নিউইয়র্ক ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৮ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোট পেতে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থান আরও শক্ত করতে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বাইডেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে মেক্সিকো সীমান্ত পথ দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোয়ার বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে; শিগগিরই এসব বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাইডেনের পূর্বসূর‌ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ২১২ (এফ) নামের একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সেসময় অবশ্য এই ধারাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হওয়ার পর গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে কোনো আলোচনার মধ্যে ছিল না সেই ধারাটি।

বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধারাটিকে ফের পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা রর্য়েছে তাদের। বস্তুত, অভিবাসী ও অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক মতাদর্শগতভাবে জো বাইডেনের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পার্টির চেয়ে অনেক উদার। তবুও বাইডেন এ ইস্যুতে যে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছেন, তার প্রধান কারণ দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস রিপাবলিকান পার্টির দখলে। সম্প্রতি ইউক্রেন, ইসরায়েল এভং তাইওয়ানে সামরিক সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত একটি বিল সিনেটে পাঠিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সিনেটে অনুমোদিত হওয়ার পর সেটি পাঠানো হয় নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। কিন্তু সেখানে বিলটি এখনও পাস হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে— এই ব্যাপারটি প্রমাণ করে যে আইনসভায় নিজের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে হারিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এছাড়া সাম্প্রতিক একাধিক জরিপে দেখা গিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ ভোটারদের বড় অংশই অভিবাসন ও অভিবাসীবিরোধী। চলতি বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, যদি বাইডেন অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন— তাহলে আগামী নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে; কারণ সেক্ষেত্রে তরুণ ভোটারদের অধিকাংশ ভোট চলে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে।

ব্লুমবার্গের নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়র, গভর্নর, অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা ও আইনজীবীরা প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছেন বাইডেনকে। সূত্র : ব্লুমবার্গ, হিন্দুস্তান টাইমস

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোট পেতে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থান আরও শক্ত করতে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে বাইডেন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে মেক্সিকো সীমান্ত পথ দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জোয়ার বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ের রয়েছে; শিগগিরই এসব বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাইডেনের পূর্বসূর‌ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ২১২ (এফ) নামের একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। সেসময় অবশ্য এই ধারাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হওয়ার পর গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে কোনো আলোচনার মধ্যে ছিল না সেই ধারাটি।

বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধারাটিকে ফের পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা রর্য়েছে তাদের। বস্তুত, অভিবাসী ও অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক মতাদর্শগতভাবে জো বাইডেনের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রিপাবলিকান পার্টির চেয়ে অনেক উদার। তবুও বাইডেন এ ইস্যুতে যে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছেন, তার প্রধান কারণ দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস রিপাবলিকান পার্টির দখলে। সম্প্রতি ইউক্রেন, ইসরায়েল এভং তাইওয়ানে সামরিক সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত একটি বিল সিনেটে পাঠিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সিনেটে অনুমোদিত হওয়ার পর সেটি পাঠানো হয় নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে। কিন্তু সেখানে বিলটি এখনও পাস হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে— এই ব্যাপারটি প্রমাণ করে যে আইনসভায় নিজের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে হারিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এছাড়া সাম্প্রতিক একাধিক জরিপে দেখা গিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ ভোটারদের বড় অংশই অভিবাসন ও অভিবাসীবিরোধী। চলতি বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, যদি বাইডেন অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন— তাহলে আগামী নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে; কারণ সেক্ষেত্রে তরুণ ভোটারদের অধিকাংশ ভোট চলে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে।

ব্লুমবার্গের নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়র, গভর্নর, অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা ও আইনজীবীরা প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছেন বাইডেনকে। সূত্র : ব্লুমবার্গ, হিন্দুস্তান টাইমস

হককথা/নাছরিন