নিউইয়র্ক ০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬১ বার পঠিত

গাজায় চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত এই খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছে পরিষদের ১৩ সদস্য। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘে আলজেরিয়ার দূত আমার বেন্ডজামা ভোটের আগে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছিলেন, এই খসড়া প্রস্তাবে ভোট হলো ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকারের প্রতি সমর্থন। বিপরীতে, এর বিরুদ্ধে ভোটদান তাদের ওপর নৃশংস সমন্বিত সহিংসতা ও শাস্তির প্রতি সায় দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিতে পারে। তার মতে, এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরাইল ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধে বিরতি ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নিজেই একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। এতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব জিম্মিদের মুক্তির শর্তের কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে কি-না, কিংবা হলে কবে হবে তা জানা যায়নি। এছাড়া রাশিয়া এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। আলজেরিয়ার খসড়ায় যুদ্ধবিরতির সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি যুক্ত করা হয়নি।

ভোটের পর ব্রিটেনের জাতিসংঘ দূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, এই খসড়া প্রস্তাবের মতো শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বানে কাজ হবে না। লড়াই বন্ধ এবং পুনরায় তা শুরু হওয়া ঠেকানোর উদ্যোগের শুরুর উপায় হলো জিম্মিদের মুক্তি ও ত্রাণের প্রবেশসহ একটি বিরতি।

৭ অক্টোবরের পর জাতিসংঘে ইসরাইলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদের দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে দুটি ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত ছিল দেশটি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন। সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ফের যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

প্রকাশের সময় : ১০:২০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজায় চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। আলজেরিয়ার প্রস্তাবিত এই খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছে পরিষদের ১৩ সদস্য। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘে আলজেরিয়ার দূত আমার বেন্ডজামা ভোটের আগে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছিলেন, এই খসড়া প্রস্তাবে ভোট হলো ফিলিস্তিনিদের জীবনের অধিকারের প্রতি সমর্থন। বিপরীতে, এর বিরুদ্ধে ভোটদান তাদের ওপর নৃশংস সমন্বিত সহিংসতা ও শাস্তির প্রতি সায় দেওয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিতে পারে। তার মতে, এই প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরাইল ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধে বিরতি ও হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করার আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র নিজেই একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে। এতে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে সব জিম্মিদের মুক্তির শর্তের কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হবে কি-না, কিংবা হলে কবে হবে তা জানা যায়নি। এছাড়া রাশিয়া এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য, তাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। আলজেরিয়ার খসড়ায় যুদ্ধবিরতির সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি যুক্ত করা হয়নি।

ভোটের পর ব্রিটেনের জাতিসংঘ দূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, এই খসড়া প্রস্তাবের মতো শুধু যুদ্ধবিরতির আহ্বানে কাজ হবে না। লড়াই বন্ধ এবং পুনরায় তা শুরু হওয়া ঠেকানোর উদ্যোগের শুরুর উপায় হলো জিম্মিদের মুক্তি ও ত্রাণের প্রবেশসহ একটি বিরতি।

৭ অক্টোবরের পর জাতিসংঘে ইসরাইলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদের দুটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে দুটি ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত ছিল দেশটি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৯ হাজার ৯২ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ হাজার জন আহত হয়েছেন। সূত্র : যুগান্তর।