প্রেসিডেন্ট নির্বাচন-২০২৪
কমলা-ট্রাম্পের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি : জরিপ
- প্রকাশের সময় : ০২:৩০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ৪৩ বার পঠিত
ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস সর্বাত্মকভাবে মাঠে নেমেছেন। তিনি তাঁর প্রচারে নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরছেন। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রচারযুদ্ধে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরছেন। এরই মধ্যে তাঁকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের পল্লা ভারী করেছেন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র।
আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন আগেই নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে কমলা হ্যারিসের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে দলীয় মনোনয়ন। এর মধ্য দিয়ে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে শুরু হলো আনুষ্ঠানিক লড়াই। কমলাকে আপাতত ট্রাম্পের তুলনায় এগিয়ে থাকা মনে হলেও বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তাদের মধ্যে।
জাতীয় সম্মেলন শেষে শিকাগো থেকে নিজের নির্বাচনী পালে হাওয়া লাগিয়ে ফিরছেন সাবেক সিনেটর ও অ্যাটর্নি কমলা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে গেলে গত মাসে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন নিশ্চিত হয় কমলার। বিভিন্ন জরিপে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু কমলা এসে সে ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলেন এবং ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যান।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে কমলার প্রচার দলের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন ড্যান ক্যানিনেন। অবশ্য সম্মেলনের ফাঁকে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। ক্যানিনেন বলেন, নির্বাচনী লড়াইয়ে মৌলিকভাবে সেই অর্থে কোনো পরিবর্তন আসেনি এবং এটি এখনো খুবই কঠিন লড়াইয়ের জায়গায় আছে। শিকাগোতে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও এতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই সম্মেলন থেকেই ৫ নভেম্বরের চূড়ান্ত লড়াইয়ের যাত্রা শুরু হয় কমলার।
একসময় জরিপগুলোতে দেখা যায়, বাইডেনের বিপরীতে জয় পেতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। পরে কমলাকে সমর্থন দিয়ে আকস্মিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। এরপর জরিপের ফল পাল্টে দিতে থাকেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজনৈতিকভাবে অনেকটা মধুচন্দ্রিমা পার করছেন। শিগগিরই যে এর অবসান হবে, সে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। তবে দলের নেতারা সতর্ক করে বলছেন, পাল্টা ঝড়ে এখনো নির্বাচনী প্রচারণার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে দেশটিতে চলা বিক্ষোভ। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন গ্রহণের পর ভাষণে কমলা হ্যারিস অতীতের তিক্ততা, বিদ্বেষ ও বিভেদমূলক লড়াইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে তা কোনো একটি দল বা উপদলের সদস্য হিসেবে নয়, আমেরিকান হিসেবে।