৮২ শতাংশ আমেরিকানের মত হিলারিই প্রেসিডেন্ট!
- প্রকাশের সময় : ১০:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬
- / ৭২৬ বার পঠিত
ঢাকা: রাজনীতিতে অভিজ্ঞ ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন এবং একেবারে আনকোরা রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে নামেন, তবে কার জয়ের সম্ভাবনা বেশি এমন প্রশ্নের উত্তরে এখন পর্যন্ত পাল্লাটা হিলারির দিকেই খানিকটা ভারী। নির্বাচনপূর্ব জরিপ সে কথাই বলছে। এপি-জিএফকে পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী ৮২ শতাংশ আমেরিকান মনে করে, হিলারির জয়ের সম্ভাবনা বেশি। প্রতি ১০ জনে ছয়জন ট্রাম্প অথবা আরেক ডেমোক্র্যাট বার্নি স্যান্ডার্সের জয়ের সম্ভাবনার কথা বলেছে। এর মানে এই নয় যে বেশির ভাগ ভোটার একবাক্যে হিলারিকে ভোট দিতে রাজি। সংখ্যাটা কম হলেও বলতে হচ্ছে, ১৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাট তাঁকে চূড়ান্ত নির্বাচনে ভোট দেবে না বলে জানিয়েছে। ট্রাম্পের ব্যাপারে ৩১ শতাংশ রিপাবলিকান একই মত দিয়েছে।
এ ছাড়া নিবন্ধিত ভোটারদের ওপর পরিচালিত এ জরিপে আরো দেখা গেছে, হিলারির ব্যাপারে ৫৫ শতাংশ আমেরিকানের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৬৯ শতাংশ। জরিপে ট্রাম্পের অবস্থান হিলারির চেয়ে দুর্বল মনে হলেও বিশ্লেষকদের অভিমত, ট্রাম্পের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিশ্চিত করাটা কঠিন হলেও হয়তো অসম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে দলে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজকে সামাল দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। বলা দরকার, জরিপে ৫৯ শতাংশ আমেরিকান ক্রুজের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছে। হিলারির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্যান্ডার্সের প্রতি এমন মনোভাব জানিয়েছে ৩৯ শতাংশ ভোটার। সে হিসাবে দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিলারি বরং একটু বেশি প্রতিযোগিতার মুখে রয়েছেন।
নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে হিলারি ও ট্রাম্পকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় মনে করা হলেও উভয়ের কারো প্রতিই আস্থা নেই, এমন ভোটারও রয়েছে। ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ২৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ডেভিন স্টারনাডর বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, তাঁদের কাউকেই আমি আস্থাভাজন মনে করি না। তবে হ্যাঁ, আজ যদি নির্বাচন হতো, তাহলে আমি ক্লিনটনকে ভোট দিতাম।’ এ কথা বললেও তাঁর সামনে আরো প্রার্থী থাকলে তিনি খুশি হতেন, সেটাও জানান ডেভিন। ট্রাম্পের অসংলগ্ন আচরণ ও কথাবার্তার কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের লারা ব্রাউনের অভিমত, ভোটাররা এবার খানিকটা রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকলেও ট্রাম্পের কারণে সেই স্রোত ডেমোক্র্যাটের দিকে বইছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।