নিউইয়র্ক ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভক্তি!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৩১ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রস্তাবে খোদ রিপাবলিকানরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবে তার অনেক রিপাবলিকান সহকর্মী বিভ্রান্তি ও সংশয় প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘সাহসী ও স্পষ্ট’ ধরণাকে সমর্থন করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে ট্রাম্প প্রস্তাব করেন যে যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং একে পুনর্গঠন করবে। এজন্য ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করা হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং কংগ্রেসের রিপাবলিকানরাও অনেকে ভিন্নমত পোষণ করেন।

এমনকি যারা ট্রাম্পের বিদেশি সাহায্য বন্ধ করা এবং হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে অপসারণের মতো উদ্যোগের সাথে একমত হয়েছেন, তারাও ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হতে পারেননি। ভিন্নমত পোষণ করা আইন প্রণেতারা বলেছেন যে তারা এখনও ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ডলার ব্যয় করার বা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে বিধ্বস্ত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর ধারণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রিপাবলিকান সিনেটর র‍্যান্ড পল এক্সে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা প্রথমে আমেরিকার পক্ষে ভোট দিয়েছি। আমাদের সম্পদ ধ্বংস করে এবং আমাদের সৈন্যদের রক্তপাত করে আরেকটি দখলদারিত্বের কথা ভাবার কোনো কারণ নেই।’ সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন এমএসএনবিসি-তে বলেছেন, ‘এটি অন্য নামে জাতিগত নির্মূল।’ রিপাবলিকান সিনেটর জেরি মোরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ধারণাটি এভাবে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া ঠিক হবে না। বিষয়টি এমন কিছু নয় যা একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।’

এদিকে সিনেটর লিসা মুরকোস্কি বলেছেন, ‘যে অঞ্চলে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সংঘাত হয়েছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী পাঠানোর কোনো সম্ভাব্য প্রস্তাব নিয়ে তিনি জল্পনা-কল্পনা করতে চান না।’ তবে হাউস স্পিকার মাইক জনসন ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ওই অঞ্চলের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সাহসী, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনায় রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভক্তি!

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রস্তাবে খোদ রিপাবলিকানরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাবে তার অনেক রিপাবলিকান সহকর্মী বিভ্রান্তি ও সংশয় প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘সাহসী ও স্পষ্ট’ ধরণাকে সমর্থন করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে ট্রাম্প প্রস্তাব করেন যে যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং একে পুনর্গঠন করবে। এজন্য ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করা হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে এবং কংগ্রেসের রিপাবলিকানরাও অনেকে ভিন্নমত পোষণ করেন।

এমনকি যারা ট্রাম্পের বিদেশি সাহায্য বন্ধ করা এবং হাজার হাজার ফেডারেল কর্মীকে অপসারণের মতো উদ্যোগের সাথে একমত হয়েছেন, তারাও ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হতে পারেননি। ভিন্নমত পোষণ করা আইন প্রণেতারা বলেছেন যে তারা এখনও ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে। কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের ডলার ব্যয় করার বা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধে বিধ্বস্ত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর ধারণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রিপাবলিকান সিনেটর র‍্যান্ড পল এক্সে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা প্রথমে আমেরিকার পক্ষে ভোট দিয়েছি। আমাদের সম্পদ ধ্বংস করে এবং আমাদের সৈন্যদের রক্তপাত করে আরেকটি দখলদারিত্বের কথা ভাবার কোনো কারণ নেই।’ সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন এমএসএনবিসি-তে বলেছেন, ‘এটি অন্য নামে জাতিগত নির্মূল।’ রিপাবলিকান সিনেটর জেরি মোরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ধারণাটি এভাবে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া ঠিক হবে না। বিষয়টি এমন কিছু নয় যা একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।’

এদিকে সিনেটর লিসা মুরকোস্কি বলেছেন, ‘যে অঞ্চলে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সংঘাত হয়েছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী পাঠানোর কোনো সম্ভাব্য প্রস্তাব নিয়ে তিনি জল্পনা-কল্পনা করতে চান না।’ তবে হাউস স্পিকার মাইক জনসন ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ওই অঞ্চলের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সাহসী, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন।