নিউইয়র্ক ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে ৩টি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: নিক্কি এশিয়া

হককথা ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের শঙ্কা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিপাইন সাগরে জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার জন্য বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এগুলো মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। দেশটির এমন পদক্ষেপকে চীন ও উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বৃদ্ধি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কি এশিয়া এই খবর জানিয়েছে।

বুধবার ফিলিপাইন সাগরে জাপানের সঙ্গে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় নিক্কি এশিয়াসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসনে ওঠার অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।

নভেম্বর মাসেও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ফিলিপাইন সাগরে বিমানবাহী রণতরির মহড়া পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার কার্যকলাপে জনসাধারণের আরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : নিক্কি এশিয়া

মহড়ায় ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট এবং জাপানি হেলিকপ্টার ডেস্ট্রয়ার জেএস আইসকে নেতৃত্ব দেয় কার্ল ভিনসন। জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের একটি বিবৃতি অনুসারে, ওই মহড়ায় আরও নয়টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল।

এছাড়া জাপানের ইয়োকোসুকাতে মোতায়েন রয়েছে একমাত্র ফরোয়ার্ড-ভিত্তিক বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রেগান। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট এগারোটি ক্যারিয়ারের মধ্যে তিনটিই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছে।

ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের মতে, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি তথাকথিত প্রথম দ্বীপ চেইনের কাছে অবস্থান করছে। এটি ওকিনাওয়া এবং তাইওয়ানকে ফিলিপাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল কার্লোস সার্ডিলো সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পূর্ণ মাত্রায় অপারেশন চালানোর জন্য প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপাইন সাগরে এই বৃহৎ, সক্ষম ও দক্ষ প্ল্যাটফর্মগুলোকে আমরা দ্রুত একত্রিত করতে পারি। আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত মহড়ার সুযোগ এটি।’


পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : নিক্কি এশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, কার্ল ভিনসন থেকে ৫ থেকে ১০ মাইল দূরে একটি চীনা নৌবাহিনীর গুপ্তচর জাহাজ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জাহাজটি মহড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সক্ষমতা এবং অপারেশনের ওপর নজরদারি করছিল।

থিওডোর রুজভেল্ট স্ট্রাইক গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার আলেকজান্ডার বলেছেন, ‘আমি মনে করি নৌপথগুলোতেও অনেক নৌযান চলাচল করছে। তবে এখানে আমাদের সঙ্গে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর অবস্থান নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’

আলেকজান্ডার বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে এখানে আছি শুধু মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করতে এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘটা যেকোনও সংকট বা অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাড়া দিতে আমরা যে প্রস্তুত রয়েছি তা জানাতে।’

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে ৩টি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর সংঘাতের শঙ্কা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যেই পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিপাইন সাগরে জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার জন্য বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এগুলো মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। দেশটির এমন পদক্ষেপকে চীন ও উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় প্রচেষ্টা বৃদ্ধি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কি এশিয়া এই খবর জানিয়েছে।

বুধবার ফিলিপাইন সাগরে জাপানের সঙ্গে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় নিক্কি এশিয়াসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস কার্ল ভিনসনে ওঠার অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।

নভেম্বর মাসেও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ফিলিপাইন সাগরে বিমানবাহী রণতরির মহড়া পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার কার্যকলাপে জনসাধারণের আরও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : নিক্কি এশিয়া

মহড়ায় ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট এবং জাপানি হেলিকপ্টার ডেস্ট্রয়ার জেএস আইসকে নেতৃত্ব দেয় কার্ল ভিনসন। জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের একটি বিবৃতি অনুসারে, ওই মহড়ায় আরও নয়টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল।

এছাড়া জাপানের ইয়োকোসুকাতে মোতায়েন রয়েছে একমাত্র ফরোয়ার্ড-ভিত্তিক বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রেগান। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট এগারোটি ক্যারিয়ারের মধ্যে তিনটিই ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছে।

ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের মতে, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তিনটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি তথাকথিত প্রথম দ্বীপ চেইনের কাছে অবস্থান করছে। এটি ওকিনাওয়া এবং তাইওয়ানকে ফিলিপাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল কার্লোস সার্ডিলো সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পূর্ণ মাত্রায় অপারেশন চালানোর জন্য প্রস্তুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপাইন সাগরে এই বৃহৎ, সক্ষম ও দক্ষ প্ল্যাটফর্মগুলোকে আমরা দ্রুত একত্রিত করতে পারি। আমাদের জন্য একটি দুর্দান্ত মহড়ার সুযোগ এটি।’


পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তিনটি বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করলো যুক্তরাষ্ট্র। ছবি : নিক্কি এশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, কার্ল ভিনসন থেকে ৫ থেকে ১০ মাইল দূরে একটি চীনা নৌবাহিনীর গুপ্তচর জাহাজ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই জাহাজটি মহড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের সক্ষমতা এবং অপারেশনের ওপর নজরদারি করছিল।

থিওডোর রুজভেল্ট স্ট্রাইক গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার আলেকজান্ডার বলেছেন, ‘আমি মনে করি নৌপথগুলোতেও অনেক নৌযান চলাচল করছে। তবে এখানে আমাদের সঙ্গে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলোর অবস্থান নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’

আলেকজান্ডার বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে এখানে আছি শুধু মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করতে এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘটা যেকোনও সংকট বা অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাড়া দিতে আমরা যে প্রস্তুত রয়েছি তা জানাতে।’

হককথা/নাছরিন