নিউইয়র্ক ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থা বন্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২১ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও দপ্তর বন্ধের অধিকার রাখে কংগ্রেস। অথচ কংগ্রেসকে তোয়াক্কা না করেই দেশটির শিক্ষা দপ্তর, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও ভোক্তা আর্থিক সংরক্ষণ সংস্থাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক পঙ্গু করে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাহী ক্ষমতার অপপ্রয়োগের কারণে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তবে এ যাত্রায় পার পেয়ে গেলে মাস্কের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ও দপ্তর বিলুপ্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও কংগ্রেসের মাধ্যমে তৈরি ও বার্ষিক অর্থায়ন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। তাই ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্ভট কিছু নীতি গ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

প্রথমে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত করা হয়। কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনার পাশাপাশি আগের কাজগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কফিনের শেষ পেরেক হিসেবে কংগ্রেসের সামনে ভুল ত্রুটি উপস্থাপনের মাধ্যমে সংস্থাগুলোকে বিলুপ্তের আবেদন করা হবে। আর পুরো প্রক্রিয়ায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও সরকারি সক্ষমতা দফতরের প্রধান ইলন মাস্ক। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর বলির শিকার যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সংরক্ষণ সংস্থা- সিএফপিবি, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএআইডি ও শিক্ষা দপ্তর। এর মধ্যে ইউএসএআইডি বন্ধে সরাসরি মাস্কের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যা অবৈধ বলে মত বিশ্লেষকদের।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক ডোনাল্ড মোয়নিহান বলেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। কংগ্রেস ছাড়া এ বিষয়ে কারো অধিকার নেই। তিনি যখন ইচ্ছা তখন সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করছেন। প্রেসিডেন্টও এমন কাজ করতে পারেন না।’ সাবেক কংগ্রেসম্যান চার্লি ডেন্ট বলেন, ‘ইউএসএআইডি এমন একটি সংস্থা যা তৈরি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সরাসরি কংগ্রেস সম্পৃক্ত। তাই কংগ্রেস ছাড়া কারো এটি বন্ধের অধিকার নেই। সহজ করে বলতে গেলে প্রেসিডেন্ট বা ইলন মাস্কও এটি বন্ধের এখতিয়ার রাখেন না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিলিওনেয়ার বয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ। যার বাটন সামলাচ্ছেন ইলন মাস্ক নিজেই। সরকারি সংস্থা ও দপ্তর বন্ধের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেরের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। সাবেক কংগ্রেসম্যান চার্লি ডেন্ট বলেন, ‘যে নজির স্থাপন করা হয়েছে, তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমার দৃষ্টিতে নির্বাহী বিভাগে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, সরকারি দপ্তর ও সংস্থা বন্ধের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন ইলন মাস্ক। তবে এ যাত্রায় উতরে গেলে সামনে আরো ছাঁটাই অপেক্ষা করছে সরকারি কর্মীদের জন্য, এমনটাও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প ও মাস্কের বিরুদ্ধে সরকারি সংস্থা বন্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৩:১৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও দপ্তর বন্ধের অধিকার রাখে কংগ্রেস। অথচ কংগ্রেসকে তোয়াক্কা না করেই দেশটির শিক্ষা দপ্তর, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও ভোক্তা আর্থিক সংরক্ষণ সংস্থাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক পঙ্গু করে দিচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাহী ক্ষমতার অপপ্রয়োগের কারণে বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তবে এ যাত্রায় পার পেয়ে গেলে মাস্কের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা ও দপ্তর বিলুপ্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও কংগ্রেসের মাধ্যমে তৈরি ও বার্ষিক অর্থায়ন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা সহজ কোনো বিষয় ছিল না। তাই ক্ষমতা গ্রহণের পর উদ্ভট কিছু নীতি গ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

প্রথমে কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত করা হয়। কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনার পাশাপাশি আগের কাজগুলো যাচাই করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কফিনের শেষ পেরেক হিসেবে কংগ্রেসের সামনে ভুল ত্রুটি উপস্থাপনের মাধ্যমে সংস্থাগুলোকে বিলুপ্তের আবেদন করা হবে। আর পুরো প্রক্রিয়ায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও সরকারি সক্ষমতা দফতরের প্রধান ইলন মাস্ক। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর বলির শিকার যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা আর্থিক সংরক্ষণ সংস্থা- সিএফপিবি, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএআইডি ও শিক্ষা দপ্তর। এর মধ্যে ইউএসএআইডি বন্ধে সরাসরি মাস্কের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যা অবৈধ বলে মত বিশ্লেষকদের।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক ডোনাল্ড মোয়নিহান বলেন, ‘তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছেন। কংগ্রেস ছাড়া এ বিষয়ে কারো অধিকার নেই। তিনি যখন ইচ্ছা তখন সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করছেন। প্রেসিডেন্টও এমন কাজ করতে পারেন না।’ সাবেক কংগ্রেসম্যান চার্লি ডেন্ট বলেন, ‘ইউএসএআইডি এমন একটি সংস্থা যা তৈরি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে সরাসরি কংগ্রেস সম্পৃক্ত। তাই কংগ্রেস ছাড়া কারো এটি বন্ধের অধিকার নেই। সহজ করে বলতে গেলে প্রেসিডেন্ট বা ইলন মাস্কও এটি বন্ধের এখতিয়ার রাখেন না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিলিওনেয়ার বয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ। যার বাটন সামলাচ্ছেন ইলন মাস্ক নিজেই। সরকারি সংস্থা ও দপ্তর বন্ধের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবেরের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। সাবেক কংগ্রেসম্যান চার্লি ডেন্ট বলেন, ‘যে নজির স্থাপন করা হয়েছে, তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমার দৃষ্টিতে নির্বাহী বিভাগে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার নেই।’

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, সরকারি দপ্তর ও সংস্থা বন্ধের সঙ্গে জড়িত থাকায় বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন ইলন মাস্ক। তবে এ যাত্রায় উতরে গেলে সামনে আরো ছাঁটাই অপেক্ষা করছে সরকারি কর্মীদের জন্য, এমনটাও আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।