নিউইয়র্ক ০৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পানামা খাল পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি ট্রাম্পের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৫ বার পঠিত

শনিবার একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পানামা খাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক জাতীয় সম্পদ। এরপর দিনই এক জনসমাবেশে তিনি বললেন, শিপিং রেট কমানো না হলে আমরা দাবি করব যে, পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে, দ্রুত এবং কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হোক। যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামাকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যবাহী ও নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য পানামা খালের ফি কমাতে বলেছে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি।

স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) অ্যারিজোনায় সমর্থকদের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, পানামা যে ফি নিচ্ছে তা হাস্যকর, অত্যন্ত অন্যায়। আগামী মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি এই শোষণ অবিলম্বে বন্ধ হবে। ট্রাম্পের মন্তব্যের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। তিনি বলেন, পানামা খাল এবং এর আশপাশের প্রতিটি বর্গমিটার আমাদের দেশের। পানামার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা অটুট ও আপোষহীন।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা রক্ষণশীল গ্রুপ টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সমর্থকদের উদ্দেশে আলোচিত ও ‘বিরল’ মন্তব্যটি করেছেন ট্রাম্প। অন্য কোনো দেশকে তার ভূখণ্ড হস্তান্তরে বাধ্য করার মতো প্রকাশ্য মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কাছ থেকে সচরাচর দেখা যায় না। যদিও তিনি ব্যাখ্যা করেননি কীভাবে তা করবেন। তবে এ মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্পের অভিষেকের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতিতে কীভাবে পরিবর্তন আসতে পারে।

শনিবার একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পানামা খাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক জাতীয় সম্পদ। এরপর দিনই এক জনসমাবেশে তিনি বললেন, শিপিং রেট কমানো না হলে আমরা দাবি করব যে, পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে, দ্রুত এবং কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হোক। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগের প্রধান পথ হলো ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খাল। ১৯০০-এর দশকের শুরুর দিকে নির্মিত হওয়া খালটি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরে চুক্তির মাধ্যমে এটি ধীরে ধীরে পানামার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেশ কিছুদিন যৌথ নিয়ন্ত্রণের পর ১৯৯৯ সালে পানামা একক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। প্রতি বছর প্রায় ১৪ জাহাজ এই খাল পার হয়, যার মধ্যে কনটেইনার শিপ, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য পণ্য বহনকারী জাহাজ এবং সামরিক জাহাজ অন্তর্ভুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পানামা খাল পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশের সময় : ১১:৩০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শনিবার একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পানামা খাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক জাতীয় সম্পদ। এরপর দিনই এক জনসমাবেশে তিনি বললেন, শিপিং রেট কমানো না হলে আমরা দাবি করব যে, পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে, দ্রুত এবং কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হোক। যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামাকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যবাহী ও নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য পানামা খালের ফি কমাতে বলেছে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। খবর বিবিসি।

স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) অ্যারিজোনায় সমর্থকদের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, পানামা যে ফি নিচ্ছে তা হাস্যকর, অত্যন্ত অন্যায়। আগামী মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণ করবেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার প্রতি এই শোষণ অবিলম্বে বন্ধ হবে। ট্রাম্পের মন্তব্যের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। তিনি বলেন, পানামা খাল এবং এর আশপাশের প্রতিটি বর্গমিটার আমাদের দেশের। পানামার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা অটুট ও আপোষহীন।

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা রক্ষণশীল গ্রুপ টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সমর্থকদের উদ্দেশে আলোচিত ও ‘বিরল’ মন্তব্যটি করেছেন ট্রাম্প। অন্য কোনো দেশকে তার ভূখণ্ড হস্তান্তরে বাধ্য করার মতো প্রকাশ্য মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কাছ থেকে সচরাচর দেখা যায় না। যদিও তিনি ব্যাখ্যা করেননি কীভাবে তা করবেন। তবে এ মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্পের অভিষেকের পর আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতিতে কীভাবে পরিবর্তন আসতে পারে।

শনিবার একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পানামা খাল ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক জাতীয় সম্পদ। এরপর দিনই এক জনসমাবেশে তিনি বললেন, শিপিং রেট কমানো না হলে আমরা দাবি করব যে, পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে, দ্রুত এবং কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেয়া হোক। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগের প্রধান পথ হলো ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খাল। ১৯০০-এর দশকের শুরুর দিকে নির্মিত হওয়া খালটি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরে চুক্তির মাধ্যমে এটি ধীরে ধীরে পানামার কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেশ কিছুদিন যৌথ নিয়ন্ত্রণের পর ১৯৯৯ সালে পানামা একক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। প্রতি বছর প্রায় ১৪ জাহাজ এই খাল পার হয়, যার মধ্যে কনটেইনার শিপ, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য পণ্য বহনকারী জাহাজ এবং সামরিক জাহাজ অন্তর্ভুক্ত।