যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০১৬ : ব্যালটে ‘বাংলা’

- প্রকাশের সময় : ০৮:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৬
- / ৭০৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষাও যুক্ত হয়েছে। ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলা থাকবে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যান প্রার্থীর ব্যালটে। নিউইয়র্কস্থ বোর্ড অব ইলেকশনের কর্মকর্তা খোরশেদ চৌধুরী ২৮ অক্টোবর শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স, ব্রুকলীন, ব্রঙ্কস, নিউজার্সি রাজ্যের প্যাটারসন, আটলান্টিক সিটি, ক্যালিফোর্নিয়ার লসএঞ্জেলেস, মিশিগানের হ্যামট্রমিক ও ডেট্রয়েট, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া ও আপার ডারবি প্রভৃতি বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার ভোট কেন্দ্রে বাংলাদেশীরাও থাকবেন পোলিং অফিসার হিসেবে। বাংলা দুভাষীও থাকবেন কোন কোন কেন্দ্রে। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে থাকবে বাংলায় লেখা দিক-নির্দেশনা।
খোরশেদ চৌধুরী জানান, ‘এবারের নির্বাচনের গুরুত্ব নানা কারণে অপরিসীম, তাই সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশী-আমেরিকানদের অনেকেই ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন, কিন্তু নির্বাচনের দিন অধিকাংশকেই কেন্দ্রে দেখা যায় না। এটি খুবই দু:খজনক ঘটনা। সকলেরই ভোটাধিকার প্রয়োগ করা দরকার।’
৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে। প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ৪৩৫ জন কংগ্রেসম্যান এবং ৩৩ জন ইউএস সিনেটরের নির্বাচন একই ব্যালটে হবে। পাশাপাশি অনেক অঙ্গরাজ্য সিনেট ও এ্যাসেম্বলীম্যানের ভোট গ্রহণও করা হবে। তবে ইউএস সিনেটর, রাজ্য সিনেটর, কংগ্রেসম্যান ও এ্যাসেম্বলীম্যানদের তালিকা থাকবে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট পদে হিলারি ক্লিন্টনের পক্ষে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৯টি নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, ম্যাসেচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, মিশিগান ও ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে। একইসাথে কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের সদস্যদের পুনরায় জয়ী করতেও নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন প্রবাসীরা।
পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে হিলারি ক্লিন্টনকে বিপুল বিজয় দিতে কর্মরত টিমে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়ান-আমেরিকান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. নীনা আহমেদ। বিশেষ করে কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ার যোসেফ ক্রাউলি, প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, ইভেটি ডি ক্লার্ক, জেরল্ড ন্যাদলার প্রমুখকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। এসবের সমন্বয় ঘটাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, এটর্নী মঈন চৌধুরী, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মোরশেদ আলম, আতিকুর রহমান, এডভোকেট এন মজুমদার, খোরশেদ খন্দকার, সালেহ আহমেদ, আকতার হোসেন বাদল প্রমুখ।
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটিতেও কাজ করছেন বেশ ক’জন বাংলাদেশী। হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের জন্যে শীর্ষস্থানীয় কমিটিতেও বাংলাদেশীরা রয়েছেন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করার চলমান কার্যক্রমে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ভূমিকাও গুরুত্ব পাচ্ছে। নির্বাচনে জোরালোভাবে সম্পৃক্ত হবার প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপিত হচ্ছে নিউইয়র্কের বাংলা ভাষার মিডিয়াগুলোতেও।