নিউইয়র্ক ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফিলিস্তিনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ, স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৬ বার পঠিত

ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ মুস্তফাকে নিয়োগ দেওয়ার খবরে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ মুস্তফাকে নিয়োগ দেওয়ার খবরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি)। খবর আল জাজিরা।

এক বিবৃতিতে এনএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নতুন সরকার বিশ্বাসযোগ্য এবং সুদূরপ্রসারী সংস্কার নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন করবে এমনটাই আশা যুক্তরাষ্ট্রের। পশ্চিম তীর এবং গাজা উভয় ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্থিতিশীলতার শর্ত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নতুন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গভর্নিং বডির সংস্কারের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন মোহাম্মদ মুস্তফা। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাকে গাজার ত্রাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলোকে সংস্কারে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৭০ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুস্তফা বর্তমানে প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি অধিকৃত পশ্চিমতীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসনকারী সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ।

সে সময় মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট (মাহমুদ আব্বাস) বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমি এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডের পরিস্থিতি এখন আর আগের মতো নেই। নতুন একটি বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে আর সেই বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের অখণ্ডতা ও ঐক্য ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নতুন সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পরিবর্তীত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং এমন একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানো, যে সরকার পুরো ফিলিস্তিনের ঐক্য দৃঢ় করতে পারবে। আমার পদত্যাগের মূল কারণ এটাই। সূত্র : জাগোনিউজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ, স্বাগত জানালো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ মুস্তফাকে নিয়োগ দেওয়ার খবরে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ মুস্তফাকে নিয়োগ দেওয়ার খবরকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি)। খবর আল জাজিরা।

এক বিবৃতিতে এনএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নতুন সরকার বিশ্বাসযোগ্য এবং সুদূরপ্রসারী সংস্কার নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন করবে এমনটাই আশা যুক্তরাষ্ট্রের। পশ্চিম তীর এবং গাজা উভয় ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্থিতিশীলতার শর্ত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি নতুন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের গভর্নিং বডির সংস্কারের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন মোহাম্মদ মুস্তফা। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাকে গাজার ত্রাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলোকে সংস্কারে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

৭০ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুস্তফা বর্তমানে প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি অধিকৃত পশ্চিমতীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসনকারী সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ।

সে সময় মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট (মাহমুদ আব্বাস) বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন এবং পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমি এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গাজা ভূখণ্ডের পরিস্থিতি এখন আর আগের মতো নেই। নতুন একটি বাস্তবতা সৃষ্টি হয়েছে আর সেই বাস্তবতায় ফিলিস্তিনের অখণ্ডতা ও ঐক্য ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নতুন সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পরিবর্তীত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং এমন একটি সরকারকে ক্ষমতায় বসানো, যে সরকার পুরো ফিলিস্তিনের ঐক্য দৃঢ় করতে পারবে। আমার পদত্যাগের মূল কারণ এটাই। সূত্র : জাগোনিউজ।