নিউইয়র্ক ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাইডেনের দরকার ছক্কা, ট্রাম্পের চাই সব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ৫১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক আলোচিত এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (নিউইয়র্ক সময় সকাল আটটা) ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান সমর্থিত চ্যানেল ফক্স নিউজ ছাড়াও দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও গার্ডিয়ানের মতে, জো বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট। গাধা প্রতীকের প্রার্থী জো বাইডেনের হোয়াইট হাউজ যেতে আর দরকার মাত্র ৬টি ইলেক্টোরাল ভোট। এদিকে এখন পর্যন্ত জর্জিয়া (১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), নেভাদা (৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৫টি ইলেক্টোরাল ভোট) ও পেনসিলভানিয়া (২০টি ইলেক্টোরাল ভোট)- এই চার রাজ্যে ঝুলে আছে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। এর মধ্যে কেবল নেভাদায় জিতলেই জয় বাইডেনের। আর ট্রাম্পের ২৭০টি ভোট পেতে হলে চারটিতেই জয় পেতে হবে। তবে এ চার রাজ্যের নেভাদা ছাড়া অন্য তিনটিতে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আর নেভাদায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্য ও ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়া (ওয়াশিংটন ডিসি অর্থাৎ রাজধানী অঞ্চল) মিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল ভোট ৫৩৮টি। বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এখনও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টে হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর বিবিসির এক খবরে বলা হয়, পেনসিলভানিয়ায় (যার ফল শিগগিরই আসার সম্ভাবনা নেই) হারলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন বাইডেন। তবে সেজন্য তাকে জর্জিয়া বা নেভাদায় জয় পেতে হবে।
জর্জিয়ায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত রাতভর তারা গণনা চালিয়ে যাবেন। দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, সেখানে ব্যবধান কমে আসছে। সবশেষ ২৪ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
নেভাদায় ফল সামান্য ব্যবধানে ঝুলে আছে। বাইডেন মাত্র ৮ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। নেভাদায় এখনও প্রায় ১৪% ভোট গণনা বাকি। বিশ্লেষকদের মতে, এ রাজ্যের ভোট ফলাফলে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। ঘুরে যেতে পারে ফলাফল।
পেনসিলভানিয়ায় ব্যবধান আরো কমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৯০% ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এই রাজ্যে ট্রাম্প এক লাখ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলাইনায় বেশিরভাগ ভোটই গণনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো অল্প কিছু বাকি আছে। ৭৭ হাজার ভোট নিয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টায়)। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এবার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি আছে জয়-পরাজয় নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ যে, সহিংসতার আশঙ্কায় দেশজুড়ে অনেক দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। জনমত জরিপ সত্য হলে বাইডেনের সহজেই জয়ী হওয়ার কথা, এমনকি তার নিরঙ্কুশ জয়ও অসম্ভব নয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাইডেনের দরকার ছক্কা, ট্রাম্পের চাই সব

প্রকাশের সময় : ০৩:১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক আলোচিত এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (নিউইয়র্ক সময় সকাল আটটা) ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান সমর্থিত চ্যানেল ফক্স নিউজ ছাড়াও দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও গার্ডিয়ানের মতে, জো বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট। গাধা প্রতীকের প্রার্থী জো বাইডেনের হোয়াইট হাউজ যেতে আর দরকার মাত্র ৬টি ইলেক্টোরাল ভোট। এদিকে এখন পর্যন্ত জর্জিয়া (১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), নেভাদা (৬টি ইলেক্টোরাল ভোট), নর্থ ক্যারোলাইনা (১৫টি ইলেক্টোরাল ভোট) ও পেনসিলভানিয়া (২০টি ইলেক্টোরাল ভোট)- এই চার রাজ্যে ঝুলে আছে দুই প্রার্থীর ভাগ্য। এর মধ্যে কেবল নেভাদায় জিতলেই জয় বাইডেনের। আর ট্রাম্পের ২৭০টি ভোট পেতে হলে চারটিতেই জয় পেতে হবে। তবে এ চার রাজ্যের নেভাদা ছাড়া অন্য তিনটিতে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। আর নেভাদায় সামান্য ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ রাজ্য ও ডিস্ট্রিক অব কলাম্বিয়া (ওয়াশিংটন ডিসি অর্থাৎ রাজধানী অঞ্চল) মিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল ভোট ৫৩৮টি। বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, এখনও ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টে হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর বিবিসির এক খবরে বলা হয়, পেনসিলভানিয়ায় (যার ফল শিগগিরই আসার সম্ভাবনা নেই) হারলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন বাইডেন। তবে সেজন্য তাকে জর্জিয়া বা নেভাদায় জয় পেতে হবে।
জর্জিয়ায় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত রাতভর তারা গণনা চালিয়ে যাবেন। দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন বলছে, সেখানে ব্যবধান কমে আসছে। সবশেষ ২৪ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
নেভাদায় ফল সামান্য ব্যবধানে ঝুলে আছে। বাইডেন মাত্র ৮ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। নেভাদায় এখনও প্রায় ১৪% ভোট গণনা বাকি। বিশ্লেষকদের মতে, এ রাজ্যের ভোট ফলাফলে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। ঘুরে যেতে পারে ফলাফল।
পেনসিলভানিয়ায় ব্যবধান আরো কমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৯০% ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এই রাজ্যে ট্রাম্প এক লাখ ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
নর্থ ক্যারোলাইনায় বেশিরভাগ ভোটই গণনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনো অল্প কিছু বাকি আছে। ৭৭ হাজার ভোট নিয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৮টায়)। ভোটের শুরুতেই কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এবার নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি আছে জয়-পরাজয় নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ যে, সহিংসতার আশঙ্কায় দেশজুড়ে অনেক দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। জনমত জরিপ সত্য হলে বাইডেনের সহজেই জয়ী হওয়ার কথা, এমনকি তার নিরঙ্কুশ জয়ও অসম্ভব নয়।