ঐতিহাসিক রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ট্রাম্প
- প্রকাশের সময় : ১২:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
- / ১৩৫ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের মধ্যে প্রথম ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হওয়া ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। তবে এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাকে ১১ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, কৃত অপরাধের জন্য ওই দিন তার সাজা ঘোষণা করবেন আদালত। শুক্রবার ম্যানহ্যাটনের ট্রাম্প টাওয়ারের লবিতে দাঁড়িয়ে করা মন্তব্যে ট্রাম্প (৭৭) আবারও নিজের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার উদ্যোগ থামিয়ে দিতে এই বিচার একটি ‘ধূর্ত’ প্রচেষ্টা।
কোনো আমেরিকানই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আইনি প্রক্রিয়া থেকে নিরাপদ নয়, এই বিচার তাই তুলে ধরেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সবাইকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “তারা যদি আমার সঙ্গে এমন করতে পারে, তবে তারা যে কারও সঙ্গে এমন করতে পারে।” রয়টার্স জানিয়েছে, লিখিত কোনো স্ক্রিপ্ট ছাড়াই ট্রাম্প ৩৩ মিনিট ধরে ভাষণ দেন। তার সমর্থকরা করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানায়। চলতি বছরের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই প্রার্থী এ সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন গ্রহণ করেননি। “এই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।
১১ জুলাই সাজা ঘোষণার পর থেকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যিনি নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী, বলেছেন, যা সব আমেরিকানের জন্য প্রযোজ্য সেই একই বিচার ব্যবস্থায় ট্রাম্প নিজেকে রক্ষা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
“এটি বেপরোয়া, বিপজ্জনক, দায়িত্বজ্ঞানহীন এটি বলা যে এই বিচার ধূর্ত প্রচেষ্টা; শুধুমাত্র এই কারণে যে তারা রায়টি পছন্দ করেনি,” হোয়াইট হাউজে দাঁড়িয়ে বলেন বাইডেন (৮১) ।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে যে রায় এসেছে তা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্পূর্ণ নতুন একটি অধ্যায় যুক্ত করেছে। এর আগে দেশটির আর কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট কোনো ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হননি। অপরাধের দায় মাথায় নিয়ে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান একটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীও তিনি। পর্ন তারকার সঙ্গে সম্পর্ক চেপে রাখতে তাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এখন ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চার বছর কারাদণ্ড হতে পারে; যদিও অনেকে এমন ক্ষেত্রে আরও কম মেয়াদে সাজা, জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন।
কিন্তু বিচার চলাকালে ট্রাম্প প্রকাশ্যে জুরিদের ও সাক্ষীদের সমালোচনা করেছিলেন বিচারক জুয়ান মার্চেন তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমান করেন। আর একই কারণে বিচারক তাকে সবচেয়ে কঠোর সাজা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের সাবেক কৌঁসুলি রেবেকা রোইফি। যে সাজাই হোক, আপিল চলার সময় তা স্থগিত থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় বাতিল করে দিতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন।