অর্থনীতিতে অভিবাসীদের অবদান নিয়ে কী ভাবছেন আমেরিকানিরা?
- প্রকাশের সময় : ০১:১৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
- / ৫১ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কয়েক বছর আগের তুলনায় আমেরিকানিরা এখন বেশি উদ্বিগ্ন। রিপাবলিকানদের মধ্যে অতিরিক্ত উদ্বেগের ফলে চিন্তার এই পরিবর্তন ঘটেছে। তবে ডেমোক্র্যাটরা এখনও অভিবাসনের ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী ফায়দাই দেখে। নতুন এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চের সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত বয়স্কদের বড় একটা অংশ বিশ্বাস করে যে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আমেরিকান সংস্কৃতিতেও অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে বৈধ অভিবাসীদের প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত বয়স্করা বেশি ফায়দা দেখে না, যেমনটা তারা অতীতে দেখত। বরং তাদের নিয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করে তারা।
চলতি বছরের ২১-২৫ মার্চে ১ হাজার ২৮২ জন প্রাপ্ত বয়স্ককে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এনওআরসির সম্ভাবনাভিত্তিক ‘আমেরিস্পিক প্যানেল’ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এমনভাবে সাজানো হয়েছে এই প্যানেল।
প্রতি ১০ জন আমেরিকানের মধ্যে প্রায় ৪ জন বলছেন, অভিবাসীরা বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এলে তা আমেরিকান সংস্থাগুলোর জন্য বড় লাভ। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে তারা বিশেষভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের পেতে পারে। ৩৮ শতাংশ বলছেন, আমেরিকার সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে বৈধ অভিবাসীরা বড় অবদান রাখছেন।
তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এই পরিসংখ্যান পড়তির দিকে। ওই বছর আমেরিকানদের ৫৯ শতাংশ বলেছিলেন, সে দেশে বৈধভাবে প্রবেশ করা দক্ষ অভিবাসী-কর্মীরা লাভজনক এবং অর্ধেক আমেরিকান বলেছিলেন, আমেরিকান সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে বৈধ অভিবাসীরা বড় অবদান রাখেন।
এদিকে, আমেরিকানদের যে অংশ বলছে, বৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ সংঘটিত করার বড় ঝুঁকি আছে, তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালে তাদের সংখ্যা ছিল ১৯ শতাংশ। নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ শতাংশে।
বব স্যান্ডার্স। বয়স ৬৪। তিনি নিউ জার্সির বুর্হেসের বাসিন্দা। অভিবাসন ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি খুশি নন। স্যান্ডার্স দক্ষিণ সীমান্তে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি মনে করেন, এই অভিবাসীদের ধীরে ধীরে দেশে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।
স্যান্ডার্স বলেন, এটা অভিবাসন-বিরোধিতা নয়। এটা অবৈধ অভিবাসন-বিরোধিতা। ৪৩ বছর বয়সী অ্যাম্বার পিয়ার্স একজন রিপাবলিকান। তিনি টেক্সাসের মাইলামের বাসিন্দা। তার কথায়, তিনি বোঝেন যে প্রচুর অভিবাসী তাদের সন্তানদের জন্য আরও ভালো জীবন চাইছেন। কিন্তু তিনি এটা নিয়েও উদ্বিগ্ন যে, সরকারি পরিষেবাগুলো শুষে নেবে এই অভিবাসীরা।