নিউইয়র্ক ০১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে চীনা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
  • / ৭৮ বার পঠিত

অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়তে থাকায় চীনের অনেক মানুষ এখন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আগ্রহী হচ্ছেন। টিকটকের সহায়তায় তারা ল্যাটিন অ্যামেরিকা হয়ে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছচ্ছেন। সম্প্রতি এই সীমান্তে পৌঁছানো প্রায় ৫০ জনের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক ২৪ বছর বয়সি গুও। তিনি চীনের শেনজেন থেকে ইকুয়েডর হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছেছেন। চীনের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই ইকুয়েডরে যাওয়া যায় বলে তিনি প্রথম ইকুয়েডর যান। সেখান থেকে ল্যাটিন ও মধ্যে অ্যামেরিকার অন্যান্য দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন সেটিই ব্যবহার করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন’ (সিবিপি) বলছে, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার চীনা নাগরিককে সীমান্তে নিবন্ধন করা হয়েছে। ২০২১ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৫৫।
পরিসংখ্যান বলছে, চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার হার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের হিসাব বলছে, ৫০ শতাংশের বেশি চীনা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে সংখ্যাটি মাত্র চার শতাংশ।

গুও জানান, কোন রুটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছা যাবে, কোন সময় কী করতে হবে, কী ধরনের পরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনকী কোন সীমান্তে কাকে কতটাকা ঘুস দিতে হবে- সব তথ্য টিকটকে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের চীনা বিশেষজ্ঞ ইয়ান জনসন বলছেন, চীনের মানুষ তথ্য পেতে সামাজিক মাধ্যমের ওপর বেশি নির্ভর করেন।

চীন ছাড়তে চাওয়ার কারণ
গুও বলছেন, চীনে অনেক সমস্যা আছে। তরুণেরা শহরে বাসা কিনতে পারে না। গুও জানান, তিনি চীনের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা, কমিউনিস্ট পার্টি ও টোটালিটারিয়ানিজম পছন্দ করেন না। এদিকে, ইয়ান জনসন বলছেন, ‘অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে, বেকারত্ব অনেক বাড়ছে, আগামীতে ডিফ্লেশনের পূর্বাভাস আছে, অনেক কোম্পানি খেলাপি হয়ে যেতে পারে। অর্থনীতির দুরবস্থার কারণে শুধু গরিব মানুষের সমস্যা হচ্ছে না, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়ছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়ছে বলেও অনেকে চীন ছাড়তে চাইছেন বলে মনে করেন জনসন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে চীনা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়তে থাকায় চীনের অনেক মানুষ এখন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আগ্রহী হচ্ছেন। টিকটকের সহায়তায় তারা ল্যাটিন অ্যামেরিকা হয়ে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছচ্ছেন। সম্প্রতি এই সীমান্তে পৌঁছানো প্রায় ৫০ জনের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক ২৪ বছর বয়সি গুও। তিনি চীনের শেনজেন থেকে ইকুয়েডর হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছেছেন। চীনের পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়াই ইকুয়েডরে যাওয়া যায় বলে তিনি প্রথম ইকুয়েডর যান। সেখান থেকে ল্যাটিন ও মধ্যে অ্যামেরিকার অন্যান্য দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেন সেটিই ব্যবহার করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন’ (সিবিপি) বলছে, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার চীনা নাগরিককে সীমান্তে নিবন্ধন করা হয়েছে। ২০২১ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৫৫।
পরিসংখ্যান বলছে, চীনা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন পাওয়ার হার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের হিসাব বলছে, ৫০ শতাংশের বেশি চীনা আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। মেক্সিকোর ক্ষেত্রে সংখ্যাটি মাত্র চার শতাংশ।

গুও জানান, কোন রুটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছা যাবে, কোন সময় কী করতে হবে, কী ধরনের পরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনকী কোন সীমান্তে কাকে কতটাকা ঘুস দিতে হবে- সব তথ্য টিকটকে পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের চীনা বিশেষজ্ঞ ইয়ান জনসন বলছেন, চীনের মানুষ তথ্য পেতে সামাজিক মাধ্যমের ওপর বেশি নির্ভর করেন।

চীন ছাড়তে চাওয়ার কারণ
গুও বলছেন, চীনে অনেক সমস্যা আছে। তরুণেরা শহরে বাসা কিনতে পারে না। গুও জানান, তিনি চীনের বর্তমান সরকার ব্যবস্থা, কমিউনিস্ট পার্টি ও টোটালিটারিয়ানিজম পছন্দ করেন না। এদিকে, ইয়ান জনসন বলছেন, ‘অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে, বেকারত্ব অনেক বাড়ছে, আগামীতে ডিফ্লেশনের পূর্বাভাস আছে, অনেক কোম্পানি খেলাপি হয়ে যেতে পারে। অর্থনীতির দুরবস্থার কারণে শুধু গরিব মানুষের সমস্যা হচ্ছে না, নিম্ন মধ্যবিত্তরাও সমস্যায় পড়ছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে রাজনৈতিক নিপীড়ন বাড়ছে বলেও অনেকে চীন ছাড়তে চাইছেন বলে মনে করেন জনসন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক।