নিউইয়র্ক ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাকিস্তানের নির্বাচন ইস্যুতে বাইডেনকে যে চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৬ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ার জন্য। অনুরোধকারীদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি বাইডেনের নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। তাদের দাবি, পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এর ফল যেন মেনে না নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

নির্বাচনের পর দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেছেন, পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে ভোটের ফল প্রচার করতে পারা উচিত এবং ফল ঘোষণায় কোনো অযৌক্তিক বিলম্ব উচিত নয়।

ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা রাশিদা তালাইব বলেন, আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানি জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ তাদের গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের ট্যাক্সের অর্থ এমন কারও কাছে যাবে না, যাতে এর অবমূল্যায়ন হয়।

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ডিনা টিটাস। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

একইভাবে আইনপ্রণেতা ইলহাসন ওমর পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত’ না হওয়া পর্যন্ত ফলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আইনপ্রণেতা গ্রেগ ক্যাসার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মতো আমিও পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি। ফলের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সেখানে বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্তসম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আমাদের অবশ্যই গণতন্ত্র এবং জনগণের ইচ্ছাকে রক্ষা করতে হবে। সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের নির্বাচন ইস্যুতে বাইডেনকে যে চাপ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল মেনে না নেওয়ার জন্য। অনুরোধকারীদের মধ্যে রিপাবলিকান পার্টির পাশাপাশি বাইডেনের নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও রয়েছেন। তাদের দাবি, পাকিস্তানের নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ পুরোপুরি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এর ফল যেন মেনে না নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

নির্বাচনের পর দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছিল, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেছেন, পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে ভোটের ফল প্রচার করতে পারা উচিত এবং ফল ঘোষণায় কোনো অযৌক্তিক বিলম্ব উচিত নয়।

ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা রাশিদা তালাইব বলেন, আমাদের অবশ্যই পাকিস্তানি জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ তাদের গণতন্ত্র মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে, আমাদের ট্যাক্সের অর্থ এমন কারও কাছে যাবে না, যাতে এর অবমূল্যায়ন হয়।

পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিধিনিষেধের নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ডিনা টিটাস। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

একইভাবে আইনপ্রণেতা ইলহাসন ওমর পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত’ না হওয়া পর্যন্ত ফলগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

আইনপ্রণেতা গ্রেগ ক্যাসার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মতো আমিও পাকিস্তানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করছি। ফলের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে সেখানে বিশ্বাসযোগ্য, স্বাধীন তদন্তসম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। আমাদের অবশ্যই গণতন্ত্র এবং জনগণের ইচ্ছাকে রক্ষা করতে হবে। সূত্র : যুগান্তর।