কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের পপ সম্রাজ্ঞী টেইলর সুইফটের আকাশপথের যাতায়াত ট্র্যাক করছিল ফ্লোরিডার এক ছাত্র। সুইফট কখন কোথায় যাচ্ছেন, আকাশের ঠিক কোন জায়গাটিতে অবস্থান করছেন সব তথ্যই জানতে পারতেন ওই ছাত্রটি। নিরাপত্তার কথা ভেবে তাই নিজের ব্যক্তিগত একটি জেট বিমান বিক্রি করে দিয়েছেন পপ সম্রাজ্ঞী।

কিছু নথির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইফট তাঁর বিমানটি মিসৌরির গাড়ি বিমা কোম্পানি কারশিল্ডের কাছে ৩০ জানুয়ারি বিক্রি করেছেন। তবে বিক্রয়ের মূল্য তালিকাভুক্ত না হওয়ায় জানা যায়নি তিনি বিমানটি কত দামে বিক্রি করেছেন। ২০১১ সালে প্রায় ৪ কোটি ডলার খরচ করে ‘ডসাল্ট ফ্যালকন ৯০০ এলএক্স’ মডেলের ওই বিমানটি কিনেছিলেন পপ সম্রাজ্ঞী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি বিমান বিক্রি করে দিলেও ‘ডসাল্ট ফ্যালকন ৭ এক্স’ নামে আরেকটি বড় বিমান এখনো রয়ে গেছে সুইফটের কাছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কনসার্টে যাওয়ার জন্য বর্তমানে এই বিমানটিকেই ব্যবহার করছেন তিনি। আগামী রোববারও জাপানে একটি কনসার্ট শেষ করে এই বিমানে চড়েই যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ফিরবেন সুইফট। সেখানে তাঁর প্রেমিক ও তারকা খেলোয়াড় ট্র্যাভিস কেলস অপেক্ষা করছেন।

জানা গেছে, সুইফটের ফ্লাইটে নজরদারি করা ওই ছাত্রটির নাম জ্যাক সুইনি। বিমান বিক্রি করে দেওয়ার আগে সুইনিকে নজরদারি বন্ধ করার জন্য একটি নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সুইফট। সুইনির বিরুদ্ধে সুইফট ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটির ফ্লাইট ট্র্যাক করার অভিযোগ রয়েছে। জ্যাক সুইনি সর্বজনীনভাবে ফ্লাইটের অবস্থানের তথ্য প্রকাশ করলেও সুইফটের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সুইনির ট্র্যাকিং পপ সম্রাজ্ঞীর বিরুদ্ধে হয়রানিকে সহজতর করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষের দিকে ইলন মাস্কের ফ্লাইট স্থানাঙ্ক প্রকাশ করার জন্য জ্যাক সুইনিকে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ইলন মাস্ক তখন সবেমাত্র টুইটার কিনে নিয়েছিলেন। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মটি ‘অ্যাক্স’ নামে পরিচিত। মঙ্গলবার অ্যাক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সুইনিকে নোটিশ পাঠানোর জন্য সুইফটের প্রশংসা করেছিলেন ইলন মাস্ক। এদিকে ব্যক্তিগত জেট বিমান ব্যবহার করার জন্য জলবায়ু কর্মীরা প্রায়ই টেইলর সুইফটের সমালোচনা করেন। জানা গেছে, তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১৭০ বার আকাশে উড়েছিলেন। সূত্র : আজকের পত্রিকা।