নিউইয়র্ক ০৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতাদের পছন্দের প্রার্থী কে?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০১৬
  • / ১০৩২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অভিবাসীদের দেশখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার এই নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে দুই শীর্ষ প্রার্থী ট্রাম্প-হিলারী দ্বন্দ্ব চরম আকারে পৌঁছেছে। উভয় পক্ষ নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব, অপরদিকে, হিলারী ক্লিন্টনের উদারনীতি এই দুয়ের লড়াইয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের রাজনীতিতে। সময় যতই গড়িয়ে আসছে হিলারী আর ট্রাম্পের মধ্যকার শেষ লড়াইয়ে ততই জমে উঠছে। তবে এরই মধ্যে জরিপে এগিয়ে থাকা হিলারী ক্লিন্টনের ইমেইল ইস্যুতে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিকে। কারণ হঠাৎ করে এফবিআই ডিরেক্টরের ইমেইল তদন্ত রি-অপেন বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ডেমোক্রেট শিবির। তবে, দুই প্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন ও রাজনীতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশীরা মনে করছেন, ট্রাম্প নয়, হিলারীই হচ্ছেন আগামীর প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতাদের পছন্দের প্রার্থী’র কথা।
maf-misbah-uddinমাফ মিসবাহ প্রেসিডেন্ট, এলায়েন্স ফর সাউথ এশিয়ান লেবার
যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী নিঃসন্দেহে সেক্রেটারি ক্লিনটন অর্থাৎ হিলারি ক্লিনটন। কারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সব কিছুর বিবেচনায় হিলারি ক্লিনটন সেরা এবং যোগ্য প্রার্থী। হিলারি ক্লিনটন কম্প্রিহেন্সিভ ইমিগ্রেশন রিফর্মের কথা বলেছেন। এর ফলে এদেশে দীর্ঘদিনধরে বসবাসকারী আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টসরা লিগ্যাল হবার সুযোগ পাবেন। হিলারি ক্লিনটনের শিক্ষানীতি অত্যন্ত চমকপ্রদ। হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হলে কমিউনিটি কলেজগুলোকে ফ্রি করে দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকে এফোর্ডেবল করবেন। হিলারি ক্লিনটন ৫.৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি সৃষ্টি করবেন, কর্মঘন্টা ১৫ ডলারে উত্তীর্ন করবেন। তাই আমি এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান লেবারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবো, আপনারা ৮ নভেম্বর দিনের প্রথমভাগেই ভোট কেন্দ্রে আসুন এবং হিলারি ক্লিন্টকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
naima-khan_10-may2015নাইমা খান চেয়ারপারসন, খানস টিউটোরিয়াল
প্রেসিডেনট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন আমার পছন্দের প্রার্থী। স্মরণযোগ্য যে, মার্কিন ইতিহাসে একদল নারী প্রথম ১৮৭১ সালের দিকে হোয়াইট হাউসের সামনে তাদের ভোটাধিকারের জন্য নীরব প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই বলা যায়, নভেম্বরে হিলারি ক্লিন্টন নির্বাচনে জিতলে ১শ বছর পর ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী একজন মহিলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সমাসীন হবেন। যার মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণতা পাবে নারীর ভোটাধিকার অর্জনের ইতিহাস। উল্লেখ্য, হিলারি ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সিনেটর ছিলেন, ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তার রয়েছে তিন দশকেরও বেশি রাজনৈতিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা। হিলারি নির্বাচিত হলে কম্প্রিহেন্সিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম করবেন। ইমিগ্রান্টদের তীর্থভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইমিগ্রান্টদের জন্য নিরাপদভূমিতে পরিণত করবেন।
abdul-mukit-chowমুকিত চৌধুরী প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তার পলিসিগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সহায়ক হবে। গত ৮ বছরে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং তার প্রশাসন এমন কোন উল্ল্যেখযোগ্য উন্নতি বা অগ্রগতি দেখাতে পারেনি আমেরিকার জনগণের জন্য। এই দেশে কি আমরা মার্কিন নাগরিকেরা থাকব, না বাইরে থেকে লোক এসে থাকবে? অন্যদেশে থেকে আপনি যদি অবাধে লোক আসার সুযোগ দেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবন অনিরাপদ হয়ে পরবে। যুক্ত্রারাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। ট্রাম্প আমেরিকার টোটাল সিস্টেমকেই ঢেলে সাজাবেন এবং তা আমেরিকান নাগরিকদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
gias-ahmed-picগিয়াস আহমেদ সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি
আমি একজন রেজিস্ট্রার্ড রিপাবলিকান। রিপাবলিকান দল থেকে আমি ২০০৪ সালে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। তিনজন প্রার্থীর মধ্যে আমি ছিলাম দ্বিতীয়। একজন রিপাবলিকান হয়েও এবারের নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী করতে হিলারি ক্লিনটন সেরা। ট্রাম্পের উল্টা-পাল্টা কথা, মন্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিভেদের জন্ম দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এই বিভেদ আরো বাড়বে। হেট ক্রাইম বাড়বে। যুক্তাষ্ট্রের আভিজাত্য নষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন এন্টি ইমিগ্রান্ট, এন্টি মুসলিম, এন্টি ল্যাটিনো, এন্টি মেক্সিকান। ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনোভাবেবি ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকাকে রিপ্রেজেন্ট করেন। বহু রিপাবলিকান পলিসি মেকাররা আছেন যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছেন না। একদল ফেনাটিক, চরম ডানপন্থীরা ট্রাম্পকে সাপোর্ট দিচ্ছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট হবার মত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কিংবা দূরদর্শিতা নেই।
mazeda-uddinমাজেদা উদ্দিন চেয়্যারপার্সন, সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশীপ এন্ড ট্রেনিং
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনট নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ, হিলারি সবদিক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে যোগ্য। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা সৃষ্টিতে কাজ করবেন হিলারি। জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন, উইমেন্স ভায়োলেন্সের পক্ষে ইতিবাচক এবং সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন হিলারি। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে নারী শিক্ষা, নারী উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। হিলারি মুসলমানদের উপর হেইট ক্রাইম বন্ধে ভূমিকা রাখবেন। কর্মঘন্টা বাড়াতে উদ্যোগ নেবেন হিলারি। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নের লড়াইয়ে এসে অভিবাসী মুসলমানদের আক্রমণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী মুসলমানদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
rokeya-akhtarরোকেয়া আখতার প্রেসিডেন্ট, নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম
এবারের নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ হিলারি ক্লিনটন একমাত্র যোগ্য প্রাথী। তার শিক্ষা, বর্ণিল পেশাগতজীবন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও অভিজ্ঞতা, তার মার্জিত আচরণ, তার দূরদর্শিতা, তার ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণী ক্ষমতা এসবই একজন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তাকে বেস্ট প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হিলারির নির্বাচনী এজেন্ডা ইমিগ্রান্টদের জন্য সহায়ক। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমিগ্রান্টদের এই দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্রান্টদের জন্য আদর্শ জায়গা। যুক্তরাষ্ট্রের আভিজাত্য-একতা নষ্ট হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন। যুক্তরাষ্ট্রে তথা সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নকে আরো বেগবান করবেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি সহনশীল, ডিসেন্ট এবং যোগ্য প্রার্থী নিঃসন্দেহে।
n-mozumderমোহাম্মদ এন মজুমদার, আইনজীবী
এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন হচ্ছেন আশার আলো আর ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন ভীতির প্রতীক। হিলারি ইজ হোপ এন্ড ট্রাম্প ইজ ফিয়ার। আমি হিলারি ক্লিন্টনকে ভোট দেব। হিলারির ইমিগ্রেশন পলিসি, রিলিজিয়াস পলিসি মুসলিম ইমিগ্রান্টদের জন্য হেল্পফুল। শুধু মুসলিম ইমিগ্রান্ট নয় সব ইমিগ্রান্টদের জন্য, মধ্যবিত্তদের জন্য হিলারি সেরা। সবদিক থেকে এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এবারের নির্বাচন মূলত একজন যোগ্য ও সেরা প্রার্থীর সাথে অযোগ্য প্রার্থীর লড়াই। ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনীদের বন্ধু। তিনি নির্বাচিত হলে ধনীরা আরো ধণী হবে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের/দরিদ্যদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবেনা। উপরন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক মন্তব্য মধ্যবিত্তদের ভাগ্য বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
farida-yesmin-picফরিদা ইয়াসমিন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমি অবশ্যই হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেব কারণ হিলারি ক্লিন্টন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। বর্তমান ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেছেন ‘এবারের নির্বাচন আগের অন্য কোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনীয় নয়, আর সে কারণেই আমি মাঠে নেমেছি।’ আমিও মনে করি সব দিক থেকে এবারের নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এবার প্রতিদ্বিন্দ্বিতা চলছে একজন যোগ্য এবং একজন অযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ধন কুবের, ব্যবসায়ী, টিভি উপস্থাপক। রাজনৈতিক শিক্ষা-অভিজ্ঞতা কোনোটাই তার নেই। হিলারি তার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে, অফিসিয়াল ক্যারিয়ারে যখন নারীদের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ কাজ করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন টিভিতে সুন্দরী প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে ব্যস্ত ছিলেন। এই হলো দু’জনের পার্থক্য। আমি কমিউনিটির সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা যারা মার্কিন নাগরিক, তারা অবশ্যই ৮ নভেম্বর ভোট দেবেন এবং হিলারী ক্লিন্টনকে ভোট দেবেন ।
সজীব আহমেদ, ব্যবসায়ী
আমি ট্রাম্পকে সমর্থন করি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে সমৃদ্ধি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অভিবাসন নীতি কঠোর করা হবে বলে সবসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প নিজেকে আইন-শৃঙ্খলার প্রার্থী হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তার একাধিক ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ ও সন্ত্রাসের অবসান হতে চলেছে। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা হবে এবং সাধারণ মানুষই অগ্রাধিকার পাবে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, হাজার হাজার জীবন নাশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মৃত্যু, ধ্বংস ও দুর্বলতা হিলারির কাছ থেকেই পাওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে অপরাধ ও সহিংসতার অবসান হবে।
হায়দার চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী
এবারের নির্বাচনে আমি ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছি। কারন, মার্কিনিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতেও জোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক আগেই। এই মন্তব্যের কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তারপরও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি ট্রাম্প। তিনি সবসময় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার বন্ধে এই বড় সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। ট্রাম্প গণহারে সাধারণ ক্ষমা, অভিবাসন ও আইন অমান্যকারীদের দায়মুক্তির বিষয়ে হিলারির প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন একাধিকবার। গত কয়েক দশকের অভিবাসনের কারণে আফ্রিকান আমেরিকান ও ল্যাটিনদের বেতন কমেছে। ওবামা প্রশাসনের কারণে, প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দেশের মধ্যে মুক্তভাবে চলাচল করছে। মার্কিনিদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতাদের পছন্দের প্রার্থী কে?

প্রকাশের সময় : ০৯:২২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক: অভিবাসীদের দেশখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আগামী ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার এই নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে দুই শীর্ষ প্রার্থী ট্রাম্প-হিলারী দ্বন্দ্ব চরম আকারে পৌঁছেছে। উভয় পক্ষ নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। একদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব, অপরদিকে, হিলারী ক্লিন্টনের উদারনীতি এই দুয়ের লড়াইয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের রাজনীতিতে। সময় যতই গড়িয়ে আসছে হিলারী আর ট্রাম্পের মধ্যকার শেষ লড়াইয়ে ততই জমে উঠছে। তবে এরই মধ্যে জরিপে এগিয়ে থাকা হিলারী ক্লিন্টনের ইমেইল ইস্যুতে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে ইমিগ্র্যান্ট কমিউনিটিকে। কারণ হঠাৎ করে এফবিআই ডিরেক্টরের ইমেইল তদন্ত রি-অপেন বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ডেমোক্রেট শিবির। তবে, দুই প্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন ও রাজনীতি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশীরা মনে করছেন, ট্রাম্প নয়, হিলারীই হচ্ছেন আগামীর প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতাদের পছন্দের প্রার্থী’র কথা।
maf-misbah-uddinমাফ মিসবাহ প্রেসিডেন্ট, এলায়েন্স ফর সাউথ এশিয়ান লেবার
যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী নিঃসন্দেহে সেক্রেটারি ক্লিনটন অর্থাৎ হিলারি ক্লিনটন। কারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সব কিছুর বিবেচনায় হিলারি ক্লিনটন সেরা এবং যোগ্য প্রার্থী। হিলারি ক্লিনটন কম্প্রিহেন্সিভ ইমিগ্রেশন রিফর্মের কথা বলেছেন। এর ফলে এদেশে দীর্ঘদিনধরে বসবাসকারী আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টসরা লিগ্যাল হবার সুযোগ পাবেন। হিলারি ক্লিনটনের শিক্ষানীতি অত্যন্ত চমকপ্রদ। হিলারি ক্লিনটন নির্বাচিত হলে কমিউনিটি কলেজগুলোকে ফ্রি করে দেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকে এফোর্ডেবল করবেন। হিলারি ক্লিনটন ৫.৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি সৃষ্টি করবেন, কর্মঘন্টা ১৫ ডলারে উত্তীর্ন করবেন। তাই আমি এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান লেবারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবো, আপনারা ৮ নভেম্বর দিনের প্রথমভাগেই ভোট কেন্দ্রে আসুন এবং হিলারি ক্লিন্টকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
