রেহাই পাচ্ছে না পাকিস্তানিরা, পড়ছে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায়

- প্রকাশের সময় : ০৪:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / ৪০ বার পঠিত
বিশ্বের ৪৩টি দেশে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত ও অভ্যন্তরীণ মেমোর বরাত দিয়ে শনিবার (১৫ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এবারের এই নিষেধাজ্ঞা তার প্রথম মেয়াদে আরোপিত বিধিনিষেধের চেয়েও ব্যাপক হতে পারে। নিউইয়র্ক টাইমস ৪৩টি দেশের কথা উল্লেখ করলেও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ৪১টি দেশ পড়তে যাচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাওয়া এসব দেশকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। রয়টার্স বলছে, প্রথম ভাগের দেশগুলোর ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এই তালিকায় রয়েছে ১০টি দেশ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা, উত্তর কোরিয়া। তবে নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ দেশ ছাড়াও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে ভুটান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে পাঁচটি দেশ। ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, দক্ষিণ সুদানের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এতে করে এসব দেশের পর্যটক, শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়বে। তবে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এই ভাগে আরও থাকছে বেলারুশ, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন ও তুর্কমিনিস্থান।
এদিকে রয়টার্সের এমন খবর চাউর হওয়ার পর পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য পাননি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত রিজওয়ান সাঈদ শেখ জানান, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু শুনেননি। তিনি বলেছেন, আমরা খবরে দেখেছি কিন্তু সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে কিছু পাইনি এখনো। সরকারিভাবে কিছু পেলেই আমি মন্তব্য করব। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের দেশগুলোকে ৬০ দিনের সময় দেওয়া হবে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ দূর করতে। রয়টার্স বলছে, এই ধাপে রয়েছে ২৬টি দেশ এবং নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে ২২টি দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আংশিকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে দেশগুলো যদি ৬০ দিনের মধ্যে ভিসা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার ঘাটতি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করা হবে।