নিউইয়র্ক ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মেয়র অ্যাডামসের দুঃখ প্রকাশ

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / ১২৫ বার পঠিত

পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ উইন রোজারিও হত্যার ঘটনায় প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক নগরের মেয়র এরিক অ্যাডামস। গতকাল মঙ্গলবার ম্যানহাটানের সিটি হলে এক সাংবাদ সম্মেলনে রোজারিও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিচারের আশ্বাস দেন মেয়র।

উইন রোজারিও হত্যা মামলা তদন্ত করছে অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন (ওএসআই)।

গত ২৭ মার্চে উইন রোজারিও খুন হওয়ার দিন নিউইয়র্ক নগরের কুইন্সের ওজোন পার্কে তাদের বাড়িতে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের শরীরে থাকা ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয় ও ধারাবাহিকভাবে যে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা ৩ মে প্রকাশ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসিয়া জেমস তা প্রকাশ করেন।

ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মকর্তা সালভাতর অ্যালঙ্গি এবং ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো গুলি করে হত্যা করেছেন মানসিক প্রতিবন্ধী উইন রোজারিওকে। উইনের মা ও ছোট ভাইয়ের অনুরোধ-অনুনয়ে তাঁরা কান দেননি।

সেই ভিডিও দেখার পরও সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

গতকাল প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার গণমাধ্যমের সামনে উইন রোজারিও হত্যার বিষয়ে মন্তব্য করেন মেয়র এরিক। মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এই হত্যার তদন্ত করছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে। মানসিক সমস্যায় থাকা মানুষের বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) কীভাবে সাড়া দেবে, সে বিষয়ও নতুন করে ভাবা হচ্ছে।

এরিক অ্যাডামসের দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়র এরিক অ্যাডামস তো কোনো অপরাধ করেননি। তাঁর দুঃখ প্রকাশে কিছু যায়-আসে না। আমরা চাই, ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা চাই, পুলিশ কর্মকর্তা সালভাতর অ্যালঙ্গি এবং ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকোর দ্রুত বিচার হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তাঁরা আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন।’

কুইন্স বোরোর ওজোন পার্কে ২৭ মার্চ মা ও ছোট ভাইয়ের সামনে গুলি করে মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণ উইন রোজারিওকে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি জনসমাজ ও মানবাধিকারকর্মীরা বেশ কয়েকটি স্থানে কর্মসূচি পালন করেন। ৮ মে তাঁরা সিটি হলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

রোজারিও পরিবার বছর দশেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভ্রমণে এসেছিল। উইনের মায়ের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর বাবার বাড়ি পুবাইলে। সূত্র: প্রথম আলো।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মেয়র অ্যাডামসের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০৭:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ উইন রোজারিও হত্যার ঘটনায় প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক নগরের মেয়র এরিক অ্যাডামস। গতকাল মঙ্গলবার ম্যানহাটানের সিটি হলে এক সাংবাদ সম্মেলনে রোজারিও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিচারের আশ্বাস দেন মেয়র।

উইন রোজারিও হত্যা মামলা তদন্ত করছে অফিস অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন (ওএসআই)।

গত ২৭ মার্চে উইন রোজারিও খুন হওয়ার দিন নিউইয়র্ক নগরের কুইন্সের ওজোন পার্কে তাদের বাড়িতে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের শরীরে থাকা ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয় ও ধারাবাহিকভাবে যে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা ৩ মে প্রকাশ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিসিয়া জেমস তা প্রকাশ করেন।

ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মকর্তা সালভাতর অ্যালঙ্গি এবং ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকো গুলি করে হত্যা করেছেন মানসিক প্রতিবন্ধী উইন রোজারিওকে। উইনের মা ও ছোট ভাইয়ের অনুরোধ-অনুনয়ে তাঁরা কান দেননি।

সেই ভিডিও দেখার পরও সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

গতকাল প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার গণমাধ্যমের সামনে উইন রোজারিও হত্যার বিষয়ে মন্তব্য করেন মেয়র এরিক। মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এই হত্যার তদন্ত করছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে। মানসিক সমস্যায় থাকা মানুষের বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) কীভাবে সাড়া দেবে, সে বিষয়ও নতুন করে ভাবা হচ্ছে।

এরিক অ্যাডামসের দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়র এরিক অ্যাডামস তো কোনো অপরাধ করেননি। তাঁর দুঃখ প্রকাশে কিছু যায়-আসে না। আমরা চাই, ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমরা চাই, পুলিশ কর্মকর্তা সালভাতর অ্যালঙ্গি এবং ম্যাথিউ সিয়ানফ্রোকোর দ্রুত বিচার হোক। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তাঁরা আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন।’

কুইন্স বোরোর ওজোন পার্কে ২৭ মার্চ মা ও ছোট ভাইয়ের সামনে গুলি করে মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণ উইন রোজারিওকে হত্যা করে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশি জনসমাজ ও মানবাধিকারকর্মীরা বেশ কয়েকটি স্থানে কর্মসূচি পালন করেন। ৮ মে তাঁরা সিটি হলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

রোজারিও পরিবার বছর দশেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভ্রমণে এসেছিল। উইনের মায়ের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর বাবার বাড়ি পুবাইলে। সূত্র: প্রথম আলো।