নিউইয়র্ক ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সহায়তার স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৮ বার পঠিত

জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সমুদ্রপথে জাহাজে করে ৫ লাখ মেট্রিক টন খাবার সরবরাহে আর অনিশ্চিয়তা থাকলো না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এক্স বার্তায় ডব্লিউএফপি জানায় আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের কাছ থেকে টাইটেল-২ তহবিল দিয়ে কেনা খাদ্যদ্রব্যগুলো বিতরণে বাধা নেই। সংস্থাটি বিদ্যমান ইউএসএআইডি চুক্তির অধীনে খাদ্য ক্রয় ও সরবরাহ পুনরায় শুরু করার অনুমতি পেয়েছে। কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য অনুদানে বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়। কমূসূচিটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) যৌথভাবে পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দিয়ে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সমস্ত বিদেশি সাহায্য স্থগিত রাখার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা মওকুফের শর্ত সত্ত্বেও ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য অনুদানের জন্য কেনা বন্ধ করে দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএফপিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে প্রদত্ত কয়েক ডজন অনুদানের কাজ বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা না পেলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটে থাকা জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। এদিকে, ট্রাম্পের ইউএসএআইডির দুই হাজার ২০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তও স্থগিত করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুটি ইউনিয়ন এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করলে বিচারক কার্ল নিকোলস ‘খুবই সীমিত’ সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদেশি সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সংস্থাটির কম্পিউটার সিস্টেমও বন্ধ করা হয় এবং কর্মীদের ছাঁটাই বা ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। রয়টার্স।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সহায়তার স্থগিতাদেশ উঠিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহায়তার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে সমুদ্রপথে জাহাজে করে ৫ লাখ মেট্রিক টন খাবার সরবরাহে আর অনিশ্চিয়তা থাকলো না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এক্স বার্তায় ডব্লিউএফপি জানায় আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের কাছ থেকে টাইটেল-২ তহবিল দিয়ে কেনা খাদ্যদ্রব্যগুলো বিতরণে বাধা নেই। সংস্থাটি বিদ্যমান ইউএসএআইডি চুক্তির অধীনে খাদ্য ক্রয় ও সরবরাহ পুনরায় শুরু করার অনুমতি পেয়েছে। কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য অনুদানে বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়। কমূসূচিটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার) ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) যৌথভাবে পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দিয়ে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য সমস্ত বিদেশি সাহায্য স্থগিত রাখার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে জরুরি খাদ্য সহায়তা মওকুফের শর্ত সত্ত্বেও ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য অনুদানের জন্য কেনা বন্ধ করে দেয়। তখন যুক্তরাষ্ট্র ডব্লিউএফপিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে প্রদত্ত কয়েক ডজন অনুদানের কাজ বন্ধ করতে বলে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা না পেলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটে থাকা জনগোষ্ঠী ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়বে। এদিকে, ট্রাম্পের ইউএসএআইডির দুই হাজার ২০০ কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তও স্থগিত করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুটি ইউনিয়ন এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করলে বিচারক কার্ল নিকোলস ‘খুবই সীমিত’ সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সব বিদেশি সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করেন। ইউএসএআইডির প্রকল্পগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় সংস্থাটির কম্পিউটার সিস্টেমও বন্ধ করা হয় এবং কর্মীদের ছাঁটাই বা ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। রয়টার্স।