নিউইয়র্ক ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা চালাতে রাশিয়াকে উৎসাহ দেবেন ট্র্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত যেসব দেশ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করবে না— সেসব দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায়; তাহলে তাদের হামলা চালাতে দেবেন তিনি।

স্থানীয় সময় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে একটি জনসভায় এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

সামরিক জোট ন্যাটোতে যেসব দেশ রয়েছে— সেসব দেশকে তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়। মূলত সামরিক দিক দিয়ে নিজেদের শক্তিশালী থাকতে এমন নিয়ম রাখা হয়েছে।

ট্রাম্প তার জনসভায় উপস্থিত সমর্থকদের জানান, ন্যাটোর একটি ‘বড় দেশের’ নেতা তাকে বলেছিলেন, রাশিয়া যদি তার দেশের ওপর হামলা চালায়। তাহলে সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কি না।

এর জবাবে ওই নেতাকে তিনি বলেছিলেন, “আপনি অর্থ দেননি? আপনি অপরাধী? না আমি আপনাকে রক্ষা করব না। এমনকি রাশিয়ার যা মনে চায় তা করতে তাদের আমি উদ্বুদ্ধ করব। আপনাকে অর্থ দিতে হবে। আপনাকে আপনার অর্থ পরিশোধ করতে হবে।”

ট্রাম্প এমন সময় এ মন্তব্য করলেন; যখন কিছু দেশ আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের পর এখন তাদের দেশে হামলা চালানোর নির্দেশ দেবেন পুতিন।

১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাটো জোট। যেটির লক্ষ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) আক্রমণ থেকে অন্যান্য দেশকে রক্ষা করা। এটির মূলনীতি হলো যদি জোটের কোনো দেশ হামলার স্বীকার হয় তাহলে সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে।

গত বছর এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, ন্যাটের তৎকালীন ৩০ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১১টি দেশ তাদের জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে খরচ করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাবে।

তবে গত মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৮৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সামরিক আইন করেন— যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কঠিন করে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ব্যাটস ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘আতঙ্কজনক এবং বিকৃত মস্তিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সূত্র :  এনবিসি নিউজ

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা চালাতে রাশিয়াকে উৎসাহ দেবেন ট্র্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত যেসব দেশ প্রতিরক্ষা খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করবে না— সেসব দেশে যদি রাশিয়া হামলা চালাতে চায়; তাহলে তাদের হামলা চালাতে দেবেন তিনি।

স্থানীয় সময় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে একটি জনসভায় এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

সামরিক জোট ন্যাটোতে যেসব দেশ রয়েছে— সেসব দেশকে তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হয়। মূলত সামরিক দিক দিয়ে নিজেদের শক্তিশালী থাকতে এমন নিয়ম রাখা হয়েছে।

ট্রাম্প তার জনসভায় উপস্থিত সমর্থকদের জানান, ন্যাটোর একটি ‘বড় দেশের’ নেতা তাকে বলেছিলেন, রাশিয়া যদি তার দেশের ওপর হামলা চালায়। তাহলে সাহায্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে কি না।

এর জবাবে ওই নেতাকে তিনি বলেছিলেন, “আপনি অর্থ দেননি? আপনি অপরাধী? না আমি আপনাকে রক্ষা করব না। এমনকি রাশিয়ার যা মনে চায় তা করতে তাদের আমি উদ্বুদ্ধ করব। আপনাকে অর্থ দিতে হবে। আপনাকে আপনার অর্থ পরিশোধ করতে হবে।”

ট্রাম্প এমন সময় এ মন্তব্য করলেন; যখন কিছু দেশ আশঙ্কা করছে ইউক্রেনের পর এখন তাদের দেশে হামলা চালানোর নির্দেশ দেবেন পুতিন।

১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত হয় ন্যাটো জোট। যেটির লক্ষ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) আক্রমণ থেকে অন্যান্য দেশকে রক্ষা করা। এটির মূলনীতি হলো যদি জোটের কোনো দেশ হামলার স্বীকার হয় তাহলে সবাই একসঙ্গে লড়াই করবে।

গত বছর এক প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, ন্যাটের তৎকালীন ৩০ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১১টি দেশ তাদের জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে খরচ করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় হুমকি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাবে।

তবে গত মাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৮৮৬ বিলিয়ন ডলারের একটি সামরিক আইন করেন— যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটো জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কঠিন করে দেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু ব্যাটস ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘আতঙ্কজনক এবং বিকৃত মস্তিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। সূত্র :  এনবিসি নিউজ

হককথা/নাছরিন