প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কি ক্ষমা পাবেন ট্রাম্প?
- প্রকাশের সময় : ১২:৫৬:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৫৫ বার পঠিত
চলতি বছরেরে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ও সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেগুলোই তার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে দলে ভেতরে তিনি যতই জনপ্রিয় হোন না কেন, নির্বাচনের লড়ার বৈধতা পাবেন না।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রধান যে ৪টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে; সেগুলোই এখন তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুতর মামলা হলো, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় তার ভূমিকা। ২০২০ সালে জর্জিয়া নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টাও বিগত কয়েক দশকে দেশটিতে হওয়া গুরুতর অপরাধের মধ্যে একটি। এরপর জর্জিয়ায় নির্বাচনী হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ধর্ষণের অভিযোগকারী পর্ন তারাকার মুখ বন্ধ রাখতে তাকে ঘুষ দেয়ার মামলাও রয়েছে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে।
তবে ট্রাম্প যদি নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হন এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগে চারটি মামলার যেকোনো একটিতে দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজা পান; তাহলে কী হবে? যদি তিনি দুটি ফেডারেল মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি আপিল করতে পারেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি নিজেকে ক্ষমা করার চেষ্টা করতে পারেন বা সম্ভাব্য আত্ম-ক্ষমা জারি করতে পারেন।
তবে এর আগে কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এমন চেষ্টা করেননি। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সময় রিচার্ড নিক্সন যখন এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছিলেন, তখন বিচার বিভাগ (ডিওজে) বলেছিলেন, এটি অনুচিত এবং তিনি তার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। যে কোনও ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টই শেষ কথা বলবেন।
আর আসন্ন নির্বাচনে যদি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হারিয়ে ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪টি ফৌজদারি মামলাই তিনি স্থগিত করতে সক্ষম হবেন। আর যদি নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর বিচার না হয়, তাহলে তাকে এসব অপরাধের জন্য আর কখনোই হয়তো আদালতে জবাবদিহি করতে হবে না।
ট্রাম্প তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তারপর মামলাটি উচ্চতর আদালতে গেলে, তখন তিনি তার অ্যাটর্নি জেনারেলকে এটি বাদ দেয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। আবার, সেই কৌশলটি জর্জিয়া বা নিউইয়র্কে কাজ করবে না, যেহেতু রাষ্ট্রীয় মামলা বিচার বিভাগের আওতার বাইরে থাকে।
তবুও ডিওজে নীতি বলে, একজন বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচার করা যাবে না। যদিও এ বিষয়ে উপদেষ্টাদের মতামত স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্পের সমস্ত ফৌজদারি মামলা স্থগিত করা হবে। পরে ২০২৯ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ত্যাগ করলে বিচার আবার শুরু হতে পারে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।