naima-khan_10-may2015নাইমা খান চেয়ারপারসন, খানস টিউটোরিয়াল
প্রেসিডেনট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন আমার পছন্দের প্রার্থী। স্মরণযোগ্য যে, মার্কিন ইতিহাসে একদল নারী প্রথম ১৮৭১ সালের দিকে হোয়াইট হাউসের সামনে তাদের ভোটাধিকারের জন্য নীরব প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই বলা যায়, নভেম্বরে হিলারি ক্লিন্টন নির্বাচনে জিতলে ১শ বছর পর ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী একজন মহিলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে সমাসীন হবেন। যার মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণতা পাবে নারীর ভোটাধিকার অর্জনের ইতিহাস। উল্লেখ্য, হিলারি ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সিনেটর ছিলেন, ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তার রয়েছে তিন দশকেরও বেশি রাজনৈতিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা। হিলারি নির্বাচিত হলে কম্প্রিহেন্সিভ ইমিগ্রেশন রিফর্ম করবেন। ইমিগ্রান্টদের তীর্থভূমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইমিগ্রান্টদের জন্য নিরাপদভূমিতে পরিণত করবেন।
abdul-mukit-chowমুকিত চৌধুরী প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তার পলিসিগুলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সহায়ক হবে। গত ৮ বছরে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং তার প্রশাসন এমন কোন উল্ল্যেখযোগ্য উন্নতি বা অগ্রগতি দেখাতে পারেনি আমেরিকার জনগণের জন্য। এই দেশে কি আমরা মার্কিন নাগরিকেরা থাকব, না বাইরে থেকে লোক এসে থাকবে? অন্যদেশে থেকে আপনি যদি অবাধে লোক আসার সুযোগ দেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবন অনিরাপদ হয়ে পরবে। যুক্ত্রারাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত হবে। ট্রাম্প আমেরিকার টোটাল সিস্টেমকেই ঢেলে সাজাবেন এবং তা আমেরিকান নাগরিকদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
gias-ahmed-picগিয়াস আহমেদ সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি
আমি একজন রেজিস্ট্রার্ড রিপাবলিকান। রিপাবলিকান দল থেকে আমি ২০০৪ সালে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। তিনজন প্রার্থীর মধ্যে আমি ছিলাম দ্বিতীয়। একজন রিপাবলিকান হয়েও এবারের নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী করতে হিলারি ক্লিনটন সেরা। ট্রাম্পের উল্টা-পাল্টা কথা, মন্তব্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিভেদের জন্ম দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এই বিভেদ আরো বাড়বে। হেট ক্রাইম বাড়বে। যুক্তাষ্ট্রের আভিজাত্য নষ্ট হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন এন্টি ইমিগ্রান্ট, এন্টি মুসলিম, এন্টি ল্যাটিনো, এন্টি মেক্সিকান। ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনোভাবেবি ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকাকে রিপ্রেজেন্ট করেন। বহু রিপাবলিকান পলিসি মেকাররা আছেন যারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছেন না। একদল ফেনাটিক, চরম ডানপন্থীরা ট্রাম্পকে সাপোর্ট দিচ্ছে। তাছাড়া প্রেসিডেন্ট হবার মত ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কিংবা দূরদর্শিতা নেই।
mazeda-uddinমাজেদা উদ্দিন চেয়্যারপার্সন, সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশীপ এন্ড ট্রেনিং
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনট নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ, হিলারি সবদিক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে যোগ্য। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা সৃষ্টিতে কাজ করবেন হিলারি। জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন, উইমেন্স ভায়োলেন্সের পক্ষে ইতিবাচক এবং সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন হিলারি। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে নারী শিক্ষা, নারী উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। হিলারি মুসলমানদের উপর হেইট ক্রাইম বন্ধে ভূমিকা রাখবেন। কর্মঘন্টা বাড়াতে উদ্যোগ নেবেন হিলারি। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নের লড়াইয়ে এসে অভিবাসী মুসলমানদের আক্রমণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী মুসলমানদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
rokeya-akhtarরোকেয়া আখতার প্রেসিডেন্ট, নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম
এবারের নির্বাচনে আমার পছন্দের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। কারণ হিলারি ক্লিনটন একমাত্র যোগ্য প্রাথী। তার শিক্ষা, বর্ণিল পেশাগতজীবন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও অভিজ্ঞতা, তার মার্জিত আচরণ, তার দূরদর্শিতা, তার ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণী ক্ষমতা এসবই একজন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তাকে বেস্ট প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হিলারির নির্বাচনী এজেন্ডা ইমিগ্রান্টদের জন্য সহায়ক। অপরদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমিগ্রান্টদের এই দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্রান্টদের জন্য আদর্শ জায়গা। যুক্তরাষ্ট্রের আভিজাত্য-একতা নষ্ট হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন। যুক্তরাষ্ট্রে তথা সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নকে আরো বেগবান করবেন হিলারি ক্লিনটন। তিনি সহনশীল, ডিসেন্ট এবং যোগ্য প্রার্থী নিঃসন্দেহে।
