ট্রাম্পের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ শুরু করেছে জাপান
- প্রকাশের সময় : ০৪:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৫৫ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে, ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন ট্রাম্প। আর বিভিন্ন জরিপ বলছে, সামনের নির্বাচনে জয় পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তিনি। এমন অবস্থায় আগে থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে জাপান। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা মূলত ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর টোকিওর জন্য একটি সম্ভাব্য ‘দুঃস্বপ্ন’ এড়ানোর প্রচেষ্টা।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এখনও যুক্তরাষ্ট্রের আগামী ৫ই নভেম্বরের নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারো আসোকে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ১০ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় তারো আসো যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বিল হ্যাগারটির সাথে একটি নৈশভোজে যোগ দেন। বিল একসময় ট্রাম্পের অধীনে জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের লক্ষ্যে পরের দিন নিউইয়র্কে যাত্রা করেন তারো। ট্রাম্প সেদিন নিউইয়র্কে ছিলেন একটি মামলার বিচারে আদালতের অধিবেশনে অংশ নিতে। তবে সেদিন তিনি ব্যস্ততার কারণে তারো আসোর সাথে দেখা করতে পারেননি। গত বছরের শেষদিকে ট্রাম্প জাপান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই তারো আসোর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা করে জাপান। বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী কিশিদা আগামী নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার আশাতেই এই আগাম পদক্ষেপগুলো নিচ্ছেন।
টোকিওর ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সহকারী অধ্যাপক বেন অ্যাসিওন বলেছেন, ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে এবং তার ইগো থেকে বাঁচতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দারুণ কাজ করেছেন। এমনকি তার সমালোচকরাও এর প্রশংসা করেছেন।
হককথা/নাছরিন