নিউইয়র্ক ০১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নাভালনির মৃত্যু: রুশ কূটনীতিকদের তলব করল যুক্তরাজ্য

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩ বার পঠিত

রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে রুশ সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্য। আর বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতেই যুক্তরাজ্যে রুশ দূতাবাসের কূটনীতিকদের তলব করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন পুতিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্সেই নাভালনি। সে প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, আর্কটিক পেনাল কলোনিতে নাভালনির মৃত্যুর ব্যাপারে স্বচ্ছভাবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।

এই মৃত্যুর ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জবাবদিহি করতে হবে বলে মত দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুক্রবার মিউনিখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা এখানেই শেষ হওয়া উচিত নয়। আমাদের উচিত পুতিনকে এর জন্য জবাবদিহি করা। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র রক্ষায় নাভালনি ছিলেন একজন অকুতোভয় যোদ্ধা।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁকে ‘রুশ গণতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভীক সমর্থক’ বলে অভিহিত করেছেন। মৃত্যুকালে নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল, ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া।’

রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।

নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।

২০১৪ সালে দায়ের করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রুশ এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নাভালনির মৃত্যু: রুশ কূটনীতিকদের তলব করল যুক্তরাজ্য

প্রকাশের সময় : ০৪:৩০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে রুশ সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্য। আর বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতেই যুক্তরাজ্যে রুশ দূতাবাসের কূটনীতিকদের তলব করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন পুতিনের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত অ্যালেক্সেই নাভালনি। সে প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে যে, আর্কটিক পেনাল কলোনিতে নাভালনির মৃত্যুর ব্যাপারে স্বচ্ছভাবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।

এই মৃত্যুর ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জবাবদিহি করতে হবে বলে মত দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুক্রবার মিউনিখে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা এখানেই শেষ হওয়া উচিত নয়। আমাদের উচিত পুতিনকে এর জন্য জবাবদিহি করা। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র রক্ষায় নাভালনি ছিলেন একজন অকুতোভয় যোদ্ধা।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁকে ‘রুশ গণতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভীক সমর্থক’ বলে অভিহিত করেছেন। মৃত্যুকালে নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল, ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া।’

রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।

নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।

২০১৪ সালে দায়ের করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায় রুশ এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা।