যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ও বাইডেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত
- প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
- / ৪০ বার পঠিত
আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজ নিজ দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে টানা দুই বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেন বনাম ট্রাম্প লড়াই হবে। এর মধ্য দিয়ে ৭০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে আবার দুই দলের একই প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন। সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন পুনরাবৃত্তি হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। খবর রয়টার্সের।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে জরিপ প্রকাশ করতে শুরু করেছে একাধিক গণমাধ্যম। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের জরিপে দেখা গেছে, দুজনই সমান ৪৫ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের ১০ শতাংশ এই দুজনের কাউকে ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
ইকোনমিস্টের জরিপ থেকে দেখা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হঠাৎ করে বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। বিপরীতে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা অনেকাংশ বাড়তে থাকে। ১৩ সেপ্টেম্বর ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ট্রাম্প ও বাইডেন সমান অবস্থানে দাঁড়ান। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ট্রাম্প যখন এগিয়ে যান, বাইডেন তখন ৪২ পয়েন্টে আটকে ছিলেন। পরে অবশ্য বাইডেনের জনপ্রিয়তা কিছুটা বেড়েছে।
আবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপে দেখা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তুলনায় মাত্র ১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা জরিপটি গত বুধবার শেষ হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের ৩৯ শতাংশ সমর্থন করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনকে। অন্যদিকে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৮ শতাংশের জনসমর্থন।
তাদের মধ্যে অনেক অংশগ্রহণকারী এই দুই প্রার্থীর কাউকেই সমর্থন জানাননি। ১১ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তাঁরা তৃতীয় কোনো প্রার্থীকে ভোট দেবেন। ৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বাছাই করা থেকে বিরত ছিলেন। এ ছাড়া বাকি ৭ শতাংশ ভোটার কি জবাব দেবেন তা জানেন না বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ৭০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম নির্বাচনী লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট। এই প্রার্থীর অংশ নেওয়ার বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। এদিকে এবারে নির্বাচনে বাইডেনের বয়স এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার মতো বিষয় দুটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবারের ভোটারেরা।