ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উত্তর আমেরিকার কোম্পানিগুলো
- প্রকাশের সময় : ১২:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ২৬ বার পঠিত
কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ ও চীনা পণ্যে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক আরোপের এই আদেশ আগামী মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা তৈরি করতে পারে। এতে গাড়ি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি শিল্প পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কনের নিউ হ্যাভেনের ইয়েল স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক জেফরি সোনেনফেল্ড রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রতিপক্ষের পরিবর্তে মিত্রদের বিরুদ্ধে এমন অদূরদর্শী শুল্ক আরোপে আমি খুবই বিস্মিত।’ উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম শিল্প ইউনিয়ন ইউএস স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কানাডার ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করেন।
ইউনিয়নের সভাপতি ডেভিড ম্যাককল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই শুল্ক শুধু কানাডাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না। উভয় দেশের শিল্পের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ জেনারেল মোটরস ও টয়োটার মতো গাড়ি নির্মাতারা যুক্তরাষ্ট্রে উত্পাদন স্থানান্তর করতে পারে। ইতিমধ্যে শুল্কের বোঝা কমাতে শিপমেন্ট রি-রুট করার পরামর্শ দিয়েছে গ্লোবাল অ্যালুমিনিয়াম জায়ান্ট অ্যালকোয়ার (এএ) মতো প্রতিষ্ঠান।
আমেরিকান অটোমোটিভ পলিসি কাউন্সিলের সভাপতি ম্যাট ব্লান্টের মতে, ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পথে হাঁটছেন যেন কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়। তবে এটি হতাশাজনক ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের ওপর শুল্ক আরোপের পর অনেক প্রতিষ্ঠান কানাডা ও মেক্সিকোতে কারখানা সরিয়ে নিয়েছিল। এখন বাড়ির কাছাকাছি আসার পরেও আঘাত হানতে চলেছে।
ম্যাট ব্লান্ট বলেন, ‘শুল্ক আরোপের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা কমানো উচিত নয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রে যানবাহন নির্মাণের ব্যয় বাড়িয়ে তুলবে ও বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে। কনজিউমার ব্র্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সাপ্লাই চেইন রেজিলিয়েন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট টম মাদ্রেকি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট ট্রেড পলিসি’ সমর্থন আমেরিকানিদের চাকরির নিশ্চয়তা দেয়।
তবে শুল্ক আরোপের কারণে দাম বাড়তে পারে উল্লেখ করে তিনি মেক্সিকো ও কানাডাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন বলছে, নীতিগত লক্ষ্য অর্জনে হোয়াইট হাউসের অন্য কোনো উপায় খোঁজা উচিত।
এনআরএফের গভর্নমেন্ট রিলেশনসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘যতদিন এই সার্বজনীন শুল্ক বহাল থাকবে, ততদিন আমেরিকানরা নিত্যপণ্যের ওপর চড়া মূল্য দিতে বাধ্য হবে।’ সূত্র : দেশ রুপান্তর।