ইসরায়েল যা যা অস্ত্র চেয়েছিল সব পায়নি : যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান
- প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
- / ৭৬ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান জেনারেল চার্লস কিউ. ব্রাউন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েল যেসব অস্ত্র চেয়েছিল সেগুলো পায়নি। এর কারণের মধ্যে রয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সদা প্রস্তুত থাকার বিষয় প্রভাবিত হতো এবং অস্ত্রের মজুতে সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়েলকে বছরে ৩৮০ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সহযোগিতা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের পক্ষ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও গোলাবারুদ ইসরায়েলকে সরবরাহে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছু ডেমোক্র্যাট ও আরব আমেরিকান গোষ্ঠী ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সমালোচনা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ব্রাউন বলেছেন, আমরা সক্ষমতার সঙ্গে তাদের সহযোগিতা করছি। তারা যা যা চেয়েছিল তা সব পায়নি। ডিফেন্স রাইটার্স গ্রুপ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, এর কিছু কারণ হলো তারা যেসব অস্ত্র চেয়েছে সেগুলো এই মুহূর্তে সরবরাহে আমাদের সক্ষমতা নেই অথবা দিতে আগ্রহী নই।
বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে সেনাপ্রধানের এক মুখপাত্র তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, ব্রাউনের মন্তব্যে আমাদের যেকোনও মিত্র ও অংশীদারদের সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার আগে সাধারণ চর্চার বিষয় উঠে এসেছে।
এক বিবৃতিতে নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেরিয়েল ডরসি বলেছেন, যেকোনও সামরিক সহযোগিতার অনুরোধে সাড়া দিতে আমরা নিজেদের মজুত এবং আমাদের সদা প্রস্তুত থাকার বিষয়ে প্রভাব সম্পর্কিত পর্যালোচনা করি। মার্কিন নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। হামাসের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার লড়াইয়ে থাকা মিত্র ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।
প্রায় ছয় মাস ধরে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে এই আগ্রাসন শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৫৩ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হককথা/নাছরিন