নিউইয়র্ক ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ২৪ বার পঠিত

বেলারুশ ও বেলজিয়ামের বেশ কিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইট

হককথা ডেস্ক : রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও ইউক্রেন আক্রমণে সহযোগিতাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বেলারুশের ১১টি সংস্থা এবং ৮ ব্যক্তি। এ ছাড়া রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বেলজিয়ামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল বেলজিয়ামের হ্যান্স দে গিতিরের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ককে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করেছে। এ নেটওয়ার্কের নয়টি প্রতিষ্ঠান এবং পাঁচজন ব্যক্তি রাশিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, সুইডেন, হংকং এবং নেদারল্যান্ডস জুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাঁদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ হ্যান্স দে গিতিরের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ছাড়া আমেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে ই–মেইল বার্তার মাধ্যমে দে গিতিরেকে মন্তব্য চাইলে তিনি সাড়া দেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে নিয়োজিত নেটওয়ার্কগুলোকে উন্মোচন এবং প্রতিরোধ করতে মিত্র এবং সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্রেমলিনের অ্যাকসেস (এ) যে সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করে সেগুলোর সরবরাহ ব্যাহত করতে রাশিয়ার সামরিক–শিল্প কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে।’

এদিকে ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলারুশের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিক সমাজকে দমন, লুকাশেঙ্কো পরিবারের দুর্নীতি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দোর লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্ত ১১টি সংস্থা এবং ৮ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ট্রেজারির সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেন, ‘আজকের পদক্ষেপটি বেলারুশ ও বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র–বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে লুকাশেঙ্কো, তাঁর পরিবার এবং তাঁর রাজত্বকে জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত।’

নেলসন বলেন, ‘আমরা লুকাশেঙ্কো সরকারের আয়ের উৎস, তাঁর তথাকথিত ব্যক্তিগত “মানিব্যাগ” এবং সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থাকব যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তা করে, ইউক্রেন থেকে বেলারুশে শিশুদের পাচারে সহযোগিতা করে এবং লুকাশেঙ্কোর কর্তৃত্ববাদী শাসনকে সমর্থন করে।’

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ ব্যক্তি–প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : রাশিয়ার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ও ইউক্রেন আক্রমণে সহযোগিতাকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন বেলারুশের ১১টি সংস্থা এবং ৮ ব্যক্তি। এ ছাড়া রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বেলজিয়ামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল বেলজিয়ামের হ্যান্স দে গিতিরের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ককে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করেছে। এ নেটওয়ার্কের নয়টি প্রতিষ্ঠান এবং পাঁচজন ব্যক্তি রাশিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, সুইডেন, হংকং এবং নেদারল্যান্ডস জুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাঁদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ হ্যান্স দে গিতিরের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হবে। এ ছাড়া আমেরিকানদের সঙ্গে ব্যবসা করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে ই–মেইল বার্তার মাধ্যমে দে গিতিরেকে মন্তব্য চাইলে তিনি সাড়া দেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাট মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে নিয়োজিত নেটওয়ার্কগুলোকে উন্মোচন এবং প্রতিরোধ করতে মিত্র এবং সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্রেমলিনের অ্যাকসেস (এ) যে সরঞ্জামগুলো ব্যবহার করে সেগুলোর সরবরাহ ব্যাহত করতে রাশিয়ার সামরিক–শিল্প কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে।’

এদিকে ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেলারুশের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিক সমাজকে দমন, লুকাশেঙ্কো পরিবারের দুর্নীতি এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দোর লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্ত ১১টি সংস্থা এবং ৮ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

ট্রেজারির সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেন, ‘আজকের পদক্ষেপটি বেলারুশ ও বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র–বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে লুকাশেঙ্কো, তাঁর পরিবার এবং তাঁর রাজত্বকে জবাবদিহির আওতায় আনার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত।’

নেলসন বলেন, ‘আমরা লুকাশেঙ্কো সরকারের আয়ের উৎস, তাঁর তথাকথিত ব্যক্তিগত “মানিব্যাগ” এবং সেসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থাকব যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তা করে, ইউক্রেন থেকে বেলারুশে শিশুদের পাচারে সহযোগিতা করে এবং লুকাশেঙ্কোর কর্তৃত্ববাদী শাসনকে সমর্থন করে।’

নাছরিন/হককথা