নিউইয়র্ক ১০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাম্পের সহায়তায় গাজা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল: অর্থমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৮৯ বার পঠিত

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ বলেছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন সেনাপ্রধান ইয়াল জামিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের রিলিজিয়াস জায়োনিস্ট পার্টির সংসদীয় জোটের বৈঠকের শুরুতে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন স্মতরিচ। ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথোরিটি (কান), দৈনিক মা’আরিভ এবং চ্যানেল ৭—এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উত্তর ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত কয়েক দশকের মধ্যে এখন সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এটি লেবানন সরকারের মধ্যে বিচ্ছিন্ন, ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে, সিরিয়ার স্থল যোগাযোগ পথ থেকে বিচ্ছিন্ন, নেতৃত্বশূন্য এবং তাদের বেশির ভাগ সামরিক সক্ষমতা ইসরায়েল ধ্বংস করে দিয়েছে।

স্মতরিচ আরও দাবি করেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে সার্বভৌম কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে, সেখানে অবাধে চলাচলকারী যে কোনো কিছুতেই আঘাত হানছে এবং পাঁচটি সামরিক অবস্থানে মোতায়েন আছে। এই পুরো ব্যবস্থা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করছে এবং সেখান থেকে পিছু হটার কোনো পরিকল্পনা নেই।’ গাজা উপত্যকা প্রসঙ্গে স্মতরিচ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে সতর্ক করে বলেন, ‘তাদের যোদ্ধারা খুব ভালো করেই জানে যে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, যুদ্ধ পুনরায় শুরুর সময় এসেছে, তখন তোমরা (হামাস) ইসরায়েলের ঐক্য, শক্তি এবং প্রাণঘাতী নিখুঁত অপারেশনের মাধ্যমে গাজা দখলের বিস্ময়কর চিত্র প্রত্যক্ষ করবে।’

স্মতরিচ প্রতিশ্রুতি দেন, হামাসের বিরুদ্ধে এমন এক ‘বেদনাদায়ক প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে যা কোনো চিহ্ন রেখে যাবে না। তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন সেনাপ্রধান জামিরের নেতৃত্বে গাজা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইয়াল জামির মার্চের প্রথম সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। স্মতরিচ জানান, এ কাজে তাদের রাজনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন, যারা অবশেষে স্পষ্টভাবে হামাসকে ‘পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ কথা বলছে। পশ্চিম তীর প্রসঙ্গে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী হুমকি দেন, সেখানকার কিছু অঞ্চলকে জাবালিয়ার (গাজার শহর) মতো পরিণত করা হবে, যেখানে ইসরায়েল গণহত্যা ও জাতিগত নিধন চালিয়েছে। তিনি গর্বের সঙ্গে দাবি করেন, ইসরায়েলি বাহিনী জোরপূর্বক হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরের শরণার্থীশিবির থেকে উচ্ছেদ করেছে, যাতে ওই এলাকাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা যায়।

তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান পরিচালনা করছে তাঁর দাবি করা ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার জন্য। এর আগে, গত রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ট্যাংক ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে। সেদিনই, সরকারি ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথোরিটি জানায়, ‘পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অভিযান সম্প্রসারণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০০২ সালের অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ডের পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ট্যাংক জেনিন অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের সহায়তায় গাজা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ বলেছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নতুন সেনাপ্রধান ইয়াল জামিরের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হচ্ছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের রিলিজিয়াস জায়োনিস্ট পার্টির সংসদীয় জোটের বৈঠকের শুরুতে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন স্মতরিচ। ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথোরিটি (কান), দৈনিক মা’আরিভ এবং চ্যানেল ৭—এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উত্তর ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত কয়েক দশকের মধ্যে এখন সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, এটি লেবানন সরকারের মধ্যে বিচ্ছিন্ন, ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে, সিরিয়ার স্থল যোগাযোগ পথ থেকে বিচ্ছিন্ন, নেতৃত্বশূন্য এবং তাদের বেশির ভাগ সামরিক সক্ষমতা ইসরায়েল ধ্বংস করে দিয়েছে।

স্মতরিচ আরও দাবি করেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে সার্বভৌম কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে, সেখানে অবাধে চলাচলকারী যে কোনো কিছুতেই আঘাত হানছে এবং পাঁচটি সামরিক অবস্থানে মোতায়েন আছে। এই পুরো ব্যবস্থা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করছে এবং সেখান থেকে পিছু হটার কোনো পরিকল্পনা নেই।’ গাজা উপত্যকা প্রসঙ্গে স্মতরিচ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে সতর্ক করে বলেন, ‘তাদের যোদ্ধারা খুব ভালো করেই জানে যে, তাদের সময় ফুরিয়ে আসছে। যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে, যুদ্ধ পুনরায় শুরুর সময় এসেছে, তখন তোমরা (হামাস) ইসরায়েলের ঐক্য, শক্তি এবং প্রাণঘাতী নিখুঁত অপারেশনের মাধ্যমে গাজা দখলের বিস্ময়কর চিত্র প্রত্যক্ষ করবে।’

স্মতরিচ প্রতিশ্রুতি দেন, হামাসের বিরুদ্ধে এমন এক ‘বেদনাদায়ক প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে যা কোনো চিহ্ন রেখে যাবে না। তিনি জানান, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নতুন সেনাপ্রধান জামিরের নেতৃত্বে গাজা দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইয়াল জামির মার্চের প্রথম সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। স্মতরিচ জানান, এ কাজে তাদের রাজনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন, যারা অবশেষে স্পষ্টভাবে হামাসকে ‘পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ কথা বলছে। পশ্চিম তীর প্রসঙ্গে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী হুমকি দেন, সেখানকার কিছু অঞ্চলকে জাবালিয়ার (গাজার শহর) মতো পরিণত করা হবে, যেখানে ইসরায়েল গণহত্যা ও জাতিগত নিধন চালিয়েছে। তিনি গর্বের সঙ্গে দাবি করেন, ইসরায়েলি বাহিনী জোরপূর্বক হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরের শরণার্থীশিবির থেকে উচ্ছেদ করেছে, যাতে ওই এলাকাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা যায়।

তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান পরিচালনা করছে তাঁর দাবি করা ‘সন্ত্রাসীদের’ নির্মূল করার জন্য। এর আগে, গত রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পশ্চিম তীরের জেনিনে একটি ট্যাংক ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করেছে। সেদিনই, সরকারি ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং অথোরিটি জানায়, ‘পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অভিযান সম্প্রসারণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০০২ সালের অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ডের পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ট্যাংক জেনিন অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা।