ট্রাম্পের ‘রক্তস্নান’ শব্দটি নিয়ে মিথ্যা বলছে সংবাদমাধ্যম: ইলন মাস্ক
- প্রকাশের সময় : ০৪:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
- / ৫৭ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রক্তের বন্যা বা রক্তস্নান’ মন্তব্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্য প্রচার করছে বলে দাবি করেছেন ইলন মাস্ক। রোববার (১৭ মার্চ) এক্সে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি এ কথা লেখেন।
তিনি লেখেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘রক্তস্নান’ শব্দটি ব্যবহারের আগে এবং পরে গাড়ি উৎপাদন শিল্প সম্পর্কে খুব স্পষ্টভাবে কথা বলছিলেন। তিনি যা বলছেন তা প্রেক্ষাপটের বাইরে নিতে ব্যর্থ হয়েছে সংবাদমাধ্যম। তারা সবাই একই মিথ্যা প্রচার করে চলেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ মার্চ) ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী না হতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘রক্তের বন্যা বয়ে যাবে’ এমন হুঁশিয়ারি দেন বলে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে রক্তের বন্যা দিয়ে সাবেক এই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলার মধ্যে তিনি ওই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প এসময় বাইডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন মেক্সিকোতে গাড়ি বানিয়ে তা আমেরিকাতে বিক্রি করছে। আমি নির্বাচিত হলে তারা এটি করতে পারবে না। আমি যদি নির্বাচিত না হই তাহলে দেশজুড়ে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে।
চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে নিজ নিজ দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিশ্চিত করেছেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বাইডেনের অভিবাসন নীতির সংস্কারের বিষয়টিতে জোর দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষকে কাজের সুযোগ দিয়ে বাইডেন বারবার আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটারদের পিঠে ছুরিকাঘাত করছেন। এর ফলে আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিক আমেরিকানদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
কয়েক দশক ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। তবে ২০১৬ এই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে সেখানে রিপাবলিকানদের অবস্থান আরও পোক্ত হয়েছে। সূত্র : সময়নিউজ।