নিউইয়র্ক ০২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গায়ে আগুন দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সম্পর্কে যা জানা গেলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ইসরাইলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার এক নাগরিক, যিনি আবার দেশটির বিমান বাহিনীর সদস্যও। গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনের গণহারে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে তিনি এমনই এক পথ বেছে নিলেন, তাতে হতবাক গোটা বিশ্ব।

রোববার স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে গিয়ে হাজির হন এই যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। এরপর যা করলেন তা কেউ ভাবতেও পারেননি। আমি আর কোন গণহত্যার অপরাধে অংশ নিতে চাই না, এমন কথা বলেই পেট্রোল ঢেলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন।

আগুন দেয়ার পর যখন তার শরীর জ্বলছিল, তখনো তিনি চিৎকার করে বলছিলেন, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো। তার গায়ে পরা ছিল আমেরিকার সামরিক পোশাক। এক সময় জ্বলে-পুড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের এই বীর সেনা। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।


সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, আগুন দেয়া ঘটনাটি টুইচ চ্যানেলে লাইভ প্রচার করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানে তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। এর কিছুক্ষণ পরে অবশ্য ওই ভিডিও টুইচ চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। তবে সিবিএস নিউজের কাছে এর একটি কপি রয়েছে।

কে এই ২৫ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, কি-বা তার পরিচয়? বিভিন্ন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, তার নাম অ্যারন বুশনেল। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিও শহরে। বড় হয়েছেন ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে। পড়াশোনা সেখানকারই কেপ কড উপদ্বীপের সরকারি বিদ্যালয়ে।


এর পরে সাউদার্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়েন তিনি। এছাড়া কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড গ্লোবাল ক্যাম্পাসেও। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে মে মাস থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অ্যারন।

এই বাহিনীর ৭০তম গোয়েন্দা নজরদারি ও অনুসন্ধান শাখায় একজন সাইবার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অ্যারন। কাজ করেছেন বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাতেও। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যম লিংকড-ইনে নিজেকে উচ্চাভিলাষী সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


সেখানে তিনি লিখেছেন, স্যান আন্তোনিওভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে গেল বছরের মার্চ থেকে চাকরি করছেন তিনি। আরও বলেছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে বিমানবাহিনীর প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও সেরা হয়েছিলেন অ্যারন বুশনেল। পাশাপাশি কোড ব্যবহার করে জটিল সমস্যা সমাধানের প্রতিভা আছে এই সেনার।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সৈন্য যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন তখনও গাজায় চলছে ইসরাইলিদের বর্বরতা। এখন পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মানবেতর দিন কাটছে নারী ও শিশুদের। খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। একদিকে ইসরাইলী দানবদের বোমার ভয়, অন্যদিকে খাদ্যের অভাবে দিশেহারা গাজাবাসী।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গায়ে আগুন দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সম্পর্কে যা জানা গেলো

প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না ইসরাইলের সবচেয়ে বড় দোসর আমেরিকার এক নাগরিক, যিনি আবার দেশটির বিমান বাহিনীর সদস্যও। গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনের গণহারে হত্যার প্রতিবাদ জানাতে তিনি এমনই এক পথ বেছে নিলেন, তাতে হতবাক গোটা বিশ্ব।

রোববার স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে গিয়ে হাজির হন এই যুক্তরাষ্ট্রের সেনা। এরপর যা করলেন তা কেউ ভাবতেও পারেননি। আমি আর কোন গণহত্যার অপরাধে অংশ নিতে চাই না, এমন কথা বলেই পেট্রোল ঢেলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন।

আগুন দেয়ার পর যখন তার শরীর জ্বলছিল, তখনো তিনি চিৎকার করে বলছিলেন, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো। তার গায়ে পরা ছিল আমেরিকার সামরিক পোশাক। এক সময় জ্বলে-পুড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের এই বীর সেনা। নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।


সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, আগুন দেয়া ঘটনাটি টুইচ চ্যানেলে লাইভ প্রচার করেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেখানে তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। এর কিছুক্ষণ পরে অবশ্য ওই ভিডিও টুইচ চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। তবে সিবিএস নিউজের কাছে এর একটি কপি রয়েছে।

কে এই ২৫ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের সেনা, কি-বা তার পরিচয়? বিভিন্ন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, তার নাম অ্যারন বুশনেল। জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিও শহরে। বড় হয়েছেন ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে। পড়াশোনা সেখানকারই কেপ কড উপদ্বীপের সরকারি বিদ্যালয়ে।


এর পরে সাউদার্ন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়েন তিনি। এছাড়া কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছেন ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড গ্লোবাল ক্যাম্পাসেও। পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে মে মাস থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অ্যারন।

এই বাহিনীর ৭০তম গোয়েন্দা নজরদারি ও অনুসন্ধান শাখায় একজন সাইবার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অ্যারন। কাজ করেছেন বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা শাখাতেও। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যম লিংকড-ইনে নিজেকে উচ্চাভিলাষী সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


সেখানে তিনি লিখেছেন, স্যান আন্তোনিওভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে গেল বছরের মার্চ থেকে চাকরি করছেন তিনি। আরও বলেছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে বিমানবাহিনীর প্রাথমিক প্রশিক্ষণেও সেরা হয়েছিলেন অ্যারন বুশনেল। পাশাপাশি কোড ব্যবহার করে জটিল সমস্যা সমাধানের প্রতিভা আছে এই সেনার।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সৈন্য যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন তখনও গাজায় চলছে ইসরাইলিদের বর্বরতা। এখন পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মানবেতর দিন কাটছে নারী ও শিশুদের। খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে। একদিকে ইসরাইলী দানবদের বোমার ভয়, অন্যদিকে খাদ্যের অভাবে দিশেহারা গাজাবাসী।

হককথা/নাছরিন