নিউইয়র্ক ১০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সংস্কারের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০ বার পঠিত

চীনের সামরিক কাঠামোর সঙ্গে পাল্লা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে চাপ দিচ্ছে পেন্টাগন। ফলে এবার বাহিনীটি বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর সংস্কার পরিকল্পনা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাহিনীটি ঘোষণা করবে যে, নিজেদের তিন ও চার তারকা বিশিষ্ট কমান্ডকে একীভূত এবং যুদ্ধ বিমান ও বোমারু বিমানকে একটি ইউনিটে একত্রিত করবে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাজেট বাড়াচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বাহিনীর লক্ষ্য এর ধীরগতির আমলাতন্ত্রে গতি ফিরিয়ে আনা বা আমলাতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নতুন মনোযোগ স্থাপন। বিমানবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর এ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে, কীভাবে তারা কাজ করবে সেই পরিকল্পনা পুনর্গঠন করা, নতুন উড়োজাহাজের বাজেট ও নকশা তৈরি করা। এতে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট কিছুটা বাড়বে বা সমান থাকবে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এসব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন বিমানবাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক কেন্ডাল। পলিটিকোর সঙ্গে কথা বলা সংশ্লিষ্ট ছয়জনের মধ্যে একজন মহাকাশ কর্মকর্তা, তিনজন কংগ্রেস সহযোগী এবং দুজন বিমানবাহিনীর উপদেষ্টা রয়েছেন। যদিও এখনও বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি, তবে প্রকল্পটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।

অবশ্য আশা করা হচ্ছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, কলোরাডোতে এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন ওয়ারফেয়ার সিম্পোজিয়ামে বিমানবাহিনী তাদের পরিকল্পনাটি ঘোষণা করবে। গত বছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল চীনা বিমানবাহিনী। তখনই কেন্ডাল বলেছিলেন, চীনের সামরিক আধুনিকায়ন ধারণার চাইতেও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। তাই আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে থাকতে হবে, যা চীনকে ভয় দেখাবে।

এরপর সেপ্টেম্বরে এএফএ’র বার্ষিক সম্মেলনে কেন্ডাল বিমানবাহিনীর পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, জানুয়ারির মধ্যেই পরিকল্পনাটি তৈরি করতে হবে। স্পেস সিস্টেম কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল গুয়েটলিন ১৩ ডিসেম্বর একটি সম্মেলনের বক্তৃতার সময়ও কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। কেন্ডালের পরিকল্পনার আওতায় বিমান বাহিনী বিভাগকে ঢেলে সাজানোর কথা তিনিও বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চাই পুরো কমান্ড হুমকি মোকাবিলায় মনোনিবেশ করবে। আর এ জন্য প্রয়োজন অভূতপূর্ব স্তরের একীকরণ ও নেটওয়ার্কিং।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্ডালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে। পরিকল্পনা প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস ও কার্যকর হতেও সময়ের প্রয়োজন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সংস্কারের পথে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চীনের সামরিক কাঠামোর সঙ্গে পাল্লা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে চাপ দিচ্ছে পেন্টাগন। ফলে এবার বাহিনীটি বড় ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর সংস্কার পরিকল্পনা সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাহিনীটি ঘোষণা করবে যে, নিজেদের তিন ও চার তারকা বিশিষ্ট কমান্ডকে একীভূত এবং যুদ্ধ বিমান ও বোমারু বিমানকে একটি ইউনিটে একত্রিত করবে। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাজেট বাড়াচ্ছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বাহিনীর লক্ষ্য এর ধীরগতির আমলাতন্ত্রে গতি ফিরিয়ে আনা বা আমলাতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নতুন মনোযোগ স্থাপন। বিমানবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর এ সংস্কারের মধ্যে রয়েছে, কীভাবে তারা কাজ করবে সেই পরিকল্পনা পুনর্গঠন করা, নতুন উড়োজাহাজের বাজেট ও নকশা তৈরি করা। এতে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট কিছুটা বাড়বে বা সমান থাকবে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এসব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন বিমানবাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রাঙ্ক কেন্ডাল। পলিটিকোর সঙ্গে কথা বলা সংশ্লিষ্ট ছয়জনের মধ্যে একজন মহাকাশ কর্মকর্তা, তিনজন কংগ্রেস সহযোগী এবং দুজন বিমানবাহিনীর উপদেষ্টা রয়েছেন। যদিও এখনও বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়নি, তবে প্রকল্পটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়েছে।

অবশ্য আশা করা হচ্ছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, কলোরাডোতে এয়ার অ্যান্ড স্পেস ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন ওয়ারফেয়ার সিম্পোজিয়ামে বিমানবাহিনী তাদের পরিকল্পনাটি ঘোষণা করবে। গত বছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল চীনা বিমানবাহিনী। তখনই কেন্ডাল বলেছিলেন, চীনের সামরিক আধুনিকায়ন ধারণার চাইতেও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। তাই আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজন করে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে থাকতে হবে, যা চীনকে ভয় দেখাবে।

এরপর সেপ্টেম্বরে এএফএ’র বার্ষিক সম্মেলনে কেন্ডাল বিমানবাহিনীর পুনর্গঠন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, জানুয়ারির মধ্যেই পরিকল্পনাটি তৈরি করতে হবে। স্পেস সিস্টেম কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল গুয়েটলিন ১৩ ডিসেম্বর একটি সম্মেলনের বক্তৃতার সময়ও কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন। কেন্ডালের পরিকল্পনার আওতায় বিমান বাহিনী বিভাগকে ঢেলে সাজানোর কথা তিনিও বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চাই পুরো কমান্ড হুমকি মোকাবিলায় মনোনিবেশ করবে। আর এ জন্য প্রয়োজন অভূতপূর্ব স্তরের একীকরণ ও নেটওয়ার্কিং।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্ডালের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে। পরিকল্পনা প্রস্তাব কংগ্রেসে পাস ও কার্যকর হতেও সময়ের প্রয়োজন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।