প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ভাবেন জাস্টিন ট্রুডো
- প্রকাশের সময় : ১১:৫১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
- / ৪৯ বার পঠিত
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি প্রায় প্রতিদিনই তাঁর ‘পাগলাটে চাকরি’ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু এই ভাবনার মধ্যেই আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনাও করছেন তিনি। ট্রুডো বলেছেন, ‘এ অবস্থায় হাল ছেড়ে দেওয়ার মানুষ নই আমি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
কানাডার পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে। দেশটির সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপ বলছে, দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ট্রুডো। কানাডীয়দের মধ্যে ট্রুডোর সরকারের প্রতি বাড়ছে অসন্তোষ। তারা আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো সমস্যা নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত। শাসক লিবারেলরা প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে।
এমন অবস্থায় নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্নের সম্মুখীন হন ট্রুডো। গতকাল শুক্রবার কানাডার সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও কানাডাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেছেন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ত্যাগের কথাও বলেছেন তিনি।
২৪ মিনিটের সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, ‘প্রতিদিনই চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবি আমি। খুবই পাগলাটে একটা চাকরি করছি। ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক কিছুতে ছাড়া দিতে হয়। অবশ্যই এটা (প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব) প্রচণ্ড কঠিন। একই সঙ্গে প্রচণ্ড বিরক্তিকরও।’
গত বছর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ট্রুডো ও তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো। তাঁদের তিনটি সন্তান আছে। প্রায় এক দশকের কনজারভেটিভ পার্টির শাসনের অবসান ঘটিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রুডো। কিন্তু পরবর্তী দুটি নির্বাচনে লিবারেলদের সমর্থন কমে গেছে। ৫২ বছর বয়সী ট্রুডো সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি জনপ্রিয় হতে কিংবা ব্যক্তিগত কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতিতে আসেননি। বরং, সেবা করার মানসিকতা থেকেই রাজনীতিতে এসেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের বছরে কানাডীয়রা যা পছন্দ করবে সেটাই প্রধান। ‘ট্রুডো ব্র্যান্ড’ বর্তমানে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে বলে লিবারেল পার্টির ভাগ্যেও খুব ভালো কিছু অপেক্ষা করছে না—এমন উদ্বেগ রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ট্রুডো বিদায় নেওয়ার কথা ভাবছেন বলেও রয়েছে জল্পনাকল্পনা। এমনকি লিবারেল পার্টির কিছু মিত্রও পরামর্শ দিয়েছেন যে, ট্রুডোর চলে যাওয়ার সময় এসেছে।