নিউইয়র্ক ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়নি-ডেপুটি গভর্নর

অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট প্রোগ্রামে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১১৯ বার পঠিত

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী চারটি ব্যাংক যথাক্রমে অগ্রণী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের আয়োজনে ‘অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট’ প্রোগ্রামে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিরা প্রবাসীদের স্বদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন। তারা জানান, ‘অফশোর’ ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট করে প্রবাসীরা ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ পেতে পারেন। সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্থ সহজেই ডলারে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং ডলারেই তা ফেরত পাবেন। এ বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এতে করে প্রবাসীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি লাভবান হবে দেশও। প্রবাসীদের বিনিয়োগের অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীরা অফশোর ব্যাংকিং বিনিয়োগের মাধ্যমে ভূমিকা রাখার বিশাল সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।

নিউইয়র্ক লাগোর্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে গত ২৪ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উল্লেখিত চারটি শীর্ষ ব্যাংকের উদ্যোগে ‘অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট’ হিসাবের আওতায় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে এ প্রোগ্রামে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়দুর রহমান এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।

অফশোর ব্যাংকের ধারণা এবং এ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেইন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ মোরশেদুল কবির এবং সিটি ব্যাংকের এমডি মাশরুর আরেফিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশে কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, সরকার বাংলাদেশে কোন ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া হতে দেবে না। দেশে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা আস্থার সাথে বিনিয়োগ করতে পারেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন মুখপাত্রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করার জন্য। যেকোনো সাংবাদিক ব্যাংকের যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কোনো বাঁধা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অগ্রণী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের সর্বোচ্চ নির্বাহীরা অফশোর ব্যাংকিং ডিপোজিট কর্মসূচিতে সহজেই বিনিয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। বক্তারা জানান, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ আরও বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক অফশোর ব্যাংক ডিপোজিট প্রোডাক্টগুলি চালু করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে যারা বিনিয়োগ করবে তারা বিদেশি বা অনাবাসী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে হবে।

বক্তারা জানান, বিদেশে যে বাংলাদেশী বসবাস করছেন তার পক্ষে দেশে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশী নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। পাঁচ ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা- ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানী ইয়েন ও চীনা ইউয়ানে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। প্রবাসীর পক্ষে দেশে অবস্থানরত কোনও বাংলাদেশী নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সহায়তাকারী হিসেবে তারা অ্যাকাউন্ট পরিচালনাও করতে পারবেন। করমুক্ত এই সঞ্চয়ের সুযোগটি গ্রহণের জন্য তারা প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। ডিপোজিটের মেয়াদ তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত করা যাবে। সম্পূর্ণ ফি ছাড়া এ বিনিয়োগের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যাবে। জমাকৃত অর্থ সহজেই ইন্টারেস্টসহ বিদেশে ট্রান্সফার করা যাবে। ইন্টারেস্ট আয়ের উপর কোনো কর আরোপ করা হবে না। সহজ উপায়ে এমন বিনিয়োগের ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রবাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে কিছু ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধাও পাবেন বলে বলা হয়েছে। অফশোর ব্যাংক ধারণাটি পুরোনো হলেও কর্মসূচিটি বাংলাদেশের জন্য নতুন এবং এ নতুন কর্মসূচি প্রবাসীদের জন্য দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘অফশোর’ ব্যাংকিং কর্মসূচি সম্পর্কে ব্যাংকের নির্বাহীরা আরও তথ্য সরবরাহ করলে প্রবাসে থাকা সরকারের প্রতিনিধিরা প্রবাসীদের এসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরও ঘন ঘন প্রবাসে উপস্থিত হয়ে এ কর্মসূচির জন্য প্রবাসীদের সাথে মতবিনিয়ময় করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। বাংলাদেশের যে কয়েকটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক রেটিং কোম্পানি দ্বারা রেটিং করা, ডাচ বাংলা ব্যাংক এরমধ্যে অন্যতম। গত ২ বছর থেকে ত্রিপল এ রেটিং পাওয়া ডাচ বাংলা ব্যাংকে যেকোনো অনাবাসী বাংলাদেশি নিজের নামে বা আপনজনের নামে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং বিনিয়োগের অর্থ লাভ সহ যেকোনো সময় বিদেশে বসেই নিয়ে আসতে পারবেন। তিনি দেশে বিনিয়োগের এ সুযোগ গ্রহণের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের অফশোর ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।

শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী সায়েরা রেজা এবং সঙ্গীত শিল্পী শান্তনীল ধর। তারা একের পর এক গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়নি-ডেপুটি গভর্নর

অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট প্রোগ্রামে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০২:০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী চারটি ব্যাংক যথাক্রমে অগ্রণী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের আয়োজনে ‘অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট’ প্রোগ্রামে ব্যাংকগুলোর শীর্ষ ব্যক্তিরা প্রবাসীদের স্বদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন। তারা জানান, ‘অফশোর’ ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট করে প্রবাসীরা ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ পেতে পারেন। সম্পূর্ণ অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রবাসীদের অর্থ সহজেই ডলারে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং ডলারেই তা ফেরত পাবেন। এ বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এতে করে প্রবাসীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি লাভবান হবে দেশও। প্রবাসীদের বিনিয়োগের অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীরা অফশোর ব্যাংকিং বিনিয়োগের মাধ্যমে ভূমিকা রাখার বিশাল সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে।

নিউইয়র্ক লাগোর্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলে গত ২৪ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উল্লেখিত চারটি শীর্ষ ব্যাংকের উদ্যোগে ‘অফশোর ব্যাংকিং ফিক্সড ডিপোজিট’ হিসাবের আওতায় দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে এ প্রোগ্রামে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়দুর রহমান এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।

অফশোর ব্যাংকের ধারণা এবং এ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেইন, ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ মোরশেদুল কবির এবং সিটি ব্যাংকের এমডি মাশরুর আরেফিন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশে কোন ব্যাংক দেউলিয়া হয়নি। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, সরকার বাংলাদেশে কোন ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া হতে দেবে না। দেশে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা আস্থার সাথে বিনিয়োগ করতে পারেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন মুখপাত্রকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সব ধরনের তথ্য সরবরাহ করার জন্য। যেকোনো সাংবাদিক ব্যাংকের যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কোনো বাঁধা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অগ্রণী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের সর্বোচ্চ নির্বাহীরা অফশোর ব্যাংকিং ডিপোজিট কর্মসূচিতে সহজেই বিনিয়োগের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন। বক্তারা জানান, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ আরও বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক অফশোর ব্যাংক ডিপোজিট প্রোডাক্টগুলি চালু করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে যারা বিনিয়োগ করবে তারা বিদেশি বা অনাবাসী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে হবে।

বক্তারা জানান, বিদেশে যে বাংলাদেশী বসবাস করছেন তার পক্ষে দেশে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশী নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। পাঁচ ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা- ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানী ইয়েন ও চীনা ইউয়ানে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। প্রবাসীর পক্ষে দেশে অবস্থানরত কোনও বাংলাদেশী নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সহায়তাকারী হিসেবে তারা অ্যাকাউন্ট পরিচালনাও করতে পারবেন। করমুক্ত এই সঞ্চয়ের সুযোগটি গ্রহণের জন্য তারা প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। ডিপোজিটের মেয়াদ তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত করা যাবে। সম্পূর্ণ ফি ছাড়া এ বিনিয়োগের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যাবে। জমাকৃত অর্থ সহজেই ইন্টারেস্টসহ বিদেশে ট্রান্সফার করা যাবে। ইন্টারেস্ট আয়ের উপর কোনো কর আরোপ করা হবে না। সহজ উপায়ে এমন বিনিয়োগের ফলে বিনিয়োগকারীরা প্রবাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে কিছু ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধাও পাবেন বলে বলা হয়েছে। অফশোর ব্যাংক ধারণাটি পুরোনো হলেও কর্মসূচিটি বাংলাদেশের জন্য নতুন এবং এ নতুন কর্মসূচি প্রবাসীদের জন্য দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘অফশোর’ ব্যাংকিং কর্মসূচি সম্পর্কে ব্যাংকের নির্বাহীরা আরও তথ্য সরবরাহ করলে প্রবাসে থাকা সরকারের প্রতিনিধিরা প্রবাসীদের এসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরও ঘন ঘন প্রবাসে উপস্থিত হয়ে এ কর্মসূচির জন্য প্রবাসীদের সাথে মতবিনিয়ময় করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। বাংলাদেশের যে কয়েকটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক রেটিং কোম্পানি দ্বারা রেটিং করা, ডাচ বাংলা ব্যাংক এরমধ্যে অন্যতম। গত ২ বছর থেকে ত্রিপল এ রেটিং পাওয়া ডাচ বাংলা ব্যাংকে যেকোনো অনাবাসী বাংলাদেশি নিজের নামে বা আপনজনের নামে বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং বিনিয়োগের অর্থ লাভ সহ যেকোনো সময় বিদেশে বসেই নিয়ে আসতে পারবেন। তিনি দেশে বিনিয়োগের এ সুযোগ গ্রহণের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের অফশোর ডিপোজিট স্কিমে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।

শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী সায়েরা রেজা এবং সঙ্গীত শিল্পী শান্তনীল ধর। তারা একের পর এক গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।