নিউইয়র্ক ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মাস্কের ক্ষমতা আরো প্রসারিত করলেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪১ বার পঠিত

উপদেষ্টা ইলন মাস্কের ক্ষমতা আরও প্রসারিত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে যুক্ত করেছেন মাস্কের দক্ষতা বিভাগের সঙ্গে। এরমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই ও নিয়োগ সীমিত করায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ইউনিয়ন কর্মকর্তারা। এদিকে ইউ.এস.এ.আই.ডি. কে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প ও মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের পুনর্গঠনের গুরু দায়িত্ব এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের হাতে। তার মূল কাজ সরকারের ব্যয় ও অপচয় রোধ করা। এই কাজের জন্য ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামে একটি বিভাগও চালু করেছেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের গঠিত বিভাগের পক্ষে সাফাই গাইলেন দুইজন।

এ সময় মাস্ক জানান, সরকারের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। তার মূল লক্ষ্য ফেডারেল সরকারের আকার ছোট এবং পুনর্নির্মাণ করা। সংস্কারের জন্যই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় বসিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরে ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে পদক্ষেপ না নিলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এভাবে চললে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হতে দেরি হবে না। এই মুহূর্তে ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাস করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা ধনকুবের ইলন মাস্ক বিদেশি সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিকে অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেন। সংস্থাটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগও আনেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, সবকিছু সৎ, বৈধ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সব খাতগুলোকেই বিবেচনায় আনছি। ইউএসএআইডি প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য সংস্থা। এ বিষয়ে একজন বিচারক কীভাবে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার নেই।’

তবে ইউএসএআইডির অভিযোগ, শুরু থেকেই মাস্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সংস্থাটি। নির্বাহী আদেশের পর, সংস্থার বেশিরভাগ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এবার ইউএসএআইডির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপে সংস্থাটি ৮ কোটি ডলারের অব্যাহত সহায়তা ঠিকভাবে তদারকি করতে পারছে না। প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই বরখাস্ত করা হয় সংস্থার মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে।

শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে সরকারি নজরদারি সংস্থার কর্মকর্তাদেরও বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। ইলন মাস্ক জানান, করের টাকায় যেসব কর্মকর্তা ধনী হয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে। কর্মী ছাঁটাই ও ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করার ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিকরা। এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিভাগের কাছ থেকে রেকর্ড সংগ্রহের জন্য মামলা করেছে একটি ওয়াচডগ গ্রুপ। তাদের অভিযোগ, ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এই বিভাগের সব কাজ গোপন রাখার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। তবে ইলন মাস্কের দাবি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করছে তার বিভগা। এক্স হ্যান্ডেল ও ওয়েবসাইটে সবকিছু পোস্ট করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সূত্র : এখন টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মাস্কের ক্ষমতা আরো প্রসারিত করলেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১০:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

উপদেষ্টা ইলন মাস্কের ক্ষমতা আরও প্রসারিত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাহী আদেশে ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে যুক্ত করেছেন মাস্কের দক্ষতা বিভাগের সঙ্গে। এরমধ্যেই কর্মী ছাঁটাই ও নিয়োগ সীমিত করায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ইউনিয়ন কর্মকর্তারা। এদিকে ইউ.এস.এ.আই.ডি. কে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প ও মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের পুনর্গঠনের গুরু দায়িত্ব এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের হাতে। তার মূল কাজ সরকারের ব্যয় ও অপচয় রোধ করা। এই কাজের জন্য ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি নামে একটি বিভাগও চালু করেছেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের গঠিত বিভাগের পক্ষে সাফাই গাইলেন দুইজন।

এ সময় মাস্ক জানান, সরকারের সঙ্গে তার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ জড়িত নেই। তার মূল লক্ষ্য ফেডারেল সরকারের আকার ছোট এবং পুনর্নির্মাণ করা। সংস্কারের জন্যই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় বসিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরে ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে পদক্ষেপ না নিলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। প্রতিরক্ষা খাতে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। এভাবে চললে যুক্তরাষ্ট্র দেউলিয়া হতে দেরি হবে না। এই মুহূর্তে ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাস করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টা ধনকুবের ইলন মাস্ক বিদেশি সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিকে অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মন্তব্য করেন। সংস্থাটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগও আনেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, সবকিছু সৎ, বৈধ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সব খাতগুলোকেই বিবেচনায় আনছি। ইউএসএআইডি প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতিগ্রস্ত ও অযোগ্য সংস্থা। এ বিষয়ে একজন বিচারক কীভাবে বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার নেই।’

তবে ইউএসএআইডির অভিযোগ, শুরু থেকেই মাস্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সংস্থাটি। নির্বাহী আদেশের পর, সংস্থার বেশিরভাগ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এবার ইউএসএআইডির এক প্রতিবেদনে উঠে আসে, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপে সংস্থাটি ৮ কোটি ডলারের অব্যাহত সহায়তা ঠিকভাবে তদারকি করতে পারছে না। প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পরই বরখাস্ত করা হয় সংস্থার মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে।

শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে সরকারি নজরদারি সংস্থার কর্মকর্তাদেরও বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প। ইলন মাস্ক জানান, করের টাকায় যেসব কর্মকর্তা ধনী হয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হবে। কর্মী ছাঁটাই ও ফেডারেল সরকারের আকার ছোট করার ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন ইউনিয়নভুক্ত শ্রমিকরা। এদিকে ট্রাম্প ও মাস্কের সরকারি দক্ষতা বিভাগের কাছ থেকে রেকর্ড সংগ্রহের জন্য মামলা করেছে একটি ওয়াচডগ গ্রুপ। তাদের অভিযোগ, ২০৩৪ সাল পর্যন্ত এই বিভাগের সব কাজ গোপন রাখার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। তবে ইলন মাস্কের দাবি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করছে তার বিভগা। এক্স হ্যান্ডেল ও ওয়েবসাইটে সবকিছু পোস্ট করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সূত্র : এখন টিভি।