক্র্যাটিক স্টাবলিশমেন্টের একজন বিশ্বাসযোগ্য মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে।
বাইডেনের কমলাকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তে ভারতীয়রা উচ্ছসিত হলেও খোঁচা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার লক্ষ্যে লড়াইয়ে থাকা ট্রাম্প মন্তব্য করেন, বাইডেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া সত্তে¡ও কমলাকে নিজের ডেপুটি হিসেবে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তে তিনি ‘অবাক’ হয়েছেন।
এদিকে আগামী ৭ অক্টোবর উটাহর সল্ট লেক সিটিতে বিতর্কে মাইক পেন্সের মুখোমুখি হবেন কমলা হ্যারিস। (দৈনিক যুগান্তর)

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাইডেনের ‘সঙ্গী’ কে এই কমলা?

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খাওয়া আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী ভাবা হচ্ছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে। যুক্তরাষ্ট্রের বহু জরিপে দেখা যাচ্ছে বাইডেনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এই নির্বাচনে জো বাইডেন এমন একজনকে রানিং মেট বেছে নিয়েছেন, যিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। শুধু তাই নয়, তিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী। ৫৫ বছর বয়সী কমলা হ্যারিসই প্রথম কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ নারী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দু’দলের একটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন পেলেন। আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি বাইডেন জিতেন, আমেরিকাতে তা হলে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হবেন কমলা।
কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর। তিনি প্রেসিডেন্ট পদেও প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। ২০১৯ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের জন্মদিনে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলেরও দায়িত্ব পালন করেছেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু ওই লড়াইয়ে হেরে যান কমলা। দৃঢ়চেতা সেই কমলাকে মনে ধরেছে ডেমোক্র্যাটদের, তাই তো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে তাকে বেছে নেয়া হয়েছে।
আর বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবারও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের রানিং মেট থাকছেন।
কমলাকে সঙ্গী করে ট্রাম্পকে হারানোর স্বপ্ন বুনছেন জো বাইডেন। তিনি টুইট করে কমলা সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা এবং দেশের অন্যতম সেরা জনগণের সেবক। কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছি। তিনি আমেরিকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন, আমার আশা। সারাজীবন ধরে তিনি সবার জন্য লড়াই করে আসছেন। এবার হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবাই মিলে ট্রাম্পকে হারাতে চলেছি আগামী দিনে।’
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্যতম একটি জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত কমলা। তিনি এমন সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে যাচ্ছেন, যখন করোনার জেরে আমেরিকার অর্থনীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাড়ছে বেকার সংখ্যা।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যানুযায়ী, কমলা চেন্নাইয়ে জন্মেছিলেন। তার মা শ্যামলা গোপালন ছিলেন ক্যানসার গবেষক। ২০০৯ সালে তার মৃত্যু হয়। কমলার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিস জ্যামাইকার। তিনি স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। খুব কম বয়সেই কমলার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তারই মধ্যে কমলা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তিনি হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ২০০৩ সালে হ্যারিস প্রথমবার নির্বাচনে জেতেন এবং সেন্ট ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন।
বিবিসি জানায়, সান ফ্রান্সিস্কোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকাকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমালোচক ছিলেন কমলা। গত বছর একটা সময় কমলা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের পার্টির লড়াইয়ে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের সময় একাধিক বিতর্কে বাইডেনকে তীব্র সমালোচনাও করেছেন কমলা। কিন্তু সেই বাইডেনের সঙ্গেই তিনি এবার নির্বাচনে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কমলা হ্যারিসের আগে মাত্র দু’জন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হয়েছিলেন- ২০০৮ সালে সিনেটর সারাহ পোলিন এবং ১৯৮৪ সালে ডেমোক্র্যাটদের থেকে জেরালডিন ফেরারো। তাদের কেউ-ই হোয়াইট হাউসে যেতে পারেননি।
যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কখনও দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কোনোটি থেকে অশ্বেতাঙ্গ কোনো নারীকে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে টিকিট দেয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো নারীর বিজয়ও হয়নি।
ওবামা প্রশাসনে দু’দফায় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলানো ৭৭ বছর বয়সী বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তার রানিং মেট হবেন একজন নারী। অনেক কাটাছেঁড়ার পর শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত তালিকায় যে পাঁচ নারীর নাম ছিল, কমলা হ্যারিস ছিলেন শীর্ষে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত হওয়ার পর কমলা হ্যারিস এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, জো বাইডেন আমেরিকার জনগণকে একীভূত করতে পারবেন। কারণ তিনি আমাদের জন্য লড়াই করেই জীবন কাটিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এমন একটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করবেন, যা নীতির ওপর চলবে।
বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরও লিখেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের আমাদের দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তার সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি সম্মানিত এবং তাকে আমাদের সর্বাধিনায়ক হওয়ার জন্য যা করতে হবে তা করার জন্য আমি সম্মানিত।
বাইডেন কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করার পর পরই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। কমলার প্রতিদ্ব›দ্বীরাও তাকে অভিনন্দিত করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, রানিং মেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে জীবনের বেশিরভাগ সময় কৌঁসুলি হিসেবে কাটানো উদারনৈতিক ডেমোক্র্যাট হিসেবে পরিচিত কমলাই ছিলেন বাইডেনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পছন্দ। ডেমোক্র্যাটিক স্টাবলিশমেন্টের একজন বিশ্বাসযোগ্য মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাকে।
বাইডেনের কমলাকে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তে ভারতীয়রা উচ্ছসিত হলেও খোঁচা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার লক্ষ্যে লড়াইয়ে থাকা ট্রাম্প মন্তব্য করেন, বাইডেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া সত্তে¡ও কমলাকে নিজের ডেপুটি হিসেবে বেছে নেয়ার সিদ্ধান্তে তিনি ‘অবাক’ হয়েছেন।
এদিকে আগামী ৭ অক্টোবর উটাহর সল্ট লেক সিটিতে বিতর্কে মাইক পেন্সের মুখোমুখি হবেন কমলা হ্যারিস। (দৈনিক যুগান্তর)