n-mozumderমোহাম্মদ এন মজুমদার, আইনজীবী
এবারের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন হচ্ছেন আশার আলো আর ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন ভীতির প্রতীক। হিলারি ইজ হোপ এন্ড ট্রাম্প ইজ ফিয়ার। আমি হিলারি ক্লিন্টনকে ভোট দেব। হিলারির ইমিগ্রেশন পলিসি, রিলিজিয়াস পলিসি মুসলিম ইমিগ্রান্টদের জন্য হেল্পফুল। শুধু মুসলিম ইমিগ্রান্ট নয় সব ইমিগ্রান্টদের জন্য, মধ্যবিত্তদের জন্য হিলারি সেরা। সবদিক থেকে এবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এবারের নির্বাচন মূলত একজন যোগ্য ও সেরা প্রার্থীর সাথে অযোগ্য প্রার্থীর লড়াই। ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনীদের বন্ধু। তিনি নির্বাচিত হলে ধনীরা আরো ধণী হবে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের/দরিদ্যদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবেনা। উপরন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক মন্তব্য মধ্যবিত্তদের ভাগ্য বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
farida-yesmin-picফরিদা ইয়াসমিন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমি অবশ্যই হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দেব কারণ হিলারি ক্লিন্টন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। বর্তমান ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বলেছেন ‘এবারের নির্বাচন আগের অন্য কোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনীয় নয়, আর সে কারণেই আমি মাঠে নেমেছি।’ আমিও মনে করি সব দিক থেকে এবারের নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন। কারণ এবার প্রতিদ্বিন্দ্বিতা চলছে একজন যোগ্য এবং একজন অযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ধন কুবের, ব্যবসায়ী, টিভি উপস্থাপক। রাজনৈতিক শিক্ষা-অভিজ্ঞতা কোনোটাই তার নেই। হিলারি তার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে, অফিসিয়াল ক্যারিয়ারে যখন নারীদের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ কাজ করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন টিভিতে সুন্দরী প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে ব্যস্ত ছিলেন। এই হলো দু’জনের পার্থক্য। আমি কমিউনিটির সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা যারা মার্কিন নাগরিক, তারা অবশ্যই ৮ নভেম্বর ভোট দেবেন এবং হিলারী ক্লিন্টনকে ভোট দেবেন ।
সজীব আহমেদ, ব্যবসায়ী
আমি ট্রাম্পকে সমর্থন করি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে সমৃদ্ধি ও আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অভিবাসন নীতি কঠোর করা হবে বলে সবসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প নিজেকে আইন-শৃঙ্খলার প্রার্থী হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি তার একাধিক ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ ও সন্ত্রাসের অবসান হতে চলেছে। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধির নতুন যুগের সূচনা হবে এবং সাধারণ মানুষই অগ্রাধিকার পাবে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, হাজার হাজার জীবন নাশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মৃত্যু, ধ্বংস ও দুর্বলতা হিলারির কাছ থেকেই পাওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে অপরাধ ও সহিংসতার অবসান হবে।
হায়দার চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী
এবারের নির্বাচনে আমি ট্রাম্পকে সাপোর্ট করছি। কারন, মার্কিনিদের নিরাপত্তার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতেও জোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন অনেক আগেই। এই মন্তব্যের কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। তারপরও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি ট্রাম্প। তিনি সবসময় বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। অবৈধ অভিবাসন, মাদক পাচার বন্ধে এই বড় সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। ট্রাম্প গণহারে সাধারণ ক্ষমা, অভিবাসন ও আইন অমান্যকারীদের দায়মুক্তির বিষয়ে হিলারির প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন একাধিকবার। গত কয়েক দশকের অভিবাসনের কারণে আফ্রিকান আমেরিকান ও ল্যাটিনদের বেতন কমেছে। ওবামা প্রশাসনের কারণে, প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছে যাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগ আছে। তারা দেশের মধ্যে মুক্তভাবে চলাচল করছে। মার্কিনিদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।(সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)