নিউইয়র্ক ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘পানামা, গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে তবে থামব’, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ট্রাম্প

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৪১ বার পঠিত

আর নরম সুরে বার্তা নয়, এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, ‘যে কোনও উপায়ে হোক পানামা, গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে তবে থামব আমরা।’ ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারিতে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ পানামা ক্যানেলে চীনের আধিপত্য বাড়ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প! হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রশান্ত এবং অতলান্তিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই খাল পরিচালনায় চীনের খবরদারি বরদাস্ত করা হবে না। যদি পানামা প্রশাসন সঠিকভাবে এই খাল পরিচালনা করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমেরিকা সেটি ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানাবে। তবে ট্রাম্পের সেই প্রস্তাব খারিজ করেছিল পানামা সরকার। এবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে কড়া সুরে ট্রাম্প বললেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা পানামা খাল পুনরুদ্ধার করব। এবং সেই কাজ আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি।’

একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এই খাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন কানাডা সরকারকে মাত্র ১ ডলারে দিয়েছিল। তবে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা ওই খাল চীনকে দেইনি। আমরা পানামাকে দিয়েছিলাম। তাই এই খাল আবার ফেরত নিতে চলেছি আমরা।’ উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালে আমেরিকা এই খাল নির্মাণের পর দীর্ঘ বছর পানামা ও আমেরিকা যৌথভাবে খালটি পরিচালনা করে পরে ১৯৯৯ সালে খালটি পুরোপুরি পানামা সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্য দিয়ে নির্মিত দুই মহাসাগরের সংযোগ পথ পানামা খাল বিশ্ব বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

পানামা খালের পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘যে কোনও উপায়েই হোক গ্রিনল্যান্ড আমরা পাবই।’ গ্রিনল্যান্ডের জনগণের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, ‘আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে আমরা সমর্থন করি। যার জন্যই আপনাদের আমেরিকায় স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। জাতীয় নিরাপত্তা এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ড আমাদের প্রয়োজন। এবং যে কোনও উপায়েই হোক গ্রিনল্যান্ড আমরা নেবই। এখানকার নাগরিকদের আমরা নিরাপদে রাখব ও আমাদের দেশের নাগরিক হওয়ার পর আপনারা আরও ধনী হয়ে উঠবেন। আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব যা আপনারা আগে কখনও কল্পনাও করেননি।’ সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘পানামা, গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে তবে থামব’, চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

আর নরম সুরে বার্তা নয়, এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, ‘যে কোনও উপায়ে হোক পানামা, গ্রিনল্যান্ডের দখল নিয়ে তবে থামব আমরা।’ ট্রাম্পের এমন হুঁশিয়ারিতে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ পানামা ক্যানেলে চীনের আধিপত্য বাড়ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প! হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রশান্ত এবং অতলান্তিক মহাসাগরকে যুক্ত করা এই খাল পরিচালনায় চীনের খবরদারি বরদাস্ত করা হবে না। যদি পানামা প্রশাসন সঠিকভাবে এই খাল পরিচালনা করতে না পারে সেক্ষেত্রে আমেরিকা সেটি ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানাবে। তবে ট্রাম্পের সেই প্রস্তাব খারিজ করেছিল পানামা সরকার। এবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে কড়া সুরে ট্রাম্প বললেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা পানামা খাল পুনরুদ্ধার করব। এবং সেই কাজ আমরা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি।’

একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এই খাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন কানাডা সরকারকে মাত্র ১ ডলারে দিয়েছিল। তবে সেই চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা ওই খাল চীনকে দেইনি। আমরা পানামাকে দিয়েছিলাম। তাই এই খাল আবার ফেরত নিতে চলেছি আমরা।’ উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালে আমেরিকা এই খাল নির্মাণের পর দীর্ঘ বছর পানামা ও আমেরিকা যৌথভাবে খালটি পরিচালনা করে পরে ১৯৯৯ সালে খালটি পুরোপুরি পানামা সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্য দিয়ে নির্মিত দুই মহাসাগরের সংযোগ পথ পানামা খাল বিশ্ব বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

পানামা খালের পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, ‘যে কোনও উপায়েই হোক গ্রিনল্যান্ড আমরা পাবই।’ গ্রিনল্যান্ডের জনগণের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, ‘আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নকে আমরা সমর্থন করি। যার জন্যই আপনাদের আমেরিকায় স্বাগত জানাচ্ছি আমরা। জাতীয় নিরাপত্তা এমনকি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ড আমাদের প্রয়োজন। এবং যে কোনও উপায়েই হোক গ্রিনল্যান্ড আমরা নেবই। এখানকার নাগরিকদের আমরা নিরাপদে রাখব ও আমাদের দেশের নাগরিক হওয়ার পর আপনারা আরও ধনী হয়ে উঠবেন। আমরা গ্রিনল্যান্ডকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাব যা আপনারা আগে কখনও কল্পনাও করেননি।’ সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব।