হত্যাচেষ্টা নিয়ে সালমান রুশদির বই পিছিয়ে দিতে পারে অভিযুক্তের বিচার
- প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৪৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : ২০২২ সালে হত্যার উদ্দেশে মারাত্মক এক হামলার শিকার হয়েছিলেন আলোচিত লেখক সালমান রুশদি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সংঘটিত সেই হামলা নিয়ে আগামী এপ্রিলে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি। এ কারণে তাঁর ওপর হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার বিলম্বিত পারে জানিয়ে বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা এপি। আগামী সপ্তাহেই ওই বিচার শুরু হওয়ার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল।
নিউ ইয়র্কের চৌতাকোয়া কাউন্টির বিচারক ডেভিড ফোলি এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিচারের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে প্রকাশিতব্য স্মৃতিকথার পাণ্ডুলিপি এবং এ সম্পর্কিত উপাদান পাওয়ার অধিকার রয়েছে সালমানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত হাদি মাতারের।
এ ক্ষেত্রে হাদি মাতার এবং তাঁর আইনজীবীকে বইটি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বিচার বিলম্ব করতে চান কি-না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একদিনের সময় বেঁধে দেন ডেভিড ফোলি। তবে বইটি বাজারে আসার আগেই প্রকাশকের কাছ থেকে আগাম সংগ্রহ করারও সুযোগ রয়েছে।
মাতারের আইনজীবী নাথানিয়েল ব্যারন এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন—তিনি বিচার বিলম্বের পক্ষে। তবে মাতারের সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
হামলার ঘটনা নিয়ে সালমান রুশদি স্মৃতিকথা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিলেন গত বছরের অক্টোবরে। ২০২২ সালের আগস্টে সংঘটিত ওই হামলায় তাঁর ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায় এবং বাম হাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‘নাইফ: মেডিটেশনস আফটার অ্যাটেম্পড মার্ডার’ নামে স্মৃতিকথাটি প্রকাশ করবেন তিনি।
পশ্চিম নিউ ইয়র্কের চৌতাকোয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় দর্শকদের স্তম্ভিত করে তাঁর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করা হয়। দর্শকেরা বাঁচাতে এগিয়ে আসার আগেই এক ডজনের বেশি বার ছুরিকাঘাতের শিকার হন রুশদি। ঘটনাস্থল থেকে ২৬ বছর বয়সী অভিযুক্ত হাদি মাতারকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।
কী জন্য এই হামলা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের পর কারাগারের মধ্যে দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত মাতার ইরানের প্রয়াত নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির প্রশংসা করেন এবং বলেছিলেন, ‘রুশদি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন।’
‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাস লেখার দায়ে ১৯৮৯ সালে সালমান রুশদিকে হত্যা করার জন্য ফতোয়া জারি করেছিলেন রুহুল্লাহ খোমেনি। এ অবস্থায় কয়েক বছর আত্মগোপনে ছিলেন রুশদি। অনেকে তাঁর এমন আত্মগোপনে থাকারও নিন্দা করেছিলেন। গত দুই দশক ধরে অবাধেই যাতায়াত করছিলেন ৭৫ বছর বয়সী এই লেখক।
অভিযুক্ত মাতার যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে লেবাননে তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তাঁর বাবা-মায়ের জন্ম হয়েছিল লেবাননে। তাঁর মা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে লেবাননে বাবার সঙ্গে দেখা করার পর থেকে বদলে যান মাতার।
হককথা/নাছরিন