নিউইয়র্ক ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোলেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭১ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইওয়া ককাসের পর এবার তিনি জিতেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতেও। বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নিক্কি হ্যালিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে মূলত প্রধান দুটি দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করা হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দুটি পদ্ধতিতে। একটি হলো ককাস, অপরটি প্রাইমারি। ককাস হলো নির্বাচনের এমন এক পদ্ধতি, যেখানে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে একটি খোলা ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করে।

প্রাইমারি নির্বাচন হলো এমন এক পদ্ধতি, যেখানে একটি অঙ্গরাজ্যের সরকারের অর্থায়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই পদ্ধতিতে রাজ্যের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যান এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গোপন ব্যালটে ভোট দেন। প্রাইমারি নির্বাচনে আবার দুই প্রথম পদ্ধতির কথা আগেই বলা হয়েছে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো ‘ক্লোজড’ প্রাইমারি। এতে প্রধান দুই দলের জন্য আলাদা আলাদা ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ও যেকোনো ভোটার ভোট দিতে পারেন। রিপাবলিকান প্রাইমারিতে দলটির সদস্য ও সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় ককাস, আবার বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় প্রাইমারি। কোনো অঙ্গরাজ্যে সাধারণ প্রাইমারি, আবার কোনো অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় ক্লোজড প্রাইমারি। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য অনুসারে সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ককাস অনুষ্ঠিত হয় আইওয়াতে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এই ককাস অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুসারে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে দলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিক্কি হ্যালির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট এবং হ্যালি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ৭২ শতাংশ ভোট।

আইওয়া ককাসেও ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন নিক্কি হ্যালি। এবার নিউ হ্যাম্পশায়ারেও হারলেন। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত কনকর্ডে নির্বাচন-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে সমর্থকদের বলেছেন, ‘এই দৌড় শেষ হয়নি।’ তিনি ট্রাম্পকে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে আসার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আমি একজন যোদ্ধা।’

এর আগে, আইওয়া ককাসে ট্রাম্প ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে বিশাল ব্যবধানে তাঁর নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেন। আইওয়া ককাসে ট্রাম্পের দুই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডি স্যান্টিস পেয়েছেন ২১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নিক্কি হ্যালি পেয়েছেন ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। অপর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেক রামাস্বামী পেয়েছেন মাত্র ৭ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কাছে হেরে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন রন ডিস্যান্টিস। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগোলেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইওয়া ককাসের পর এবার তিনি জিতেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রাইমারিতেও। বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নিক্কি হ্যালিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে মূলত প্রধান দুটি দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত করা হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দুটি পদ্ধতিতে। একটি হলো ককাস, অপরটি প্রাইমারি। ককাস হলো নির্বাচনের এমন এক পদ্ধতি, যেখানে রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেটিক পার্টি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে দলীয় সমর্থকদের মধ্যে একটি খোলা ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে তাদের দলীয় প্রার্থী নির্ধারণ করে।

প্রাইমারি নির্বাচন হলো এমন এক পদ্ধতি, যেখানে একটি অঙ্গরাজ্যের সরকারের অর্থায়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই পদ্ধতিতে রাজ্যের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যান এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য গোপন ব্যালটে ভোট দেন। প্রাইমারি নির্বাচনে আবার দুই প্রথম পদ্ধতির কথা আগেই বলা হয়েছে। দ্বিতীয় পদ্ধতিটি হলো ‘ক্লোজড’ প্রাইমারি। এতে প্রধান দুই দলের জন্য আলাদা আলাদা ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। ডেমোক্র্যাট প্রাইমারিতে ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য ও যেকোনো ভোটার ভোট দিতে পারেন। রিপাবলিকান প্রাইমারিতে দলটির সদস্য ও সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় ককাস, আবার বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় প্রাইমারি। কোনো অঙ্গরাজ্যে সাধারণ প্রাইমারি, আবার কোনো অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় ক্লোজড প্রাইমারি। যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য অনুসারে সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ককাস অনুষ্ঠিত হয় আইওয়াতে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বছরের জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে এই ককাস অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্য অনুসারে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের রিপাবলিকান প্রাইমারিতে দলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নিক্কি হ্যালির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ট্রাম্প পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট এবং হ্যালি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ৭২ শতাংশ ভোট।

আইওয়া ককাসেও ট্রাম্পের কাছে হেরেছেন নিক্কি হ্যালি। এবার নিউ হ্যাম্পশায়ারেও হারলেন। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত কনকর্ডে নির্বাচন-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে সমর্থকদের বলেছেন, ‘এই দৌড় শেষ হয়নি।’ তিনি ট্রাম্পকে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে আসার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আমি একজন যোদ্ধা।’

এর আগে, আইওয়া ককাসে ট্রাম্প ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে বিশাল ব্যবধানে তাঁর নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেন। আইওয়া ককাসে ট্রাম্পের দুই নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রন ডি স্যান্টিস পেয়েছেন ২১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নিক্কি হ্যালি পেয়েছেন ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। অপর রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেক রামাস্বামী পেয়েছেন মাত্র ৭ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের কাছে হেরে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন রন ডিস্যান্টিস। সূত্র : আজকের পত্রিকা।