নিউইয়র্ক ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমি আগের চেয়ে শক্তিশালী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ৫৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: কোভিড-১৯ ধরা পড়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১২ অক্টোবর) ফ্লোরিডা রাজ্যের সানফোর্ডে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তারা বলেছেন আমি মুক্ত। এখন আমি খুব শক্তিশালী বোধ করছি। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘এখানে উপস্থিত প্রত্যেককে আমি চুমু দেব, আমি পুরুষদের এবং সুন্দরী নারীদের চুমু দেব, আমি আপনাদের বিশাল একটি চুমু দেব।’
সমাবেশে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না এবং তারা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রাম্প উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে মাস্ক ছুড়ে দেন এবং বারবার কোভিড-১৯ থেকে নিজের সেরে ওঠা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলেও এখন আমার ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বেশ শক্তিশালী বোধ করছি।’ লকডাউনের কারণে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা তিন সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারে ফিরে এলেন।
এদিকে ট্রাম্প রোববার (১১ অক্টোবর) নিজেকে করোনামুক্ত দাবি করেন। তবে তার এ দাবি প্রমাণিত নয়। হাসপাতালে তিনদিন করোনা চিকিৎসা শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নির্বাচনী সমাবেশে ফিরে এলেন। সমাবেশে ঘন্টাব্যাপী বক্তব্যে তিনি হিলারি ক্লিনটনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি তাকে কুটিল হিলারি হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে নিয়েও ঠাট্টা বিদ্রæপ করেন। তিনি বলেন, বাইডেনের প্রচারণা সমাবেশে কার্যত কাউকে দেখাই যায়নি।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওই সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ফ্লোরিডা আমার পছন্দের। চার বছর আগে তারা বলেছিল আমরা ফ্লোরিডা হারাতে যাচ্ছি। আর মাত্র ২২ দিন পর আমরা এ রাজ্য জিততে যাচ্ছি। আমরা হোয়াইট হাউসে আগামী চার বছরের জন্যে জিততে যাচিছ।
তিনি তার মনোনিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এমি কনি ব্যারেটের প্রশংসা করেন। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা নিয়ে শিগগীরই শুনানি শুররু হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তিনি চুড়ান্তভাবে মনোনিত হলে আগামী কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত রক্ষণশীলদের প্রভাবে চলে যাবে।
এদিকে ইতোমধ্যে এক কোটিরও বেশি ভোটার দেশটির আগাম নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছ একটি ট্র্যাকিং গ্রæপ। নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ভোটারদের এ গতি রেকর্ডসৃষ্টিকারী।
অপরদিকে এই সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউস জানায়, পরপর কয়েকদিনের পরীক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে এবং তার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
সমাবেশে সমর্থকদের ও হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সুরক্ষা মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত না করায় ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন অনেকে। সনাফোর্ডে সমাবেশ করার সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি সিএনবিসি চ্যানেলকে বলেন, সার্বিকভাবে ফেইস মাস্ক ব্যবহার ও জনসমাবেশ এড়ানো উৎসাহিত করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক সমস্যায় পড়বে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের ও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তার ৭৭ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্ব›দ্বী জো বাইডেনের চেয়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন।
চলতি সপ্তাহে কথিত ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ রাজ্যগুলোতে ছয়টি সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। এরমধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হল সানফোর্ডে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমি আগের চেয়ে শক্তিশালী

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

হককথা ডেস্ক: কোভিড-১৯ ধরা পড়ার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১২ অক্টোবর) ফ্লোরিডা রাজ্যের সানফোর্ডে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে মাস্ক ছাড়াই উপস্থিত হয়ে বলেন, আমি এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। তারা বলেছেন আমি মুক্ত। এখন আমি খুব শক্তিশালী বোধ করছি। প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, ‘এখানে উপস্থিত প্রত্যেককে আমি চুমু দেব, আমি পুরুষদের এবং সুন্দরী নারীদের চুমু দেব, আমি আপনাদের বিশাল একটি চুমু দেব।’
সমাবেশে কয়েক হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক ছিল না এবং তারা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ট্রাম্প উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে মাস্ক ছুড়ে দেন এবং বারবার কোভিড-১৯ থেকে নিজের সেরে ওঠা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হলেও এখন আমার ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। বেশ শক্তিশালী বোধ করছি।’ লকডাউনের কারণে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আর এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে টানা তিন সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারে ফিরে এলেন।
এদিকে ট্রাম্প রোববার (১১ অক্টোবর) নিজেকে করোনামুক্ত দাবি করেন। তবে তার এ দাবি প্রমাণিত নয়। হাসপাতালে তিনদিন করোনা চিকিৎসা শেষে হোয়াইট হাউসে ফেরার এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নির্বাচনী সমাবেশে ফিরে এলেন। সমাবেশে ঘন্টাব্যাপী বক্তব্যে তিনি হিলারি ক্লিনটনের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি তাকে কুটিল হিলারি হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে নিয়েও ঠাট্টা বিদ্রæপ করেন। তিনি বলেন, বাইডেনের প্রচারণা সমাবেশে কার্যত কাউকে দেখাই যায়নি।
আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ওই সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ফ্লোরিডা আমার পছন্দের। চার বছর আগে তারা বলেছিল আমরা ফ্লোরিডা হারাতে যাচ্ছি। আর মাত্র ২২ দিন পর আমরা এ রাজ্য জিততে যাচ্ছি। আমরা হোয়াইট হাউসে আগামী চার বছরের জন্যে জিততে যাচিছ।
তিনি তার মনোনিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এমি কনি ব্যারেটের প্রশংসা করেন। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা নিয়ে শিগগীরই শুনানি শুররু হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তিনি চুড়ান্তভাবে মনোনিত হলে আগামী কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত রক্ষণশীলদের প্রভাবে চলে যাবে।
এদিকে ইতোমধ্যে এক কোটিরও বেশি ভোটার দেশটির আগাম নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছ একটি ট্র্যাকিং গ্রæপ। নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ভোটারদের এ গতি রেকর্ডসৃষ্টিকারী।
অপরদিকে এই সমাবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউস জানায়, পরপর কয়েকদিনের পরীক্ষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে এবং তার মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
সমাবেশে সমর্থকদের ও হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সুরক্ষা মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে উৎসাহিত না করায় ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন অনেকে। সনাফোর্ডে সমাবেশ করার সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি সিএনবিসি চ্যানেলকে বলেন, সার্বিকভাবে ফেইস মাস্ক ব্যবহার ও জনসমাবেশ এড়ানো উৎসাহিত করতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক সমস্যায় পড়বে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের ও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট তার ৭৭ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্ব›দ্বী জো বাইডেনের চেয়ে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন।
চলতি সপ্তাহে কথিত ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ রাজ্যগুলোতে ছয়টি সমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। এরমধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হল সানফোর্ডে।