নিউইয়র্ক ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শেষের সময় জানাল যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৫ বার পঠিত

ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাংক। ছবি : সংগৃহীত।

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের পর এবার দক্ষিণে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে এ অঞ্চলের স্থল অভিযান কবে শেষ হবে তার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৬ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান শেষ করার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে এ অভিযান সমাপ্ত করতে পারে ইসরায়েল। এ সময়ের পর কেবল নির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে আইডিএফের অভিযান গাজায় যে আতঙ্ক ছড়াবে তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। তারা ইসরায়েলকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো এবং বেসামরিক লোকদের হতাহতের সংখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে।

সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ইসরায়েলের এ অভিযানের হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে আনার বিষয়ে আপত্তি করেছেন।

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, আমরা আগামী কয়েক সপ্তাহ গাজায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব। এরপর হয়তো অভিযানের মাত্রা অনেক কমে আসবে।

এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যাধুনিক সামরিক কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করছে হামাস। হামাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৌশল পরিবর্তনের একটি হলো তারা ট্যাংক-বিধ্বংসী বিস্ফোরক ইএফপির ব্যবহার বাড়িয়েছে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এই অস্ত্র মাত্র দুবার ব্যবহার করলেও চলতি মাসেই পাঁচবার ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

গত ২ ডিসেম্বর হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, হামাস যোদ্ধারা ট্যাংক-বিধ্বংসী বিস্ফোরক ছাড়াও উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে একমুখী আ্যটাক ড্রোন ব্যবহার করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ড্রোনের ব্যবহারও হামাসের জন্য কারিগরি ক্ষেত্রে বেশ বড় অগ্রগতি।

যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সামরিক দিকের বিশেষজ্ঞ ভেরোনিকা পনিসজাকোভা বলেন, কয়েক দশক ধরেই হামাস ড্রোন তৈরি করছে। তারা এরই মধ্যে এসব ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে এত কার্যকরভাবে নয়। তারা এতদিন মূলত প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে কৌশল ব্যবহার করেছে হামাসও তা করতে পারে। প্রত্যক্ষ সংঘাতের আগে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে তারা কামিকাজি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাতে পারে।

সমরাস্ত্র উন্নত করার পাশাপাশি হামাস দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে বলেও উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তক প্রতিষ্ঠানটি।

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান শেষের সময় জানাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  অবরুদ্ধ গাজার উত্তরাঞ্চলের পর এবার দক্ষিণে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে এ অঞ্চলের স্থল অভিযান কবে শেষ হবে তার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৬ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান শেষ করার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে এ অভিযান সমাপ্ত করতে পারে ইসরায়েল। এ সময়ের পর কেবল নির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে আইডিএফের অভিযান গাজায় যে আতঙ্ক ছড়াবে তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। তারা ইসরায়েলকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো এবং বেসামরিক লোকদের হতাহতের সংখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে।

সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ইসরায়েলের এ অভিযানের হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায়ে আনার বিষয়ে আপত্তি করেছেন।

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, আমরা আগামী কয়েক সপ্তাহ গাজায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করব। এরপর হয়তো অভিযানের মাত্রা অনেক কমে আসবে।

এদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যাধুনিক সামরিক কৌশল ও অস্ত্র ব্যবহার করছে হামাস। হামাসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কৌশল পরিবর্তনের একটি হলো তারা ট্যাংক-বিধ্বংসী বিস্ফোরক ইএফপির ব্যবহার বাড়িয়েছে। গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এই অস্ত্র মাত্র দুবার ব্যবহার করলেও চলতি মাসেই পাঁচবার ব্যবহার করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।

গত ২ ডিসেম্বর হামাসের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, হামাস যোদ্ধারা ট্যাংক-বিধ্বংসী বিস্ফোরক ছাড়াও উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে একমুখী আ্যটাক ড্রোন ব্যবহার করছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ড্রোনের ব্যবহারও হামাসের জন্য কারিগরি ক্ষেত্রে বেশ বড় অগ্রগতি।

যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সামরিক দিকের বিশেষজ্ঞ ভেরোনিকা পনিসজাকোভা বলেন, কয়েক দশক ধরেই হামাস ড্রোন তৈরি করছে। তারা এরই মধ্যে এসব ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে এত কার্যকরভাবে নয়। তারা এতদিন মূলত প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে কৌশল ব্যবহার করেছে হামাসও তা করতে পারে। প্রত্যক্ষ সংঘাতের আগে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে তারা কামিকাজি ড্রোন দিয়ে হামলা চালাতে পারে।

সমরাস্ত্র উন্নত করার পাশাপাশি হামাস দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে বলেও উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তক প্রতিষ্ঠানটি।

নাছরিন/হককথা