নিউইয়র্ক ১০:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিরাপত্তা পরিষদে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২২০ বার পঠিত

হক কথা ডেস্ক : জাতিসংঘের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বুধবার ১১-০ ভোটে নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবটি পাস হয়। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান যৌথভাবে এই প্রস্তাব সামনে নিয়ে এসেছিল। হুধি বিদ্রোহীদের আক্রমণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে ওই প্রস্তাবে বলা হয়। রাশিয়া, চীন, মোজাম্বিক এবং আলজেরিয়া এই ভোটে অংশ নেয়নি। বস্তুত, লোহিত সাগরে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীরা এখনও পর্যন্ত ২৬ বার পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে। যে কারণে, লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালের ওই রাস্তা আপাতত ব্যবহার করছে না অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ।

ইউরোপ থেকে এশিয়া যাওয়ার জন্য আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের রাস্তা ধরছে তারা। যার জেরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। সময়ও লাগছে অনেক বেশি। হুতি বিদ্রোহীদের অবশ্য বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
পশ্চিম এশিয়ায় সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আপাতত মঙ্গলবার এবং বুধবার তিনি ইসরায়েলে ছিলেন। সফর চলাকালীন একাধিকবার তিনি ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইরানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার ওয়াশিংটনও একই কথা বলেছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ ইরানকে বলেছে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। আক্রমণ বন্ধ না হলে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হবে। বস্তুত, পেন্টাগন আগেই জানিয়েছিল, একাধিক দেশকে সঙ্গে নিয়ে লোহিত সাগরে তারা একটি নিরাপত্তা জোট তৈরি করছে। যারা হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করবে। আমেরিকাসহ একাধিক দেশের অভিয়োগ, হুথি বিদ্রোহীরা একাজ ইরানের মদতে করছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে প্রচুর বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। কয়েকশ মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে গাজা উপত্যকায়। তখন থেকেই লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা।

আর ডিসেম্বরের শুরুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে আক্রমণ চালায়। তবে সবচেয়ে বড় আক্রমণ হয় ৯ জানুয়ারি। ওইদিন ইয়েমেনের দিক থেকে অন্তত ২০ টি মিসাইল ছোঁড়া হয় বলে আমেরিকার দাবি। লোহিত সাগরে ব্রিটিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ওই মিসাইলগুলোকে প্রতিহত করে বলে আমেরিকা দাবি করেছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিরাপত্তা পরিষদে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

হক কথা ডেস্ক : জাতিসংঘের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বুধবার ১১-০ ভোটে নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবটি পাস হয়। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের ওপর হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান যৌথভাবে এই প্রস্তাব সামনে নিয়ে এসেছিল। হুধি বিদ্রোহীদের আক্রমণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলছে বলে ওই প্রস্তাবে বলা হয়। রাশিয়া, চীন, মোজাম্বিক এবং আলজেরিয়া এই ভোটে অংশ নেয়নি। বস্তুত, লোহিত সাগরে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীরা এখনও পর্যন্ত ২৬ বার পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ চালিয়েছে। যে কারণে, লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালের ওই রাস্তা আপাতত ব্যবহার করছে না অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ।

ইউরোপ থেকে এশিয়া যাওয়ার জন্য আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের রাস্তা ধরছে তারা। যার জেরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। সময়ও লাগছে অনেক বেশি। হুতি বিদ্রোহীদের অবশ্য বক্তব্য, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আক্রমণ চালিয়ে যাবে।

ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি
পশ্চিম এশিয়ায় সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। আপাতত মঙ্গলবার এবং বুধবার তিনি ইসরায়েলে ছিলেন। সফর চলাকালীন একাধিকবার তিনি ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইরানের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার ওয়াশিংটনও একই কথা বলেছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ ইরানকে বলেছে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। আক্রমণ বন্ধ না হলে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করা হবে। বস্তুত, পেন্টাগন আগেই জানিয়েছিল, একাধিক দেশকে সঙ্গে নিয়ে লোহিত সাগরে তারা একটি নিরাপত্তা জোট তৈরি করছে। যারা হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করবে। আমেরিকাসহ একাধিক দেশের অভিয়োগ, হুথি বিদ্রোহীরা একাজ ইরানের মদতে করছে।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে প্রচুর বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। কয়েকশ মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে গাজা উপত্যকায়। তখন থেকেই লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা।

আর ডিসেম্বরের শুরুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে আক্রমণ চালায়। তবে সবচেয়ে বড় আক্রমণ হয় ৯ জানুয়ারি। ওইদিন ইয়েমেনের দিক থেকে অন্তত ২০ টি মিসাইল ছোঁড়া হয় বলে আমেরিকার দাবি। লোহিত সাগরে ব্রিটিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ওই মিসাইলগুলোকে প্রতিহত করে বলে আমেরিকা দাবি করেছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।