বেআইনি আটক, যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারকে ২১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে পুলিশ
- প্রকাশের সময় : ১১:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৫১ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও চার অপ্রাপ্তবয়স্ককে বন্দুকের নলের মুখে আটক করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৯ লাখ ডলার দিতে হচ্ছে পুলিশকে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালে ব্রিটনি গিলিয়ামকে একটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় বেআইনিভাবে আটকায় পুলিশ। ওই সময় ব্রিটনির সঙ্গে তাঁর ছয় বছর বয়সী মেয়ে, ১৪ ও ১৭ বছর বয়সী বোনের মেয়ে ও ১২ বছর বয়সী বোন ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে পোস্ট করলে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। গিলিয়াম ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গভীর ও পদ্ধতিগত বর্ণবাদের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
কলোরাডোর অরোরা শহরের পুলিশ জানায়, গিলিয়ামের গাড়িটি চুরি করা বলে ধারণা করেছিলেন তাঁরা। তাঁরা এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং শিশুদের মানসিক থেরাপির জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্রস্তাবও দেন। ২০২০ সালে গ্রেপ্তারের দিন গিলিয়াম ওই মেয়েদের নিয়ে নখের সেলুনে যান। কিন্তু সেলুন বন্ধ পেয়ে তাঁরা ফেরত আসছিলেন। তাঁরা গাড়িতে উঠতেই পুলিশ বন্দুক তাক করে তাঁদের দিকে এগিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে। ভিডিওতে দেখা যায়, গিলিয়াম ও ওই চার মেয়ে রাস্তার পাশে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। গিলিয়াম, তাঁর ১২ বছর বয়সী বোন ও ১৭ বছর বয়সী ভাগনির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শী যখন পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছিলেন তখন শিশুদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।
এ ঘটনার পরে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে গিলিয়াম বলেন, ‘এমন ঘটনার পর আপনার সন্তানেরা কি ঠিক থাকতে পারে! বন্দুক তাক করে তাদের মাটিতে শুইয়ে রাখার পর, বিশেষ করে ছয় বছর বয়সী শিশুকে?’
পুলিশ বলে, ওই গাড়িটির লাইসেন্স প্লেটটির সঙ্গে অন্য অঙ্গরাজ্যের চুরি যাওয়া একটি গাড়ির মিল ছিল। অরোরার পুলিশ প্রধান ভেনেসা উইলসন বলেন, পুলিশ ভুল বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক তাঁদের হাতকড়া খুলে দেয়। সোমবার গিলিয়ামের আইনজীবী ডেভিড লেন নিশ্চিত করেন, অরোরা শহরের পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সমঝোতা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সমঝোতায় সব পক্ষই সন্তুষ্ট।’
এ ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটে যখন অরোরা পুলিশ বিভাগ ২৩ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ এলাইজাহ ম্যাকক্লেইনের মৃত্যুর জন্য সমালোচিত হচ্ছিল। এলাইজাহ ম্যাকক্লেইন পুলিশ হেফাজতে মারা যান। ম্যাকক্লেইনকে হত্যার দায়ে ২০২৩ সালে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার ১৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সূত্র : আজকের পত্রিকা।